আমাদের পৃথিবী। সুন্দর এবং অদ্ভুত বিষয়ে পরিপূর্ণ। শুধু খেয়াল করার বিষয়। এমন কিছু বিষয় আজকে আপনাদের সামনে তুলে ধরব যা হয়তো শুনেননি আগে, শুনে থাকলেও মনে হলেই অবাক লাগে।
১. বিশ্বের সবচেয়ে নীরব কক্ষটি ওয়াশিংটন রাজ্যে মাইক্রোসফ্টের সদর দফতরে অবস্থিত
বলা হয়ে থাকে “Silence is golden”। মাইক্রোসফ্টের ল্যাব রুমটিতে ব্যাকগ্রাউন্ড নয়েজের পরিমাপ করা হয় -20.35 dBA, যা মানুষের শ্রবণশক্তির 20 ডেসিবেল নিচে এবং পৃথিবীর সবচেয়ে শান্ত স্থান হিসাবে বিবেচিত স্থানগুলির পূর্ববর্তী রেকর্ডগুলি ভেঙে দেয়, সিএনএন জানিয়েছে।
“ঘরে প্রবেশের সাথে সাথেই একজন তাৎক্ষণিকভাবে একটি অদ্ভুত এবং অনন্য সংবেদন অনুভব করে যা বর্ণনা করা শক্ত”- বলছিলেন মাইক্রোসফ্টের নীরব কক্ষের প্রধান ডিজাইনার হুন্ডরাজ গোপাল। “আপনি নিজের নিঃশ্বাস নেওয়ার শব্দ শুনতে পারবেন এবং মনে হবে কিছুটা জোরে শোনাচ্ছে।”
২. পৃথিবীর দীর্ঘতম স্থানের নাম ৮৫ বর্ণ দীর্ঘ
অস্ট্রেলিয়ার Mamungkukumpurangkuntjunya পাহাড়ে যারা বসবাস করে তাদেরকে ভালোই কষ্ট করতে হয় নিজের এলাকার নামের বানান শিখার জন্য। একইভাবে ম্যাসাচুসেটের Chargoggagoggman-chauggagoggchaubunagungamaugg লেক, কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার Tweebuffelsmeteen-skootmorsdoodgeskietfontein এলাকার মানুষদেরও কষ্ট। কিন্তু সবাইকে পেছনে ফেলে দিয়েছে নিউজিল্যান্ডের একটি স্থানের নাম যা ৮৫ বর্ণ দীর্ঘ – Taumatawhakatangihanga-koauauotamateaturipukakapikimaung-ahoronukupokaiwhenuakitanatahu। ভাবুন, সেখান থেকে একবার ঘুরে আসলেন। বন্ধুরা জিজ্ঞেস করলো কোথায় ঘুরতে গিয়েছিলেন। এবার বলুন জায়গার নাম।
৩. প্রতি সেকেন্ডে ৪টি শিশুর জন্ম হয়
প্রতি সেকেন্ডে আমরা আমাদের সামগ্রিক জনসংখ্যার মাঝে চারটি নতুন বাচ্চাকে স্বাগত জানাই। সে হিসেবে প্রতি মিনিটে প্রায় ২৫০ জন্ম, প্রতি ঘন্টায় ১৫,০০০ এবং প্রতিদিন ৩৬০,০০০।
৪. সবচেয়ে শীতলতম তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল -১৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট
আপনি মনে করতে পারেন আপনি হিমশীতল বাতাসে অভ্যস্ত। তবে সর্বনিম্ন যে তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল তার তুলনায় সবচেয়ে শীতের দিনও কিছুই নয়। সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছিল -১৪৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট। অর্থাৎ প্রায় -৯৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস। ২০০৪ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে গবেষণার সময় অ্যান্টার্কটিকায় এই তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়। এই তাপমাত্রায় মাত্র কয়েকটি নিঃশ্বাস আপনার ফুসফুসে রক্তক্ষরণ ঘটিয়ে আপনাকে মেরে ফেলবে।
