আমিতো সখি সদা শিষ দিয়ে যাই,
গেয়ে যাই গান তোমার কর্ণমূলে!
তবে কেন কর তব এত মিনতি?
কাছে ডাকো মোরে আকুতি ভরা কন্ঠে,
শুধাও বারবার!
শুনতে চাও পাখির কলরব।
অবজ্ঞায় করেছ হেলা এতদিন যারে,
এক্ষণে যে স্মর তারে!
শুনতে চাও সংগীত তার দরাজ কন্ঠে।
তবে কি কেঁটেছে মোহ ভায়োলিন আর পিয়ানোর?
শেক্সপিয়ার আর জনসনের লেখা কবিতা ফেলে শুনতে চাও আবৃত্তি নজরুল আর রবি ঠাকুরের।
শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কামরা ফেলে ভাল লাগে এখন তোমার বাতায়ন খোলা রেখে
দক্ষিণা সমিরনে গা ভাসাতে,অঙ্গ ভেজাতে।
বেলা কি তোমার তবে ফুরিয়ে এলো?
নাহ্! এ কি ভাবছি আমি!
বেঁচে থাকো তুমি সহস্র বছর ধরে এই ধরণী তলে একান্তই আমার হয়ে।
নিশ্চিন্ত,নির্বিঘ্ন নিশি যাপনে সঙ্গী হয়ে থাকব তোমার সাথে।
ঘুম যদি আসে তখন গভীর আবেগে জড়াব তোমায়,
লুকাব মস্তক মম তব বক্ষ মাঝে।
তুমি তখন তোমার মেহেদী রাঙা হাত
বুলিয়ে দিবে আমার মস্তকে।
অপার শান্তির এক স্বর্গীয় ঘুমে নিমগ্ন হব আমি।
এই ঘুম যেন না ভাঙে,,,,,,,,!
তারিখ: ১৭.১২.২৪