প্রথম পাতা » খেলা » নজরুলের জন্মদিনে দোয়ার দরখাস্ত ও মায়ের দোয়া ক্রিকেট বোর্ড প্রসঙ্গ

নজরুলের জন্মদিনে দোয়ার দরখাস্ত ও মায়ের দোয়া ক্রিকেট বোর্ড প্রসঙ্গ

Nazrul Cricket

বাংলা সাহিত্যের ঝাঁকড়া চুলের ঝাক্কাস কবি কে. এন. ইসলাম (কাজী নজরুল ইসলাম) ব্রো’র শুভ জন্মদিনে তাঁর জন্য হেপি বাড্ডে জানাই। কাজীর পোলায় ১৯২১ এ ‘বিদ্রোহী’ কবিতা লেখেন। আজকের দিনে লিখলে বড় করে ফিচার হতো- ‘হালায় কামডা করলো কী’ ! এই কবিতা লিখে নাড়া দিয়েছিলেন তিনি ব্রিটিশ শাসনের ভিত্তিমূলে। অন্যায়ের বিপরীতে ন্যায় প্রতিষ্ঠায় তিনি সশস্ত্র বিপ্লবকে করেছিলেন তাঁর কনটেন্ট। অবশ্য ২০২১ এ হলে নজরুল ব্রো কবি না হয়ে হতেন কনটেন্ট ক্রিয়েটর ! তাঁর একটি ফেসবুক পেজ থাকতো। ফ্রেন্ড-ফলোয়ারে ‘কীএক্টাবস্থা’ টাইপ ঝামেলায় পড়তেন। সপ্তাহান্তে শোরুম উদ্বোধনে গিয়ে শেলফি দিতেন। কোনো খাবারের দোকান উদ্বোধনের পর ক্যাপশন হতো এরকম :
“‘হোটেল জান্নাত’ যেন মায়ের ঘর
তোরা সব জয়ধ্বনি কর!”

কাপড়ের দোকান উদ্বোধন করতেন নিয়মিত। ফিতা কাটছেন এমন একটি শেলফির নিচে লিখে দিতেন দু লাইন :

“বল ফ্রেন্ড ফলোয়ার
বল ফেবু বন্ধুগণ
আমি কোথায় এখন,
মম এক হাতে ফিতা কাটার ছুরি আর হাতে আইফোন!”

তারপর ডাক পড়তো লিজেন্ডদের। কমেন্টে লিজেন্ডরা খুঁজে বের করতো কোথায় ফিতা কাটছেন নজরুল ব্রো।

নজরুল ব্রো একালে শ্যামাসংগীত লিখতেন না। কারণ তাঁকে প্রমাণ দিতে হতো তিনি শতভাগ মুসলমান। আকাম কুকাম যাই করেন দাড়ি টুপি লেবাসে আপনাকে প্রকৃত মুসলিম সাজতে হবে। মাঝে মাঝে মক্কায় যেতে হবে। ওখানে গেলে ‘দরবেশ’ও দোয়া পায়। শেয়ার বাজার ক্যালেঙ্কারির জন্য দায়ী হয় মানুষের নিয়তি আর চার আঙুল কপাল! মসজিদ মাদ্রাসায় বিশাল দান করে খুনের মামলার আসামীও হন মসজিদ কমিটির সভাপতি! নজরুলকে নাকে খত দিতে হতো অসাম্প্রদায়িক মনোভাবের জন্য। ধর্মনিরপেক্ষ মতবাদ হলো কুফরি মতবাদ। ‘এক বৃন্তে দুটি ফুল / হিন্দু মুসলমান/ মুসলিম তার নয়নমণি/ হিন্দু তার প্রাণ’ এটা কোনো কাজের কথা না। নজরুলকে কারেকশন করে লিখতে হতো : ‘এক বৃন্তে একটি ফুল/ মুসলিম তার নাম/ জান্নাত আমার স্বপ্নিল আশা/ মদিনা হলো প্রাণ!’

ডিজিটাল কনটেন্ট ক্রিয়েটর নজরুল চাইলে চারবিবি রাখতে পারতেন। তখন অবশ্য গানও পরিবর্তন করতে হতো :

‘মোর বিবি হবে এসো রাণী
দেবো খোঁপায় আরবি হিজাব
মুখে তোমার পরাবো নেকাব
চোখে কালো সানগ্লাস!’

‘বিদ্রোহী’ কবিতায় নজরুল লিখেছেন :
‘ভূলোক দ্যুলোক গোলক ভেদিয়া খোদার আরস আসন ছেদিয়া উঠিয়াছি চির বিস্ময়
আমি বিশ্ব বিধাতৃর!’

খোদার আরস ছেদ করার অপরাধে নজরুলকে একালে ফাঁসিকাষ্ঠে ঝুলতে হতো কিংবা হতেন তিনি দেশছাড়া। আরেক জায়গায় লিখেছেন : ‘আমি ভগবানের বুকে এঁকে দিই পদচিহ্ন।’ এ অপরাধেও তাঁকে বলি দেওয়া হতো রামমন্দিরে। প্রচণ্ড সাম্প্রদায়িক দাঙ্গার মাঝেও কিছুটা সহশীলতা ছিল বৈকি! নইলে জনাব কে. এন. এই কবিতা লেখার দুঃসাহস পান?

কোনো এক ইংরেজ কবি লিখেছেন যে প্রত্যেক কবিকেই মৃত্যুর পর পাঠকের বিচারে শ্রেষ্ঠ কাব্যটি হাতে দেওয়া হবে। তিনি তা পুনরায় পড়বেন। পড়তে গিয়ে ভুল লেখাগুলো আন্ডারলাইন করবেন। কিন্তু সেসব আর শোধরানোর সময় নেই। কাটাকুটি লেখাগুলো নিয়ে কবি নরক যন্ত্রণায় দগ্ধ হবেন। নজরুলকে যদি তাঁর শ্রেষ্ঠ কাব্য হিসেবে ‘অগ্নি-বীণা’ দেওয়া হয় তবে তাঁর কেমন যন্ত্রণা হতো আমার দেখার খুব শখ। বাংলার মানুষ আজ প্রমাণ করতে সমর্থ হয়েছে যে নজরুল আসলে মুসলমানের কবি। তাঁর কবিতা বলতে ‘মসজিদের পাশে আমার কবর দিও ভাই…! আর গান হচ্ছে একটিই- ও মন রমজানেরই রোজার শেষে এলো খুশির ইদ…! বাদ পড়েছে সাম্যবাদী, জিঞ্জির, দোলনচাঁপারা..!

নজরুল গত হয়েছেন বহু বছর হলো। অবশ্য ১৯৪৩ সাল থেকেই তিনি মৃতপ্রায়। বাক শক্তি হারিয়ে তিনি হয়ে পড়েন কার্যত মূক-ভাবুক। এই দেশে অসুস্থতাকে আজো পাপের ফল হিসেবে গণ্য করা হয়। ভাগ্য ভালো নজরুল কিছু গজল, হামদ নাত লিখেছিলেন নইলে তাঁর মূকাবস্থা হতো ভয়ঙ্কর পাপের শাস্তি! রবীন্দ্রনাথ এভাবে অসুস্থ হলে তো কতো মোজেজা ওয়াজের মাঠে ছড়িয়ে পড়তো।

হিন্দু মুসলমান কেউই নজরুলের প্রকৃত প্রকৃতি বুঝতে পারেননি। নজরুল-রবীন্দ্রনাথ আজ দাঁড়িপাল্লায়! অথচ দুজনের কোনো দ্বন্দ্ব ছিল না! নজরুল কোনো যুগের বা হুজুগের কবি নন। তিনি নিজেও রবীন্দ্রনাথকে মেনে নিয়েছিলেন, বলা যায় মানা ছাড়া উপায় ছিল না। তাই তিনি লিখেছেন :

‘পরোয়া করি না বাঁচি বা না বাঁচি, যুগের হুজুগ কেটে গেলে
মাথার ওপর রয়েছেন রবি, রয়েছে সোনার শত ছেলে
শুধু পার্থনা করি যারা তুলে খায় তেত্রিশ কোটি দেবতার গ্রাস
যেন লেখা হয় আমার রক্ত লেখায় তাদের সর্বনাশ!’
— আমার কৈফিয়ত

কবি আল্লামা ইকবাল কোনো এক জায়গায় বলেছেন : আমি যদি একখানা সুখের মধু হতাম তবে টুপ করে নিচে পড়ে যেতাম। আর আমি যদি একখণ্ড দুঃখের মেঘ হই তবে ফরিয়াদ জানাতে জানাতে উঠে যাব আল্লাহর আরসে!

