বৃষ্টি হোক
মন খারাপের দিনেবৃষ্টি আনো ডেকে।বাড়ির সবাই মিলেজল খাবো আজ ছেঁকে।টিনের চালে বৃষ্টি হবেঝরঝরিয়ে জল গড়াবে-বৃষ্টি মাথায় ছাতা দিয়েকলকলিয়ে গল্প হবে।
পুরোটা পড়ুনমন খারাপের দিনেবৃষ্টি আনো ডেকে।বাড়ির সবাই মিলেজল খাবো আজ ছেঁকে।টিনের চালে বৃষ্টি হবেঝরঝরিয়ে জল গড়াবে-বৃষ্টি মাথায় ছাতা দিয়েকলকলিয়ে গল্প হবে।
পুরোটা পড়ুনএকদিন বাবাকে ভয় পেতামবাবার হাতে লাঠি ছিলবুকে তার স্নেহ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আনতেন লজেন্স আর বাদামটানা,সিদ্ধ জলপাই আনতেনখাতা কলম আনতেনবিগলিত স্নেহে কাছে টানতেন।বাবার কাছে অর্থ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আমরা বড় হলামবাবা হাল ছাড়লেনলাঠি পড়ে গেলহাত রিক্ত হলোবেদনায় সিক্ত হলেন বাবা।এখন ছেলের পাঠানো টাকারদিকে বাবার দৃষ্টিমোটা ফ্রেমের পুরু গ্লাসেবাবার চোখ যেন শীতার্ত নদী।হাত
পুরোটা পড়ুনএই তো সেদিন, তবু মনে হয় কতোদিন!তোমার কি মনে আছে অহমিকা? সরি, অনামিকা? জানো তো সেদিন সন্ধ্যাবেলা, কী করে মাথায় ভূত চাপলো! ক্যান্টনমেন্ট পেরোনোর নেশায় পেয়ে বসলো! রাত্রি তখন কতো?তুমি নাকি ছোটটার পড়া করে দিচ্ছিলে! আমিতো আসমানের স্বচ্ছ পূর্ণিমায় তোমাকে ডাক দিলাম, ফোনে! তুমি নাকি সচরাচর রাতে কখনো ছাদেই যাও
পুরোটা পড়ুনচতুর্দিকে নর্দমার খোলা ড্রেইনগিজগিজ করছে সুঁইপোকাময়লার ভাগাড়ে উৎকট গন্ধ মেখেদেবালয়ে যায় পাড়ার নটিরাএকটা পা তার খসে গেছেঘাখানায় ধরেছে পঁচন কোনকালেপায়ের পঁচা ঘায়ের কশে মন রাঙিয়েখোলা মঞ্চে ওঠে কথাবেচা বেশ্যারাএক হাতের পাঁচটা নখেলেগে আছে আঁঠালো মলমলমাখা হাতে দারিদ্র্যের ফিরিস্তিফাইলআপ করে অদম্য ষাঁড়েরাপাঠাকে খাসি করে কানু নাপিতনিপুণহাতে বিচিদুটো ফেলে দেয়অতিগোপনে তুলে নিয়ে
পুরোটা পড়ুনশুদ্ধতম কবি জীবনানন্দআপনি কোথায়?পতঙ্গ পিঞ্জরে পুনর্জন্মেরসাধ ছিল আপনার!করেছে কি বিধিকার্তিকের কাক,সন্ধ্যার সুদর্শন,কিংবা ভোরের দোয়েল?কখনো কি গিয়েছেনঢাকার রেডিসনেকন্টিনেন্টালেসংসদপ্লাজার সান্ধ্য আড্ডায়???এলিটভবনের করিডোরেকাক নিষিদ্ধসুদর্শন নিষিদ্ধদোয়েল নিষিদ্ধ!!!সেখানে অবিরল শিকারির আনাগোনাআপনার কথা কেউ বলে না!সেখানে হিশেব হয়নগদ নোটেরসফটওয়্যারেরভাংগারি দোকানের, কয়লা কাঠের আরট্রাম্পভর্তি হরিণের!!আপনি পড়ে থাকেন পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসরূপীমধ্যবিত্তের ভাঙা শেলফেবিপণ্ন জীবনেবিবর্ণ হৃদয়ে!!পৃথিবী 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' চায় নাচকচকে
