১। প্রশ্ন
অর্পিতা, একদিন হেমন্তের কোনএক সরস বিকেল,
তোমার জানালার বাতাসে মিঠেকড়া রোদের শেষ ঝলক
উত্তরের মৃদু, মৃদুতর শৈতিধারায় ভেসে তোমার প্রেম;
আমাদের হয়েছিলো তোমার কামরার নির্জনতায়।
অবাধ্য দুঃসাহসে তোমাকে ছুয়েছিলো যে হাত, সে আমার।
দুর্নিবার আকাঙ্ক্ষায় তোমাকে নিষ্পেষণের ভঙ্গিতে বেঁধেছিলো
যে দুরন্ত দুর্বার বাহু, সে আমার।
তোমার পেলব বুকের ধুকপুক থেমেছিলো যে বুকে, সে বুক আমার।
আমার খুব বলতে ইচ্ছে করে- আহত কপোতী’র মত যে নারী
আমার ভালোবাসায় আমার তৃষিত বুকেই কম্পমান,
যার রমনীয় লজ্জা মিশ্রিত ঈষৎ বাধার দেয়াল
আমি ভেঙেছি বালির বাঁধের মতোন, আমার শরীরে, হৃদয়ে
রক্তের রন্ধ্রে রন্ধ্রে দুর্নিবার কামনায়; সে আমার।
সেই প্রিয়তম নারী প্রেমে ও ব্যক্তিগত বাসনায় আমার, শুধুই আমার।
অর্পিতা, যে হাত, আঙুল ও তালু তোমাকে ছুয়েছে; তুমি তাকে নেবে?
যে শরীর পরশ মেখেছে তোমার শরীরে; তুমি তাকে নেবে?
যে ঠোঁট ছুয়েছে তোমায়, ছুয়েছে শিহরণে কাঁপা পেলব শরীর
তুমি তাকে নেবে? তোমার ভালোবাসায়।
অর্পিতা, তোমাকে চায় যে শরীর, হৃদয়
তুমি কি তাকে নেবে? দেবে তোমায়…..
২। আর একটি মুহূর্তের প্রার্থনা
যদি আর একটি মুহূর্ত পেতাম তোমাকে ভালোবাসার
চুম্বনে চুম্বনে সিক্ত ঠোঁট ও ওষ্ঠ পেত অমরতা।
যদি আর একটি মুহূর্ত পেতাম তোমাকে ভালোবাসার
ক্লেদ ধুয়ে নোনাস্নানে পবিত্র হতো আমার শরীর।
যদি আর একটি মুহূর্ত পেতাম তোমাকে ভালোবাসার
প্রোথিত হতো ভালোবাসার রক্তবীজ; তোমার অভ্যন্তরে
বৃক্ষের ন্যায় তোমাকে জড়াতাম আমি বাড়ন্ত রোদের মতো
পত্র পল্লবে শাখা-প্রশাখায়, প্রগাঢ় মায়ায়।
আমাকে জড়াতে তুমি ঘন ছায়ায় আচ্ছ্বাদিত প্রেমে, স্বপ্নেয় ভালোবাসায়।
অর্পিতা, যদি আর একটি মুহূর্ত পেতাম ভালোবাসার
স্বর্গ তুচ্ছ হতো আমাদের কাছে।
তোমার, আমার, আমাদের প্রেমে; ভালোবাসায়।
০৫ নভেম্বর ২০২১। ফরিদপুর।