৫. পৃথিবীর ওজোন স্তর ৫০ বছরে সম্পূর্ণ স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসবে
দূষণের কারণে পৃথিবীর ওজোন স্তরটি অনেক ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। এটি সবার জন্য খারাপ সংবাদ, যেহেতু ভঙ্গুর গ্যাস স্তরটি আমাদের গ্রহকে সুরক্ষিত রাখে এবং সূর্যের ক্ষতিকারক অতিবেগুনী রশ্মি থেকে আমাদেরকে রক্ষা করে। সৌভাগ্যক্রমে, জলবায়ু পরিবর্তন বিশেষজ্ঞরা বিশ্বাস করেন যে ওজোন স্তরটি ৫০ বছরের মধ্যে পুরোপুরি সুস্থ হয়ে উঠবে, জাতিসংঘের ২০১৮ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
মন্ট্রিল প্রোটোকল ১৯৮৭ এর ফলে এটি সম্ভব হয়ে উঠছে, যা ক্ষতির জন্য অন্যতম প্রধান কারণ ক্লোরোফ্লোরো–কার্বন গ্যাস বা সিএফসি এর ব্যবহার নিষিদ্ধ করেছিল। আগে সিএফসি রেফ্রিজারেটর, অ্যারোসোল ক্যান এবং ড্রাই ক্লিনিং এর কাজে ব্যবহার করা হতো।
৬. হিমবাহ এবং বরফের স্তর বিশ্বের মিঠা পানির প্রায় ৬৯ শতাংশ ধারণ করে
বিশ্বের পানির মোট পরিমাণের ৯৬% এরও বেশি ধারণ করে সমুদ্রগুলো। যা মূলত লবণাক্ত পানি। বিশ্বের বেশিরভাগ মিঠা পানির সন্ধানের জন্য আপনাকে যেতে হবে মেরু অঞ্চলে, কারণ মিঠাপানির ৬৮.৭% আইস ক্যাপ, স্থায়ী তুষার এবং হিমবাহে আবদ্ধ।
৭. গ্রিনল্যান্ডে বরফের ১.৪ কিমি নিচে জীবাশ্মযুক্ত গাছ রয়েছে
গ্রিনল্যান্ডের প্রায় ৮০ শতাংশ বরফের স্তর দ্বারা আচ্ছাদিত। ব্রিটানিকা ব্যাখ্যা করেছে “এটি উত্তর গোলার্ধের সবচেয়ে বড় এবং সম্ভবত প্লেইস্টোসিন হিমবাহের একমাত্র প্রতীক।” কিন্তু সবসময় কি এটি বরফ আচ্ছাদিত ছিল? ১৯৬৬ সালে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার এক গবেষণায় বরফের ১.৪ কিলোমিটার নিচে গবেষকরা “জীবাশ্ম গাছপালা এবং বায়োমোলিকুলস” পেয়েছেন, যার অর্থ বিশাল বরফের স্তর অন্তত একবার গলে গিয়েছিল এবং আবার তৈরি হয়েছে।
৮. তিমির গান সমুদ্রতলের মানচিত্র তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে
পুরুষ তিমি নারী তিমিকে আকৃষ্ট করতে যে শব্দ করে তা প্রায় ১,০০০ কিলোমিটার (৬০০ মাইল) দূর থেকে শোনা যেতে পারে। এটি সমুদ্রতলের ম্যাপ তৈরিতে ব্যবহার করা যেতে পারে। এই শব্দ পানির নিচে ২.৫ কিলোমিটার (১.৬ মাইল) গভীরতায় পৌঁছতে পারে এবং প্রতিধ্বনি হিসেবে ফিরে আসে এবং গবেষকদের সঠিক পরিমাপ সরবরাহ করে। ২০২১ সালের এক গবেষণায় দেখানো হয়েছে এই শব্দকে কিভাবে আরো ব্যাপকভাবে ব্যাবহার করা যেতে পারে যা সামুদ্রিক জীবনের উপর নেতিবাচক প্রভাব কমাবে। এ ধরনের গবেষণায় সাধারণত এয়ারগান বা বন্দুক ব্যবহার করা হয়।
৯. জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে ফুলের রঙ পরিবর্তিত হচ্ছে
ঘাবড়ে যাবনে না। আপনার পছন্দের গোলাপ ফুল রাতারাতি বেগুনি বর্ণ ধারণ করবে না। কিন্তু ওজোন স্তরের ক্ষতির জন্য গত দশক ধরে অতিবেগুনি রশ্মির যে রেডিয়েশন ঘটেছে তাতে বিশ্বজুড়ে ফুলের রঙে পরিবর্তন এসেছে। ক্লেমসন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিজ্ঞানীদের নেতৃত্বে ২০২০ সালের এক গবেষণায় নির্ধারণ করা হয়েছে যে সময়ের সাথে ফুলের রঙের পরিবর্তন হয়েছে যা তাদের পরাগায়নের জন্য ক্ষতিকর। যদিও আমরা আমাদের খালি চোখে রঙের এই পরিবর্তন দেখতে পাচ্ছি না, কিন্তু এটি মৌমাছিদের মতো পরাগায়নে সহায়তাকারী প্রাণীদের জন্য একটি বড় সমস্যা যারা ফুলের উজ্জ্বল রঙে আকৃষ্ট হয়।
১০. অন্য যে কোনও দেশের তুলনায় বেশি লোক ফ্রান্স ভ্রমণ করে
ফ্রান্স একটি সুন্দর দেশ, সুস্বাদু ওয়াইন, পনির এবং রোম্যান্সে পূর্ণ। জাতিসংঘের বিশ্ব পর্যটন সংস্থা জানিয়েছে যে, বিশ্বের যে কোনও দেশের চেয়ে বেশি লোক ফ্রান্স ভ্রমণ করতে চায়।
২০১৭ সালে ইউরোপীয় দেশ ফ্রান্স ৮৬.৯ মিলিয়ন মানুষকে স্বাগত জানিয়েছে। স্পেন ছিল ৮১.৮ মিলিয়ন দর্শনার্থীর সাথে দ্বিতীয় সর্বাধিক জনপ্রিয় গন্তব্য, তার পরে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র (৭৬.৯ মিলিয়ন), চীন (৬০.৭ মিলিয়ন) এবং ইতালি (৫৮.৩ মিলিয়ন)।
১১. জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কিত প্যারিস চুক্তিটি একদিনে সবচেয়ে বেশি সংখ্যক দেশ স্বাক্ষর করেছে
নিউইয়র্কের জাতিসংঘের সদর দফতরে ২০১৬ সালে ধরিত্রী দিবসে প্যারিস চুক্তিতে স্বাক্ষর করেন ১৭৪ বিশ্ব নেতা। একক দিনে কোনও কিছুতে স্বাক্ষর করতে একত্রিত হওয়া দেশের এই সংখ্যা ছিল সবচেয়ে বেশি। চুক্তির উদ্দেশ্য জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলা এবং এজন্য প্রয়োজনীয় ক্রিয়া ও বিনিয়োগকে ত্বরান্বিত করা।
১২. বিশ্বে কেবলমাত্র একটি দেশ মেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করে না
