প্রথম পাতা » স্বাস্থ্য » কার স্ট্যামিনা বেশি, নারী নাকি পুরুষের?

কার স্ট্যামিনা বেশি, নারী নাকি পুরুষের?

man woman

আপনার কী মনে হয়? কার স্ট্যামিনা বেশি, নারী নাকি পুরুষের?

ব্রিটিশ কলাম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গ্রুপ দ্বারা পরিচালিত এক গবেষণায় দেখা গেছে যে, পুরুষরা যদিও নারীদের থেকে দ্রুততর, তারা নারীদের তুলনায় ক্লান্তও হয়ে পড়ে অনেক দ্রুত।

পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের পেশী সহনশীলতা বেশি।

গবেষণার জন্য, নয়জন মহিলা এবং আটজন পুরুষকে তাদের পা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব ২০০ বার বাঁকাতে বলা হয়েছিল। গতি, শক্তি এবং ঘূর্ণন সঁচারক বল – তাদের গতিবিধি এবং তাদের পেশীগুলির বৈদ্যুতিক কার্যকলাপ রেকর্ড করা হয়েছিল।

ফলাফল পাওয়া যায়, পুরুষরা প্রথমে দ্রুত এবং বেশি শক্তিশালী ছিল, কিন্তু পরে মহিলাদের তুলনায় অনেক দ্রুত ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল।

গবেষণায় জড়িত বিজ্ঞানীদের একজন, অধ্যাপক ব্রায়ান ডাল্টন বলেছেন: “আমরা জেনেছি যে, স্থির ব্যায়াম, যেখানে জয়েন্টগুলি নড়াচড়া করে না, যেমন ওজন ধরে রাখা, এসকল আইসোমেট্রিক পেশী পরীক্ষার সময় পুরুষদের তুলনায় নারীরা কম ক্লান্ত হয়। কিন্তু আমরা আরও গতিশীল এবং ব্যবহারিক দৈনন্দিন চলাফেরার সময় এটি সত্য কিনা তা খুঁজে বের করতে চেয়েছিলাম।

“এবং উত্তরটি বেশ সুনির্দিষ্ট: মহিলারা ব্যাপক ব্যবধানে পুরুষদের ছাড়িয়ে যেতে পারে।”

গবেষকরা পায়ের নড়াচড়া পরিমাপ করেছেন কারণ এটি পায়ের পিছনের পেশী ব্যবহার করে, যা প্রতিদিনের কাজ যেমন দাঁড়ানো বা হাঁটার জন্য ব্যবহৃত হয়।

অধ্যাপক ডাল্টন ব্যাখ্যা করেছিলেন, পরীক্ষাটি শুধু অংশগ্রহণকারীদের পা ব্যবহার করে করা হয়েছিল, তবে স্ট্যামিনা তত্ত্বটি পুরো শরীরের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য।

ডাল্টন বলেন, “আগের গবেষণা থেকে আমরা জানি, অতিম্যারাথনের মতো ইভেন্টগুলিতে, পুরুষরা দ্রুত সম্পূর্ণ করতে পারে কিন্তু মহিলারা শেষ পর্যন্ত যথেষ্ট কম ক্লান্ত হয়”।

endurance

“যদি কখনও অতি-অতিম্যারাথন তৈরি করা হয়, তবে মহিলারা সেই অঙ্গনে ভালভাবে আধিপত্য বিস্তার করতে পারে।”

ইউনিভার্সিটি অফ গুয়েলফ এবং ইউনিভার্সিটি অফ ওরেগনের সহযোগিতায় পরিচালিত এই গবেষণাটি অ্যাপ্লাইড ফিজিওলজি, নিউট্রিশন অ্যান্ড মেটাবলিজম জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।

স্বাস্থ্য থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

Bikul
বিকুল
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর করেছেন। ভালোবাসেন ব্লগিং করতে এবং অন্যের লেখা পড়তে। অবসর সময় কাটান ভালো মুভি দেখে। সারা বিশ্ব ঘুরে দেখতে চান।

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *