ফেঁসে গেছে দুনিয়ার মতলব।দীর্ঘ-রাতে জেগে জেগে মহল্লায় ঘুরে ঘুরে...একজোড়া তালগাছ বাতাসে শির শিরে নয়নে নয়ন রেখে দাঁড়িয়ে আছে চিত্রাহরিণী,চোখ ঝলমল...যুগসন্ধির আলো মেখে পাশের বাড়ির বালিকাবাইরের দিকে চেয়ে আছে, সমাদৃতা।মহাবিশ্বে কতো বিস্ময় ঘটে যায়...বালিকার চোখদ্বয় সে খবর রাখে না।স্বর্গগঙ্গায় এক লক্ষ ছিয়াশি হাজার দু'শো বিরাশি মাইল বেগেএই উপত্যকা ভেদ করছে
পুরোটা পড়ুনকবিতা
একটা ঘরে একটা বিড়ালএকটা ইঁদুর মিলেঘরের সকল খাবারগুলোখাচ্ছিলো বেশ গিলে।বিড়াল বেটা এটা—ওটাসামনে যা—ই পায়ইঁদুর ও তার ছানা নিয়েভাগ করে সব খায়।ইঁদুর ছানা তাধিন ধিনাতিড়িং বিড়িং নাচেএমনি তারা ভালোই আছেবিড়াল নানার কাছে।ইঁদুর ভাবে বিড়াল আবারখাবে কী তার ছানাএমন মধুর বাঁধন তাদেরভাবতেও তা মানা!!বিড়াল ভাবছে ছানাগুলোরিষ্টপুষ্ট হলে—পাশের বাড়ির হুলো’কে নিয়েখাবে ওদের গিলে।ক’দিন
পুরোটা পড়ুনমাতার তুলনা হয় না।সোনার খনি হীরার খনিটাকার পাহাড় আরবিশাল বাড়ি অট্টালিকাসবই মানে হার।দেখতে কালো, লম্বা, খাটোকথা হাসি আরতার চোখেতে মায়ার যাদুনেই তুলনা যার।তার হাসিতে মন ভরেতার আদরে জুড়ায় গাডাক শুনে শান্তি ঝরেসে যে আমার প্রিয়— মা।সবুজ বাংলাদেশনদীর ধারেই পথপথ ফুরালেই গাঁগ্রামের পরে গ্রাম পেরুলেওসবুজ ফুরায় না।ডানে সবুজ বায়ে সবুজসামনে পিছেও
পুরোটা পড়ুনহৃদয়ের একূল থেকে ওকূলের দূরত্ব কতো?হাজার মাইলের চেয়েও বেশি?একূলের গর্জে ওঠা ঘূর্ণি কেন ওকূলে পৌঁছে না?ওকূলের শোক কেন একূলে শক্তি হয়ে জাগে না?হৃদয়, তুমি কি কবি হবা?একটু সত্যের জোরে দু চারটি পঙক্তি আছড়ে পড়তো দুকূল বেয়ে! উপচে উঠতো শব্দতরঙ্গ, প্রচণ্ড দ্রোহ কিংবা ঘৃণা।হৃদয়, তুমি কি এনাটমির কন্ট্রাক্টর হবা?একটা মেরুদণ্ডের বড়ো
পুরোটা পড়ুনপান্তা বুড়ি পান্তা মাগে- ছন্দ কাটে ছড়ায় ছড়ায়এবাড়ি যায়, ও বাড়ি যায়- ছন্দে ছন্দে গল্প শোনায়বিরিক্ষ (বৃক্ষ) লাগাও- বিরিক্ষ (বৃক্ষ) লাগাওসবুজ বাঁচাও- বাঁচতে হলে।বুড়ির দুটো নাতি আছে- একটা পরান, একটা পাখিসুযোগ পেলেই ওরাও বলে-ও দাদুমা, ও দাদুমা : কেন জপো এসব তুমি, বুঝাও মাথা মন্ডু,বিরিক্ষ (বৃক্ষ) লাগাও- সবুজ বাঁচাও- এমন
