করোনার দ্বিতীয় ঢেউ যে আছড়ে পড়েছে তা ঘোষণা করেছে স্বাস্থ্যমন্ত্রণালয়। বিশেষজ্ঞরা জোর দিয়ে জানাচ্ছে, মানুষের অসচেতনতা ও করোনাকে তোয়াক্কা না করায় বাড়ছে সংক্রমণ। যার জেরে গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে আরও ৭ হাজার ৪৬২ জন করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন। এ সময়ে আরও ৬২ জন আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন। করোনার বিস্তার রোধে আগামী বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে ৭ দিনের কঠোর লকডাউনে যাচ্ছে দেশ। জরুরি সেবা ছাড়া সরকারি-বেসরকারি সব অফিস বন্ধ থাকবে। কোনও যানবাহনের চাকা ঘুরবে না। পোশাক ও সকল শিল্প কারখানাও বন্ধ থাকবে। শুক্রবার (০৯ এপ্রিল) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ কথা জানিয়েছেন জনপ্রশাসন প্রতিমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন। এদিকে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে দেখা দিচ্ছে নতুন তিন উপসর্গ। করোনার দ্বিতীয় ঢেউ শুরুর আগ পর্যন্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) বলে আসছিল সর্দি, গলা ব্যথা, কাশি, মাথা ব্যাথা, জ্বর, হাঁচি, অবসাদ, শ্বাসকষ্ট- এসব উপসর্গ থাকলেই আপনি নিজেকে করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত বলে ধরে নেবেন। কিন্তু এখন বিশ্বজুড়ে করোনার দ্বিতীয় ঢেউ চলছে। এই সময়ে ভাইরাসটি তার চরিত্রেও পরিবর্তন এনেছে। ফলে অনেকেই কোনও ধরনের উপসর্গ ছাড়াই আক্রান্ত হচ্ছেন। করোনা মহামারির প্রথম থেকে ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ হিসেবে সর্দি-কাশি, জ্বর, স্বাদ অথবা ঘ্রাণের পরিবর্তন বিবেচিত হয়ে আসলেও দ্বিতীয় ঢেউয়ে এগুলোর সঙ্গে নতুন করে আরও ৩টি উপসর্গ যুক্ত হয়েছে। সেগুলো হলোঃ
ক) Pink Eyes (গোলাপি বর্ণের চোখ)- চিনে করা একটি সমীক্ষা অনুসারে, গোলাপি চোখ বা কনজেক্টিভাইটিস হ’ল COVID-19 সংক্রমণের নতুন উপসর্গ। গোলাপি চোখের মধ্যে লাল, ফোলাভাব দেখা দিচ্ছে এবং চোখে জল আসছে ক্ষণে ক্ষণে। সমীক্ষায় অংশগ্রহণকারী ১২ জন করোনাভাইরাসের নতুন স্ট্রেনে সংক্রামিত হয়েছিল।
খ) Hearing loss/ impairment (শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস)- শ্রবণ ক্ষমতা হ্রাস পাচ্ছে করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে। ৫৬ জনের মধ্যে সমীক্ষা করা হয়। যার মধ্যে দেখা গিয়েছে ২৪ জন শ্রবণ ক্ষমতা হারিয়েছে।
গ) Gastrointestinal Symptoms (গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল) হজমে সমস্যাঃ – গবেষকরা জানাচ্ছে হজম শক্তির ক্ষতি করছে। ডায়রিয়া, বমি বমিভাব, পেটের ব্যাথা দেখা দিচ্ছে। আপনি যদি হজমের সমস্যায় ভোগেন তাহলে করোনা পরীক্ষা করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা।
ভয়াবহ আকার ধারণ করা করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে উল্লিখিত নতুন তিনটি উপসর্গের কোনও একটি যদিও কারও শরীরে দেখা দেয় তাহলে সময় নষ্ট না করে তাকে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে বলেছেন চিকিৎসা বিশেষজ্ঞরা । পাশাপাশি বাড়িতে থেকেও সামাজিক দূরত্ব ও পুরোপুরিভাবে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে।
সূত্রঃ zee২৪ঘন্টা