সরলতার জন্য, বিশ্বের প্রায় ২০০ টিরও বেশি দেশ দৈর্ঘ্য বা ভর জাতীয় জিনিসগুলির বর্ণনা দেওয়ার সময় মেট্রিক সিস্টেম ব্যবহার করে। তবে তিনটি দেশ এর বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল: লাইবেরিয়া, মায়ানমার এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
২০১৮ সালে লাইবেরিয়ার বাণিজ্য ও শিল্পমন্ত্রী উইলসন তারপে বলেছেন যে সরকার জবাবদিহিতা এবং বাণিজ্যে স্বচ্ছতা বাড়াতে মেট্রিক ব্যবস্থা গ্রহণের পরিকল্পনা করেছে। মিয়ানমারও অনুরূপ কথা বলেছে। ফলে আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রই একমাত্র দেশ যারা মেট্রিক পদ্ধতি ব্যবহার করে না।
১৩. মুহাম্মদকে বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নাম বলে মনে করা হয়
জন, জেমস, রাহুল, আকাশ এসব ফেইল। বিশ্বের সর্বাধিক জনপ্রিয় নামটি মুহাম্মদ বলে মনে করা হয়। দ্য ইন্ডিপেন্ডেন্টের মতে, বিশ্বজুড়ে আনুমানিক ১৫ কোটি পুরুষ এবং ছেলেরা এই নামটি ভাগ করে নিয়েছে। মহানবীর নাম অনুসারে বাচ্চাদের নাম রাখা এখন একটি ঐতিহ্য হিসেবে বিবেচিত।
১৪. বিশ্বের সবচেয়ে ব্যয়বহুল মুদ্রা $৭ মিলিয়নেরও বেশি দামে বিক্রি হয়েছিল
১৯৩৩ ডাবল ঈগল ছিল ২০ মার্কিন ডলার মূল্যের মুদ্রা যা স্বর্ণের তৈরি। এটি কখনো বাজারে ছাড়া হয়নি। মাত্র কয়েকটি মুদ্রা তৈরি করা হয়েছিল যার বেশিরভাগ ধ্বংস করে ফেলা হয়েছিল। কয়েকটি মুদ্রা সেখানকার কর্মচারীরা চুরি করেছিল। কয়েক বছর ধরে বিশ্বজুড়ে ঘোরাফেরা করার পরে এবং মিশরের রাজা সহ কয়েকজন উল্লেখযোগ্য মালিকের হাত ঘুরে আসার পরে একটি মুদ্রা ২০০২ সালে Sotheby’s মুদ্রার নিলামে ৭,৫৯০,০২০ ডলারে বিক্রি হয়।
১৫. সবচেয়ে বেশি দ্বীপ রয়েছে সুইডেনের
২২১,৮০০ দ্বীপপুঞ্জ নিয়ে সুইডেন বিশ্বের সবচেয়ে বেশি দ্বীপসম্বলিত রাষ্ট্র। এর মধ্যে প্রায় ১,০০০টিতে রয়েছে মানুষের বসবাস করে।
১৬. সারা বিশ্বের চিড়িয়াখানার বড় পান্ডা চীন থেকে ধার নেওয়া
আপনার স্থানীয় চিড়িয়াখানার পান্ডাকে দেখে মনে হতে পারে সে তার বাড়িতে আরামেই আছে। আসলে বিশ্বের সকল চিড়িয়াখানায় পান্ডাকে লোন হিসেবে দিয়েছে চীন। হ্যাঁ, তারা আসলে চীন সরকারের সম্পত্তি।
১৭. প্রতি ২০০ জনের মধ্যে প্রায় একজন চেঙ্গিস খানের প্রত্যক্ষ বংশধর
১১৬২ এবং ১২২৭ এর মধ্যে তাঁর জীবদ্দশায় চেঙ্গিস খান অগণিত শিশুদের জন্ম দিয়েছিলেন। মঙ্গোল সাম্রাজ্যের এই নেতার কত বংশধর ছিল তা আমরা ঠিক কখনই জানতে পারি না, বিজ্ঞানীরা এখন বিশ্বাস করেন যে প্রতি ২০০ পুরুষের মধ্যে ১ জন অর্থাৎ ১৬ মিলিয়ন লোক তার প্রত্যক্ষ বংশধর।
১৮. কোপেনহেগেন বিশ্বের সর্বাধিক বাইক-বান্ধব শহর