পুরোটা পড়ুনকতো কারণেই মন খারাপ হয় মানুষের---ছোটো বেলায় একটা লাঠি লজেন্সের জন্য কী ভীষণ মন খারাপ হতো!একটা আইসক্রিমের অভাব রাজ্যের মেঘ জড়ো করতো মনের ওপর!একটা হাওয়াই মিঠাইয়ের দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া মনকে কতো রকম বিষণ্ণ করেছে!কৈশোরে মন খারাপ হতো একটা ফুটবলের জন্যমন খারাপ হতো হারকিউলিস হেরে গেলেমন খারাপ হতো সিন্দাবাদের দুঃসময়েমন খারাপ
পুরোটা পড়ুনএকটা কবিতা লেখার জন্য মনটা কেমন বিদীর্ণ হয়ে ওঠে!অ-কবির কি কবিতা লিখতে আছে?মাঠভরা ধানক্ষেত, বালুচর, বাঁশি, মেঘমল্লার রাশি রাশি পড়ে থাকে জসীমউদদীনের 'নক্সী কাঁথার মাঠ' এর মতোঅবেলায়, অবহেলায়- কবিতা হয়ে ওঠে না ওরা।অ-কবির হাতে শব্দ আছে বিস্তর, অর্থের বড় টানাটানি!দোয়েল, ফণীমনসার ঝোঁপে ঝোঁপে চারপাশের পেঁচারা উৎ পেতে থাকে। জীবনানন্দ তবু
পুরোটা পড়ুননিতান্ত মধ্যরাত্রি শেষে, একটি পাখি ডাক দিয়ে যায়,রাত শেষ হয়ে এলো ভোর নেমে গেছে, শিশির-নিমগ্ন ধরায়।ঢেকে যাওয়া কুয়াশা একটু পর মেখে নিবে রৌদ্র,কুয়াশা আর মেঘের চলবে বিরতিহীন যুদ্ধ, দেখা যাবে মহামতি সূর্য,কখনো সাদা কখনো নীল হবে আকাশ।এখানেই, এই নিরুপম বাংলাকে ভালোবেসে পৃথিবীর দ্বিমাত্রিক প্রকাশ।মজুর কর্মে ছুটছে, চাদর পরে যাবে, ঘাম
পুরোটা পড়ুনবছর ঘুরে বার বার ফিরে আসে রক্তপলাশের দিন,আমাদের পলাশরাঙা দিনে আমরাদলবেঁধে চলেছি আগুনপাখি হয়েস্মৃতির মিনারের পাদদেশে,আমরা ছুটেছি ঢোল খরতাল নিয়েবিজয় নিশান উড়িয়ে ধানমন্ডির লেক পেরিয়েবিজয় সরণির পথে পথে,আমরা হেঁটেছি কৃষ্ণচূড়ার ছায়াপথেআগুনের ডালপালা হাতে,আমরা দেখেছি বিজয়ের রঙিন মখমলকী নিদারুণ আবেশে জড়িয়ে রাখেসংশপ্তকের সাহসী রথকে।আজো বিজয় এলেই আগুনমুখো হয়েওঠে শিরীষের ডালপালা, রক্তপলাশগুলোগাঢ়তর
পুরোটা পড়ুন(বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মহসিন রেজার স্মৃতির উদ্দেশে)আমার তুলিগুলো শুকিয়ে কেমন কাঠ হয়ে গেছেবর্ণিল রঙের সব ছিপি উল্টে পড়েলাল-সবুজের প্লটটা হয়ে গেছে কুচকুচে কালোকেমন নিস্পৃহ,কেমন বিবর্ণ!মর্সিয়া গীতও বিবাগী রাতে রাজসিকের মুখটা মনে করে বিব্রত হয় :'সেদিনও সন্ধ্যা গেছে ফুরিয়েপ্রতিদিনের আমি ছুটছিসামনে রাজসিক।'অপ্রতুল হাসি আর কথার খলখলানি আমিসেদিন মাড়িয়ে এসেছি নিপুণ অভিনেতার মতো।আমার
পুরোটা পড়ুন