টেসলা শেয়ারের দাম আরও বৃদ্ধি পাওয়ায় মাইক্রোসফ্ট সহ-প্রতিষ্ঠাতা বিল গেটসকে ছাড়িয়ে গেলেন ইলন মাস্ক।
টেসলা হচ্ছে বৈদ্যুতিক গাড়ি তৈরির কোম্পানি। এর সিইও ইলন মাস্ক এখন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। ফলে বিল গেটস হয়ে গেলেন তৃতীয় ধনী ব্যক্তি। আমাজনের প্রতিষ্ঠাতা জেফ বেজোস তার প্রথম অবস্থান ধরে রেখেছেন, যিনি পূর্বে বিল গেটসকে ছাড়িয়ে বিশ্বের শীর্ষ ধনী ব্যক্তি হয়েছিলেন।
শেয়ারের দাম বেড়ে যাওয়ায় ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ৭.২ বিলিয়ন ডলার থেকে বেড়ে গিয়ে ১২৮ বিলিয়ন ডলারে পরিণত হয়েছে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম প্রধান শেয়ার সূচক ‘এসএন্ডপি ৫০০’ তে টেসলা শেয়ার যোগ করা হবে এমন খবর প্রকাশিত হবার পর টেসলার শেয়ার কেনার হিড়িক পড়ে যায়, ফলে কোম্পানির বাজার মূল্য ৫০০ বিলিয়ন ডলারের উপরে পৌঁছে যায়, আর ইলন মাস্ক রাতারাতি হয়ে গেলেন বিশ্বের দ্বিতীয় ধনী ব্যক্তি। গত আগস্ট মাসেও তিনি ছিলেন ৩১ তম ধনী ব্যক্তি।
- জেফ বেজোস এর সম্পদের পরিমাণ আনুমানিক ১৮১.৩ বিলিয়ন ডলার।
- ইলন মাস্কের সম্পদের পরিমাণ ১২৮ বিলিয়ন ডলার।
- বিল গেটসের সম্পদের পরিমাণ ১২৭.৭ বিলিয়ন ডলার। তবে তিনি কয়েক দশক ধরে দাতব্য প্রতিষ্ঠানের জন্য বড় অঙ্কের অনুদান না দিলে সম্পদের এই পরিমাণ আরো বেশি হতো।
কে এই ইলন মাস্ক?

ইলন রিভ মাস্ক একজন দক্ষিণ আফ্রিকান প্রকৌশলী ও প্রযুক্তি খাতে উদ্যোক্তা। তিনি মহাকাশ ভ্রমণ সংস্থা স্পেসএক্স (SpaceX) এর সিইও এবং সিটিও, বৈদ্যুতিক গাড়ি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠান টেসলা মোটরসের সিইও ও পণ্য প্রকৌশলী, সোলারসিটির চেয়ারম্যান, দি বোরিং কোম্পানির প্রতিষ্ঠাতা, নিউরালিংকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা, ওপেনএআইয়ের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রতিষ্ঠাকালীন চেয়ারম্যান এবং পেপ্যালের একজন সহ-প্রতিষ্ঠাতা।
এছাড়াও তিনি হাইপারলুপ নামক কল্পিত উচ্চ গতিসম্পন্ন পরিবহন ব্যবস্থার উদ্ভাবক। ২০১৮ সালে ইলন মাস্ক ‘ফেলো অব দি রয়্যাল সোসাইটি’ নির্বাচিত হন। একই বছর ফোর্বস সাময়িকী ‘বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাবান ব্যক্তি’ তালিকায় ২৫ তম স্থানে তার নাম ঘোষণা করে। ২০১৯ সালে ফোর্বসের ‘আমেরিকার সবচেয়ে উদ্ভাবনী নেতৃত্ব’ তালিকায় যৌথভাবে প্রথম স্থান অধিকার করেন।
ইলন মাস্কের মাতা একজন কানাডিয়ান ও পিতা একজন দক্ষিন আফ্রিকান। তিনি দক্ষিন আফ্রিকার প্রিটোরিয়ায় বড় হয়েছেন। ১৯৮৮ সালে তিনি সতের বছর বয়সে কুইনস বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়ার উদ্দেশ্যে কানাডা গমণের পূর্বে প্রিটোরিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে অল্প সময়ের জন্য লেখাপড়া করেছিলেন। দুই বছর কুইন্স বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করার পর পেন্সিলভ্যানিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে স্থানান্তরিত হন এবং অর্থনীতি ও পদার্থবিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন। – উইকিপিডিয়া।
SpaceX
ইলন মাস্কের স্পেসএক্স সম্পর্কে মনে হয় আমরা সবচেয়ে বেশি জানি। আমাদের বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট এই স্পেসএক্স কোম্পানির মাধ্যমেই উৎক্ষেপণ করা হয়।

স্পেসএক্স একটি আমেরিকান মহাকাশযান প্রস্তুতকারক এবং মহাকাশ যাতায়াত সেবা কোম্পানি। এর সদর দফতর ক্যালিফর্নিয়ায়। মহাকাশ ভ্রমন সহজলভ্য করার এবং মঙ্গল গ্রহে মানুষের বসবাসের স্বপ্ন নিয়ে ইলন মাস্ক এটি ২০০২ সালে স্থাপিত করেন। সেই থেকে স্পেস এক্স ফ্যালকন এবং ড্রাগন মহাকাশযান বানিয়ে যাচ্ছে, যা বর্তমানে পৃথিবীর কক্ষপথে পেলোড ডেলিভার করছে।