নিতান্ত মধ্যরাত্রি শেষে, একটি পাখি ডাক দিয়ে যায়,রাত শেষ হয়ে এলো ভোর নেমে গেছে, শিশির-নিমগ্ন ধরায়।ঢেকে যাওয়া কুয়াশা একটু পর মেখে নিবে রৌদ্র,কুয়াশা আর মেঘের চলবে বিরতিহীন যুদ্ধ, দেখা যাবে মহামতি সূর্য,কখনো সাদা কখনো নীল হবে আকাশ।এখানেই, এই নিরুপম বাংলাকে ভালোবেসে পৃথিবীর দ্বিমাত্রিক প্রকাশ।মজুর কর্মে ছুটছে, চাদর পরে যাবে, ঘাম
পুরোটা পড়ুনকবিতা
বছর ঘুরে বার বার ফিরে আসে রক্তপলাশের দিন,আমাদের পলাশরাঙা দিনে আমরাদলবেঁধে চলেছি আগুনপাখি হয়েস্মৃতির মিনারের পাদদেশে,আমরা ছুটেছি ঢোল খরতাল নিয়েবিজয় নিশান উড়িয়ে ধানমন্ডির লেক পেরিয়েবিজয় সরণির পথে পথে,আমরা হেঁটেছি কৃষ্ণচূড়ার ছায়াপথেআগুনের ডালপালা হাতে,আমরা দেখেছি বিজয়ের রঙিন মখমলকী নিদারুণ আবেশে জড়িয়ে রাখেসংশপ্তকের সাহসী রথকে।আজো বিজয় এলেই আগুনমুখো হয়েওঠে শিরীষের ডালপালা, রক্তপলাশগুলোগাঢ়তর
পুরোটা পড়ুন(বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মহসিন রেজার স্মৃতির উদ্দেশে)আমার তুলিগুলো শুকিয়ে কেমন কাঠ হয়ে গেছেবর্ণিল রঙের সব ছিপি উল্টে পড়েলাল-সবুজের প্লটটা হয়ে গেছে কুচকুচে কালোকেমন নিস্পৃহ,কেমন বিবর্ণ!মর্সিয়া গীতও বিবাগী রাতে রাজসিকের মুখটা মনে করে বিব্রত হয় :'সেদিনও সন্ধ্যা গেছে ফুরিয়েপ্রতিদিনের আমি ছুটছিসামনে রাজসিক।'অপ্রতুল হাসি আর কথার খলখলানি আমিসেদিন মাড়িয়ে এসেছি নিপুণ অভিনেতার মতো।আমার
পুরোটা পড়ুনতোমাকে ধান শালিকের দেশে নিয়ে যাবো
তোমাকে একবার ধান শালিকের দেশে নিয়ে যাবো কুমুদিনী ।তারপর তোমার গালের পরতে পরতে মেখে দিবো ধানের ক্ষেতে তামাটে রোদের ঢেউ,প্রান্তিক নগরীর রাজপথ ছুঁয়ে ধীরে ধীরে হেঁটে যাবো হিজল বনের দিকেতখন রোদ গড়াবে বিকেলের বারান্দায়সবুজ গাছের পাতায় পাতায় চুম্বন এঁকে দেহ বেয়ে নেমে আসবে বিকালের শান্ত রৌদ্র রস,তুমি পলক তুলে দেখলে
পুরোটা পড়ুনমন খারাপের দিনেবৃষ্টি আনো ডেকে।বাড়ির সবাই মিলেজল খাবো আজ ছেঁকে।টিনের চালে বৃষ্টি হবেঝরঝরিয়ে জল গড়াবে-বৃষ্টি মাথায় ছাতা দিয়েকলকলিয়ে গল্প হবে।
