স্কুলে প্রথম মার খেয়েছিলাম ক্লাস ওয়ানে। আমার প্রাথমিক জীবনের শিক্ষক ছিলেন আবদুল ওয়াহাব স্যার। তিনি ছিলেন সাক্ষাত আজরাইল। তাঁর হাতে বেত দেখলেই আমাদের গলা শুকিয়ে প্যান্ট ভিজে যেতো। রাস্তাঘাটে চলতে কিংবা বাজারে গেলে একটাই টেনশন হতো স্যার দেখে ফেলেন কি না? আমরা তাঁকে দেখা দিতে চাইতাম না। তাঁর রুদ্রমূর্তি আজো
পুরোটা পড়ুনসুজন হামিদ এর ব্লগ
আজ গল্প বলার দিন। মাথার ভিতর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূতটা ঢুকিয়ে দিলেন আমার কলেজ জীবনের দুজন মহান শিক্ষক। একজন আমার অত্যন্ত শ্রদ্ধাভাজন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. উপল তালুকদার। তিনি আমাকে বা ক্লাসে এ বিষয়ে কিছু বলেন নি। আমি তাঁর ক্লাসের জন্য ছিলাম পাগল। স্যার তখন আদমজী ক্যান্টনমেন্ট কলেজের বাংলার প্রভাষক। আমি
পুরোটা পড়ুনসৈয়দ আলী আশরাফ সাহেব অবসর জীবনে প্রবেশ করলেন গত বছর মে মাসে। সরকারি চাকরি করতেন। চাকরি সরকারি হলেও তিনি তেমন 'সুবিধা' করতে পারেননি। শহরতলীতে মাত্র তিন শতক জমি কিনেছেন। তবু রাস্তা নিয়ে নানা সমস্যা। আড়াই ফুট প্রশস্ত রাস্তা তিনি উচ্চদামে কিনে নিয়েছেন। পায়ে-হাঁটা পথ। দুই ব্যাগ বাজার করলে দুই হাতে
পুরোটা পড়ুনটিউশন থেকে ফিরতে ফিরতে রাত এগারোটা। এই টিউশনটা বেশ দূরে। মিরপুর ১৪ থেকে ফিরতে বহু ঝক্কি ঝামেলা পোহাতে হয়। তবু তো ছেড়ে দেওয়ার উপায় নেই। সবেধন নীলমণির মতো এই একটি টিউশনই এখন ভরসা। চার হাজার পাঁচশ টাকা এই বাজারে কিছুই না। তবু এই টাকাটার কতোই না মূল্য ! বিশ্ববিদ্যালয়ে মাস্টার্স
পুরোটা পড়ুনআমার শ্রদ্ধেয় আব্বাজান ২০১২ সালের ৪ জুন আমাকে মেরে ফেললেন! আমি বিবাহিত জীবনে প্রবেশ করলাম! মাস্টার্সের একটা পরীক্ষা তখনো বাকি! বৌকে শখ করে কিছু দিতে পারিনা! কোথাও নিয়েও যেতে পারিনা! টিউশনি করে যা উপার্জন করি তা দিয়ে নিজের পড়ালেখা, বাড়িতে কিছু দেওয়া আর আমার সাতপুরুষের ঋণ শোধ করি! আমার বিয়েতে
পুরোটা পড়ুনআমার এক বন্ধু ছিল। নিজেকে সে পরিচয় দিতো 'আকাশ' নামে। সে ড্রাইভারি করে। পূর্বে সড়কে এক যোগাযোগ মন্ত্রী ছিলেন। গণরোষের কারণে যাঁকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। নামে কিবা আসে যায়। গোলাপকে যে নামেই ডাকা হোক সে গন্ধ ছড়াবেই। আবুল ডাকলেও গোলাপ গন্ধ ছড়ায়। আমার বন্ধুর নামটি মনে হয় তার পছন্দ ছিল
পুরোটা পড়ুনআমার শৈশব কেটেছে পরীক্ষাবিহীন। গ্রামের মেঠোপথ, ধানিজমির আলপথ আর রবীন্দ্রনাথের ছোটনদী ছিল আমার শৈশবজুড়ে। ছোটবেলায় পাহাড়েও গিয়েছি কতো! মহিষের গাড়িতে চড়ে নদীর চর, পাহাড়িয়া পথ, বালু আর কাদার সাগর পাড়ি দিয়ে চলে যেতাম যখন তখন।ছেলেপেলেরা সকালে খেয়ে বের হলে আর সন্ধ্যার দিকে বাড়িতে ফিরতে পারলেই আমাদের মা-বাবার জন্য যথেষ্ট
পুরোটা পড়ুনখাটের ক্যাচক্যাচ শব্দে ঘুম ভাঙলে খুবই বিরক্ত লাগে সোনাফরের। অথচ প্রায় প্রতিদিনই তার সাথে এ ঘটনাটি ঘটে। চোখে মুখে বালিশ চাপা দিলেও শব্দ দূর হয় না। বরং আরো ঘনীভূত হয়। মিস্ত্রি ডেকে খাটটা ঠিক করাবে তা-ও মন চায় না। এই খাটে না ঘুমাতে পারলেই ভালো হতো। কিন্তু সম্ভব না। স্ত্রীকে
পুরোটা পড়ুনহরমুজ আলী। জটিল মনের মানুষ। স্বভাব বেশি সুবিধার না। যারে তারে চড় থাপ্পর মেরে বসে হঠাৎ করেই। খুবই উগ্র মেজাজ তার। তার এক বন্ধু মরণাপন্ন হয়ে হাসপাতালে ভর্তি। হরমুজের খুব শখ বন্ধুকে দেখতে যাবেন কাঁঠাল নিয়ে। সবাই আপেল কমলা নিয়ে যায়। হরমুজের শুভাকাঙ্ক্ষীরা টিপ্পনি কাটে- "কী মিয়া কাঁঠাল নিয়া কেউ
পুরোটা পড়ুনএকটি চকলেটের জন্য জীবন দেওয়ার কাল সবার জীবনেই এসেছে কম-বেশি। কেউ আবার একটি গোলাপের জন্যও জীবনকে বিসর্জন দিতে চেয়েছেন, হয়তো দিয়েছেনও কেউ কেউ। আমি গোলাপকে অবশ্য ছুঁতেও পারিনি। একবার ত্রিশ মিনিটের জন্য একটি গোলাপ এসেছিল! একগুচ্ছ প্রেম নিয়ে! ঘটনা সত্য।তার সাথে শাহবাগে শেষ দেখা করে ঐ দিনের জন্য বাসায় ফিরছিলাম।
পুরোটা পড়ুন