নজরুল ছিলেন দুঃখের গভীর এক বিশালাকার মেঘ ! এতো এতো ফরিয়াদ ছিল তাঁর ! আমার মনে হয় তিনিও উঠে গেছেন আল্লাহর আরসের অনন্ত ছায়াতলে।

যদিও আমার বিশ্বাস প্রচলিত পাপ কবিকে স্পর্শ করেনি। তবু আপনারা যারা মনে করেন তিনি অল্প হলেও পাপ করেছিলেন তাদের কাছে নজরুলের আত্মার শান্তির জন্য দোয়া প্রার্থনা করি।

নজরুলের জন্মদিনের দোয়া চাওয়ার এ লেখায় যোগ হয়েছে সাম্প্রতিক একটি ইস্যু। বাংলাদেশের লাল-সবুজের ক্রিকেট না বলে একে এখন লালসালুর ক্রিকেট বলাই শ্রেয়। এরা এখন প্রচুর হারছে আর বাংলার জনগণ যে দোয়া না করে কেবল সমালোচনা করছে তার সমুচিত জবাব দিয়েছেন টাইগার মজিদরা। এরা যতটুকু ঘাম ঝরালে জেতা যায় তা না করে রাজনীতি, খাবারের দোকান, প্রেম, বিয়ে, নাটক, সিনেমা, বিজ্ঞাপন করে সময় নষ্ট করে। শেষে দোষ হয় দোয়ার! ক্রিকেট যে দোয়ার খেলা আগে জানলে সৌদি বিশ্বকাপ নিতো কয়েকবার। ক্রিকেটার বাছাইয়ের জন্য এখন থেকে কোনো হান্টিং প্রতিযোগিতার দরকার নেই। বিশ্ব ইজতেমা থেকে কপালে দাগ পড়েছে এমন এগারজন তাবলিগি ভাই ধরে আনলেই হবে। এরা আবার কোনো সাতে-পাঁচে নেই। তাদের দোয়া কবুল হওয়ার সম্ভাবনা প্রবল! ক্রিকেট টিমের অধিনায়ক হতে হলে আরো দায়িত্বশীল হতে হবে। হতে হবে প্রফেশনাল। দিস ইজ অ্যা গেইম। এটা খেলে জিততে হয়।

ক্রিকেটের পঁচন ধরেছে বহু আগেই। এর ওয়েটার থেকে শুরু করে প্রেসিডেন্ট পর্যন্ত পঁচা শামুক। তারচেয়ে চলেন খেলা দেখে আসি।

সময় : ২০৪১!
মাঠ : আমেরিকার লস এজ্ঞেলসে আইনস্টাইন ক্রিকেট স্টেডিয়াম
খেলা : টি টুয়েলভ
দল : আমেরিকা বনাম মায়ের দোয়া ক্রিকেট বোর্ড

গ্যালারিতে উপচেপড়া ভিড়। লোকে লোকারণ্য। তিল ধারণের ঠাঁই নেই। গ্যালারির তিনদিকেই আমেরিকার লোকজন। একদিকে মায়ের দোয়া ক্রিকেটের সাপোর্টাররা বসে আছেন। তাদের মুখ হাসি হাসি। হৈ হুল্লোর চিৎকার চেঁচামেচি। হঠাৎ টিভি স্ক্রিনে দেখা গেলো ঝাঁকড়া চুলের বাবরি দোলানো অতি পরিচিত একজনকে ! নজরুল ! গ্যালারিতে! সব সাধারণ মানুষের সাথে চিৎকার করছেন, বাদাম খাচ্ছেন, শিস দিচ্ছেন! একটু পর পর গগনবিদারী স্লোগান দিচ্ছেন ! একেবারে চিল মুডে আছেন !

টিভির ক্যামেরা ঘুরছে ! এ কী ! এটা কে? মি. আর. এন. ট্যাগর ! বলে কী? রবীন্দ্রনাথ ! উনি কেন এখানে? আকাশে ভরা পূর্ণিমা চলছে ! উনি যাবেন বনে ! আজ জোছনা রাতে সবাই গেছে বনে…! ভিআইপি গ্যালারিতে আধাশোয়া হয়ে বসে আছেন তিনি। আরাম কেদারায় চোখ বুজে আসার মতো নীরবতা। কিন্তু তিনি কী কারণে এখানে এসেছেন? আজ তিনি কার সাপোর্ট করবেন? আমেরিকায় কতো বার এসেছেন! আইনস্টাইন তাঁর ভালো বন্ধু ছিল। আমেরিকার প্রতিপক্ষ দলের লোকজন তাঁকে দেখতে পারেনা। এদের সাপোর্ট করা বোকামি। অবশ্য নজরুলকে দেখা যাচ্ছে। বারবার গলা ফাটিয়ে স্লোগান দিচ্ছে। কাছে পেলে বলতে হবে এভাবে স্লোগান দিলে গলায় সমস্যা হবে। গান গাইতে পারবে না। ফোনেও বলা যায় ! অথবা ভিডিয়ো কলেও তাকে চমকে দেওয়া যায়। তিনি যে এসেছেন নজরুল জানেন না। থাক, জানানোর প্রয়োজন নেই। জগতে কিছু রহস্য থাকা ভালো।

