১/
ছুঁটতে থাকা সময় নির্বাক
বৈবাহিক বাতাসে চিরসখা মেঘের ঘ্রাণ।
আমার শরীর থেকে আমি সংগ্রহ করি তোমায়
ওগো, আনন্দদেহ; তোমার প্রখর উজ্জ্বলতা…
২/
পাঁচ পাপড়ির ফুলই, এক টুকরো আলোর চুম্বন দাও।
ধীরভাবে এসো; টলটল করা এক পরিত্যক্ত ঠোটে
৩/
পথই খুঁজে বেড়ায় অন্তিম পথ
নির্লিপ্ত গায়ে বাতাসের অন্তর্ধান
তোমাকে ছড়িয়ে দিয়েছি আর খুঁজবো না..
৪/
টেলিফোন বাজছে
অভিমানের আড়াল থেকে জেগে উঠুক কণ্ঠস্বর
আমি তো দুঃখ কে হৃদয় দিয়ে মাড়াই
তাই আঘাতে দাগ এ বেলায়ও বাড়ুক সকাল সন্ধ্যার মত
৫/
হাতের মুঠোয় দলিত ঘাসেরা
অন্তর ছেয়ে আছে নৈকট্যের ঘ্রাণে
দেখি তারা তাকিয়ে আছে
বিরাগ বিভোর দূরপানের দৃষ্টিতে
৬/
এইখানে মানুষ রচনা করে কারাগার
বৃত্ত ভরাট কালে ভুল কালির দাগ লাগিয়ে
শরীর নিয়ে ডুবে যেতে চায় শরীরে মনের আকারে
ভাবে মুক্তি মেলবে
আদতে জড়িয়ে পরে বিচ্ছেদে
৭/
আক্রান্ত দৃষ্টিতে তাকাই
তুমি নিঃশ্বাস নাও স্বস্তিতে
ভাবো অসহায় আছে, অসহায় আছে এখনো….
৮/
মেঘেরা চঞ্চল হয়ে উঠেছে
ঘন ফোটায় বৃষ্টি বা
শীতল জল নুপূর পায়ে নাচবে।
কোথায়?
গাছের পাতায়, মাটির গায়ে
তোমার মনে আমার টানে।
৯/
কথারা বাস করে অবিরত ভিতরে ভিতরে
গোপন ঘরে নীরব নিঃস্পন্দন
“হুম”
নীল সাদা দুনিয়ায় মানুষে
লাল আভা মোহিত স্মিত হাসি
অজস্র সম্পর্কের যোগাযোগহীনতার দাড়ি
১০/
ঘোর লাগা নিজেকে বোতাম ঘরে বসিয়ে দেই
তোমাকে আড়াল করব পৃথিবী থেকে।
১১/
একে একে সবাই তোমরা যার যার কাজে ব্যস্ত হয়ে গেলে
আমিই কেবল একা শিশুগাছটার মত ভিজছি।