পুরোটা পড়ুনএকদিন বাবাকে ভয় পেতামবাবার হাতে লাঠি ছিলবুকে তার স্নেহ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আনতেন লজেন্স আর বাদামটানা,সিদ্ধ জলপাই আনতেনখাতা কলম আনতেনবিগলিত স্নেহে কাছে টানতেন।বাবার কাছে অর্থ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আমরা বড় হলামবাবা হাল ছাড়লেনলাঠি পড়ে গেলহাত রিক্ত হলোবেদনায় সিক্ত হলেন বাবা।এখন ছেলের পাঠানো টাকারদিকে বাবার দৃষ্টিমোটা ফ্রেমের পুরু গ্লাসেবাবার চোখ যেন শীতার্ত নদী।হাত
পুরোটা পড়ুনএই তো সেদিন, তবু মনে হয় কতোদিন!তোমার কি মনে আছে অহমিকা? সরি, অনামিকা? জানো তো সেদিন সন্ধ্যাবেলা, কী করে মাথায় ভূত চাপলো! ক্যান্টনমেন্ট পেরোনোর নেশায় পেয়ে বসলো! রাত্রি তখন কতো?তুমি নাকি ছোটটার পড়া করে দিচ্ছিলে! আমিতো আসমানের স্বচ্ছ পূর্ণিমায় তোমাকে ডাক দিলাম, ফোনে! তুমি নাকি সচরাচর রাতে কখনো ছাদেই যাও
পুরোটা পড়ুনচতুর্দিকে নর্দমার খোলা ড্রেইনগিজগিজ করছে সুঁইপোকাময়লার ভাগাড়ে উৎকট গন্ধ মেখেদেবালয়ে যায় পাড়ার নটিরাএকটা পা তার খসে গেছেঘাখানায় ধরেছে পঁচন কোনকালেপায়ের পঁচা ঘায়ের কশে মন রাঙিয়েখোলা মঞ্চে ওঠে কথাবেচা বেশ্যারাএক হাতের পাঁচটা নখেলেগে আছে আঁঠালো মলমলমাখা হাতে দারিদ্র্যের ফিরিস্তিফাইলআপ করে অদম্য ষাঁড়েরাপাঠাকে খাসি করে কানু নাপিতনিপুণহাতে বিচিদুটো ফেলে দেয়অতিগোপনে তুলে নিয়ে
পুরোটা পড়ুনশুদ্ধতম কবি জীবনানন্দআপনি কোথায়?পতঙ্গ পিঞ্জরে পুনর্জন্মেরসাধ ছিল আপনার!করেছে কি বিধিকার্তিকের কাক,সন্ধ্যার সুদর্শন,কিংবা ভোরের দোয়েল?কখনো কি গিয়েছেনঢাকার রেডিসনেকন্টিনেন্টালেসংসদপ্লাজার সান্ধ্য আড্ডায়???এলিটভবনের করিডোরেকাক নিষিদ্ধসুদর্শন নিষিদ্ধদোয়েল নিষিদ্ধ!!!সেখানে অবিরল শিকারির আনাগোনাআপনার কথা কেউ বলে না!সেখানে হিশেব হয়নগদ নোটেরসফটওয়্যারেরভাংগারি দোকানের, কয়লা কাঠের আরট্রাম্পভর্তি হরিণের!!আপনি পড়ে থাকেন পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসরূপীমধ্যবিত্তের ভাঙা শেলফেবিপণ্ন জীবনেবিবর্ণ হৃদয়ে!!পৃথিবী 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' চায় নাচকচকে
পুরোটা পড়ুনঅনেকদিন পর, দীর্ঘদিন দীর্ঘ রজনী কেটে গেছে তুমিহীন,চলন্ত ট্রেন, একটি বগি, মোচড় দিয়ে বেজে উঠল হৃদয়বীণ।আজকে হঠাৎ মুখোমুখি, অযুত নিযুত চাপাপড়া কষ্টশ্রাবণ মেঘের মতো দীর্ঘশ্বাস ভেসে উঠল স্পষ্ট।আমাকে পরিবারে শিখিয়েছিল বেঁচে থাকতে, আর সমাজ শিখিয়েছে কিভাবে মরতে হয়,মুখোমুখি বসে আছি অথোচ কোন কথা নেই। কি চমৎকার নিদারুণ ভয়!চোখ-কান-জিব্বা-নাসিক- ত্বক পঞ্চ
পুরোটা পড়ুন