বিশ্বজুড়ে অনেক শহর সাইক্লিস্টদের জন্য উপযুক্ত করতে এবং বাসিন্দাদেরকে আরও পরিবেশ বান্ধব এই পরিবহন ব্যবহারে উৎসাহিত করতে চেষ্টা করছে। এদিক থেকে কোপেনহেগেন একটি রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। এটি বিশ্বের সর্বাধিক বাইক-বান্ধব শহর।
১৯. যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ব্রাজিলের মিলিত জনসংখ্যার চেয়ে ফেইসবুকের ব্যবহারকারী বেশি
আপনি কি ফেইসবুক ব্যবহার করেন? যদি না করেন তবে আপনি এমন একটি সংখ্যার মধ্যে রয়েছেন যা প্রতিদিন কমছে। ২ বিলিয়ন সক্রিয় ব্যবহারকারীদের সোশ্যাল মিডিয়া প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে ফেইসবুক। এই সংখ্যা আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্র, চীন এবং ব্রাজিলের মিলিত জনসংখ্যার চেয়ে বেশি। ফেসবুকের সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও সিইও মার্ক জাকারবার্গ এই মাইলফলকের বিষয়ে পোস্ট করেছেন, “আমরা বিশ্বকে সংযুক্ত করার কাজে এগিয়ে যাচ্ছি, চলুন এখন বিশ্বকে আরও একত্রিত করি”।
২০. “The” দিয়ে শুরু হওয়া নাম রয়েছে কেবল দুটি দেশের
আমরা সাধারণত কোন দেশেন নামের আগে “The” যোগ করে থাকি। ইংরেজি ব্যাকরণেও আমরা এমনটিই পড়েছি। কিন্তু বিশ্বে দুটি রাষ্ট্র আছে যাদের নামেই “The” রয়েছে। রাষ্ট্র দুটি হলো: The Gambia and The Bahamas.
২১. মহাসাগরে প্রায় ২০০,০০০ ধরনের ভাইরাস রয়েছে
কোয়ান্টা ম্যাগাজিন জানিয়েছে, একটি নতুন গবেষণা অনুসারে বিশ্বের মহাসাগরে প্রায় ২০০,০০০ বিভিন্ন ধরণের ভাইরাসের বসবাস। ভয় পাওয়ার মতো বিষয় মনে হলেও বিষয়টি থেকে কিছু সম্ভাবনার কথাও শোনা যায়। ভাইরাস নিয়ে গবেষণা এবং জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবেলায় প্রকৌশলেও কাজে আসতে পারে তারা।
২২. অন্য দেশের তুলনায় নিউজিল্যান্ডের প্রতি পরিবারে বেশি পোষা প্রাণী রয়েছে
নিউজিল্যান্ডে বসবাসকারী লোকেরা আশেপাশে কমপক্ষে একটি পোষা প্রাণীর সাহচর্য্য পছন্দ করে। সে কারণেই দেশে ৬৮% পরিবারের পোষা প্রাণী রয়েছে যা বিশ্বের অন্য কোনও জাতির চেয়ে বেশি।
২৩. প্রতি সেকেন্ডে প্রায় দু’জন মারা যায়
প্রতি সেকেন্ডে পৃথিবীতে চারটি বাচ্চা জন্মগ্রহণ করলেও এটি অনুমান করা হয় যে একই সময়ে প্রায় দু’জন লোক মারা যায়। এর অর্থ হ’ল প্রতি মিনিটে ১০৫ জন মারা যায়, প্রতি ঘন্টায় ৬,৩১৬ জন , ১৫১,৬০০ মানুষ প্রতিদিন এবং ৫৫.৩ মিলিয়ন মানুষ প্রতি বছর মারা যায়। দুঃখিত, সব চমকপ্রদ তথ্য মজাদার নয়!