প্রেমিকার মতো ঠোঁট, পৃথিবীর ওষ্টে চলে ষড়যন্ত্র-
আমাদের কবিতারা কথা কয়না,
ভালোবাসার আয়না সবুজ ঘাসে সূর্যের মতো নরম পায়ে হাঁটে-
দূর্বাদল কার্তিক মাসের গহীন রাতে গণতন্ত্র ছুঁয়ে নিমজ্জিত হয় মদের গ্লাসে।
তারপর অনেক চড়াই-উতরাই পেরিয়ে জলপরীর মতো আসে নির্বাচন।
আমার কথা তোমার কথা কারো থাকে না মনে,
কেউ কেউ গোপনে, আবার কেউ সংগোপনে
কেউ চলে ঢেউয়ে ঢেউয়ে
আমাদের সবুজ বাটন অট্টালিকার পাশে কোন রকমে বেঁচে থাকার আশা নিয়ে পৃথিবীর এই মহাসমুদ্র পাড়ি দেয়।
তারপর একদিন ঈশ্বরের দরজায় কড়া নাড়ে।
আমাদের আগে ঈশ্বরের কানে ভুল সব মন্ত্র দিয়ে যায় সমাজপতিরা,
ঈশ্বর নির্ঘাত পক্ষপাত তুষ্ট না হলে আমাদের সেখানেও নির্মল বেঁচে থাকার কোন অধিকার নেই।
আমাদের অধিকারের কাঁটাতার মোড়ানো।
বছরের-পর-বছর সহস্র বছর শতাব্দীর কোণে লেখা থাকে আমাদের না পাওয়ার দুঃখ,
আমাদের ভোটে কেউ নির্বাচিত হয় না,
আমাদের ভোট আমাদের জোট অনেকটা নিঃস্ব পড়ে রয় ভালোবাসার পরিত্যক্ত ডাকবক্সে।
আমাদের প্রেমিকাদের ঠোঁট বিষাক্ত করে তুলেছে অসুরের দল,
আমাদের প্রেমিকারা নির্জীব দুর্বল,
আমাদের বাহুবল ডাস্টবিনের ছেঁড়া তেনা,
যেখানে অর্থ নিমিত্ত তৈরি করে সেখানে আমাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই আছে এইটুকু ভেবে পাঁচ ডজন বছর পার করে দেওয়া যায়।
বালুঘাট, ঢাকা।
০৯ জানুয়ারি ২০২২
(কবিতার শিরোনামটি বিশ্বকবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “বধূ”কবিতা থেকে নেয়া।)