পুরোটা পড়ুনঅনেকদিন পর, দীর্ঘদিন দীর্ঘ রজনী কেটে গেছে তুমিহীন,চলন্ত ট্রেন, একটি বগি, মোচড় দিয়ে বেজে উঠল হৃদয়বীণ।আজকে হঠাৎ মুখোমুখি, অযুত নিযুত চাপাপড়া কষ্টশ্রাবণ মেঘের মতো দীর্ঘশ্বাস ভেসে উঠল স্পষ্ট।আমাকে পরিবারে শিখিয়েছিল বেঁচে থাকতে, আর সমাজ শিখিয়েছে কিভাবে মরতে হয়,মুখোমুখি বসে আছি অথোচ কোন কথা নেই। কি চমৎকার নিদারুণ ভয়!চোখ-কান-জিব্বা-নাসিক- ত্বক পঞ্চ
পুরোটা পড়ুনআমাদের শৈশব ছিল বৃষ্টিমাখা রোদ্দুরআমরা বলতাম খেকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে!আমরা পড়তাম- 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুরনদেয় এলো বান'! আহ! কী বিষণ্ন মেদুর!আমাদের তারুণ্যে বৃষ্টি ছিল অবিরাম,আমরা দেখতাম বকের সারির পলায়ন!আমরা জসীমউদদীনের মন খারাপ করা'পল্লীবর্ষা' কবিতা পড়তাম। কেয়াবনের বৃষ্টিদেখে আমরা গাইতাম- 'এমন দিনে তারেবলা যায়...'! আমাদের আকাশজুড়ে বৃষ্টিনামতো- 'বৃষ্টি, বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি...'!এরপর আমাদের
পুরোটা পড়ুনআজ আমি কোনো ফুলের ছবি দেব নাআমার চারপাশ পাথরসমান ক্ষোভআজ আমি ভাতঘুমে যাব নাআমার চারপাশে অগণিত ক্ষুধার্ত মুখআজ আমি কোনো লিরিক লিখব নাআমার চারপাশে শ্রমজীবীর ট্রাজিক শোকআজ আমি বসন্তের গান করব নাআমার চারপাশ কালবোশেখীর স্রোতআজ আমি রাজরাজরার গল্প লিখব নাআমার চারপাশে মেহনতির মর্সিয়া চোখআজ আমি ভোরের দোয়েলের ছবি আঁকব নাআমার
পুরোটা পড়ুনএকটা কবিতা লেখার জন্য মনটা কেমন বিদীর্ণ হয়ে ওঠে!অ-কবির কি কবিতা লিখতে আছে?মাঠভরা ধানক্ষেত, বালুচর, বাঁশি, মেঘমল্লার রাশি রাশি পড়ে থাকে জসীমউদদীনের 'নক্সী কাঁথার মাঠ' এর মতোঅবেলায়, অবহেলায়- কবিতা হয়ে ওঠে না ওরা।অ-কবির হাতে শব্দ আছে বিস্তর, অর্থের বড় টানাটানি!দোয়েল, ফণীমনসার ঝোঁপে ঝোঁপে চারপাশের পেঁচারা উৎ পেতে থাকে। জীবনানন্দ তবু
পুরোটা পড়ুনআজি হতে শতবর্ষ আগেপুষ্পিত সৌরভ হয়েবাংলার তটিনী সৈকত ধরেবহিত্রের পালে লেগেছিল হাওয়াবিহঙ্গের বিচরণে শিহরিত শীষ।ধানসিঁড়ির পুষ্পদাম থেকেটুঙ্গিপাড়ার তটে শুভক্ষণে এলেখোকানাম নিয়ে বঙ্গভূমির বুকেসাতকোটি গোলাপের একটিনীলকণ্ঠ হয়েশুষে নিলে নৈরাজ্যের বিষ।আদরের খোকা থেকে আশ্রয়ের ভাইসাতকোটি মাল্লার অনন্য এক ঠাঁইবাংলার বটবৃক্ষ নিপীড়িতের নীড়বলিষ্ঠ আঙুলে ভাঙে জালিমের ভীড়আজি শতবর্ষ পরেও বৃক্ষটি সজীবকচি পাতাগুলো হয়নিতো
পুরোটা পড়ুন