মুভি দেখে পরিচালকের নাম মনে রাখা আমার কাছে প্রয়োজনীয় ছিল না। কিন্তু যখন কিছু ভালো সিনেমা দেখা শুরু করলাম তখন খেয়াল করলাম মুভি দেখে শেষ করার পরও এর রেশ রয়ে যায়। তখন ইন্টারনেটে সিনেমাটি সম্পর্কে সার্চ করি। পরিচালকের নাম, মুভির অনেক তথ্য জানি। এমনটা করতে গিয়ে জানলাম ক্রিস্টোফার নোলানের একের পর এক চমক।
দি ডার্ক নাইট মুভিতে জোকারের ট্রাক উল্টে যাওয়ার দৃশ্য নোলান কম্পিউটার চালিত চিত্র বা সিজিআই ছাড়াই করেছিলেন। এবার টেনেট মুভিতে বিমান বিধ্বস্ত হওয়ার দৃশ্যটিও তিনি সিজিআই ছাড়াই করেছেন। হ্যাঁ, তিনি টেনেট মুভির জন্য একটি সত্যিকারের বোয়িং ৭৮৭ বিমান কিনেছিলেন এবং সেটি সিনেমায় ধ্বংস করেছেন।
নোলান বলেন তিনি এটি মিনিয়েচারস এবং সেট-পিস বিল্ডস এবং ভিজ্যুয়াল এফেক্টের সংমিশ্রণে করার পরিকল্পনা করেছিলেন, পরে তিনি সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করেন।
তিনি বলেন আমরা যখন লোকেশনের জন্য ক্যালিফোর্নিয়ার ভিক্টরভিলে গেলাম, সেখানে অনেকগুলো পুরাতন বিমানের সন্ধান পেলাম।
তিনি বলেন আমরা হিসাব করে দেখলাম সিজিআই এর জন্য যে খরচ লাগবে তা দিয়ে সত্যিকারের একটি বিমান কিনে সেটি দিয়ে শুটিং করা যাবে।
বোয়িং ৭৮৭ বিমানগুলো কয়েক দশক ধরে কয়েকজনের মালিকানায় ছিল। কোনটি ১২ মিলয়ন ডলারে বিক্রির জন্য নির্ধারিতও ছিল। কেবল এয়ারফ্রেমের হিসাবে খরচ আসে ১০০,০০০ ডলারেরও কম।
“টেনেট” যার বাজেট ২০০ মিলিয়ন ডলার, “দ্য ডার্ক নাইট রাইজেস” এর পর এখন পর্যন্ত নোলানের দ্বিতীয় ব্যয়বহুল সিনেমা।