আজকে না ফেরার দেশে চলে গেলেন কবি হিমেল বরকত। তিনি পেশায় শিক্ষক হলেও মূলত কবি হিসেবেই সমধিক পরিচিত। শিক্ষক হিসেবেও শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের মধ্যে ছিলেন প্রিয়ভাজন একজন ব্যক্তি। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের অধ্যাপক ছিলেন। লেখাপড়া করেছেন নটরডেম কলেজে ও জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে।
তিনি ১৯৭৭ সালে বাগেরহাট জেলার মোংলা থানার মিঠেখালি গ্রামে জন্মগ্রহন করেন। মোংলার সেন্ট পলস উচ্চ বিদ্যালয় থেকে পাস করেন মাধ্যমিক। তিনি কবি রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লার ছোট ভাই। তিনিও বড় ভাইএর মতো অকালেই চলে গেলেন। রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ মারা যান ৩৪ বছর বয়সে। আর হিমেল বরকত মারা গেলেন মাত্র ৪২ বছর বয়সে। প্রবাদে আছে নাকি কে বলেছে “স্রষ্টা যাদের ভালোবাসে তিনি তাদের অকাল মৃত্যু দিয়ে থাকেন”। এই কথার যথার্থতা মাপার ক্ষমতা আমার নাই। কিন্তু উনার পূর্নতা প্রাপ্তি হয়নি এতটুকু আমার মনে হয়। সবারই তাই মনে হচ্ছে।
তার লেখা আমার পড়া প্রথম বই হল “সাহিত্য-সমালোচক বুদ্ধদেব বসু”। এটি তার প্রথম প্রবন্ধগ্রন্থ। এটি মূলত তার স্নাতকোত্তর থিসিস এর পুস্তকাকারে প্রকাশ। তিনি ২০০২ সালে পিএইচডি ডিগ্রী অর্জন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। তার পিএইচডি এর বিষয়বস্তু ছিল “বাংলাদেশের কবিতায় উত্তর-ঔপনিবেশিক কন্ঠস্বর”।
তার প্রকাশিত কাব্যগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- চোখে ও চৌদিকে, বৈশ্যবিদ্যালয়, দশমাতৃক দৃশ্যাবলী। সম্পাদনা গ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-দুই খন্ডে প্রকাশিত রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ রচনাবলী, কবি ত্রিদিব দস্তিদারের কবিতাসমগ্র, চন্দ্রাবতীর রামায়ণ ও প্রাসঙ্গিক পাঠ, বাংলাদেশের আদিবাসী কাব্যসমগ্র ও রুদ্র মুহম্মদ শহিদুল্লাহ স্মারকগ্রন্থ।
আমি তার আত্মার শান্তি কামনা করছি।