দুই দলেরই জাতীয় সংগীত বাজানো হবে। প্রথম শুরু হলো আমেরিকার ন্যাশনাল অ্যান্থেম। জাতীয় পতাকা দিয়ে বক্ষবন্ধনী পরে এসেছে আমেরিকার তরুণীরা। আন্ডারওয়্যারও পরেছে অনেকে। এদের দেশপ্রেম এদের মতোই অদ্ভুত। রবীন্দ্রনাথ দেখলেন প্রচণ্ড করতালি আর চিৎকার ধ্বনির মধ্য দিয়ে শেষ হলো তাদের সংগীত। এখন শুরু হবে বিপক্ষ দলেরটা। রবীন্দ্রনাথ আগ্রহ নিয়ে তাকালেন গ্যালারির দিকে। নজরুল আবারো চিৎকার করছে গলা ফাটিয়ে ! জাতীয় সংগীত শুরু হলো। বঙ্গভঙ্গের বিরোধীতা করে লেখা গানটিকে এরা জাতীয় সংগীতের মর্যাদা দিয়েছে ভেবে রবীন্দ্রনাথ বিস্মিতই হলেন। নজরুল নিজও গলা ছেড়ে গাইছেন আর একটু পর পর চোখ মুছছেন। ছেলেটার চোখে আবার কী পড়লো?

খেলা শুরু হলো। আমেরিকা ব্যাটিং করছে। দুর্দান্ত খেলা শুরু হয়েছে। প্রায় সব বলই বাউন্ডারি পেরিয়ে যাচ্ছে। বার ওভার শেষে আমেরিকার সংগ্রহ ২৪০! নজরুলের মুখ শুকিয়ে গেছে। একজন রবীন্দ্রনাথকে বুঝিয়ে দিচ্ছেন ক্রিকেটের নিয়ম কানুন। এখন প্রতিপক্ষের কতো রান লাগবে? রান জিনিসটা কী সেটাও অনেক কায়দা করে বুঝাতে হচ্ছে।

ব্যাটিং এ নেমে পরপর তিনবলে তিনজন কট ! রান মাত্র ১১! নজরুল গালি গালাজ শুরু করলেন। ৫০ রান হতেই পাঁচ উইকেট খোয়া। নজরুল বাইরে চলে এলেন। সম্ভবত বিড়ি ধরাবেন। ওদিকে আর এন ঠাকুর গভীর চিন্তায় আচ্ছন্ন। বেচারা নজরুলের মন খারাপ হবে ! এটা ভেবেই তিনি কষ্ট পাচ্ছেন।

খেলা শেষ হলো। আমেরিকার তরুণ তরুণীরা গ্যালারিতেই চুমাচুমি শুরু করলো। বিজয়ে আজ কোনো কিছু বাধা নেই।

পরদিন সংবাদে খবর হলো বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার গুরুবপূর্ণ এ খেলায় শোচনীয় পরাজয়ের কারণ দুটি :

১. দেশের মানুষ দোয়া করে নাই। গ্যালারিতে ওরা সংখ্যায় বেশি হওয়ায় দোয়া গেছে ওদের অনুকূলে
২. গ্যালারিতে একজন হিন্দু কবি দেশের সাপোর্ট করায় গোহারা হেরেছি।

আগামী শুক্রবার খরা কাটানোর জন্য দেশের প্রতিটি মসজিদে বিশেষ দোয়ার আয়োজনের নির্দেশ দিয়েছে বোর্ড।

এ সংবাদে জনাব কে এন ইসলাম যথেষ্ট বিরক্তি প্রকাশ করলেন ! গ্যালারিতে রবীন্দ্রনাথ ছিলেন এ সংবাদে তিনি ব্যাপক বিস্ময় প্রকাশ করলেন! এতোবড় একটা খবর অথচ তিনি জানলেন না? জানলে একসাথে বসে খেলা দেখতে পারতেন!

সেদিন নজরুলের জন্মদিন। রবীন্দ্রনাথ হোয়াটসঅ্যাপে নজরুলকে মেসেজ করেছেন :

“গ্যালারিতে তোমাকে দেখলাম। খুব চিৎকার করছিলে সেদিন। এভাবে গলার ওপর চাপ দিতে নেই। কণ্ঠস্বর ব্যক্তির অনির্বচনীয় সম্পদ। এর যত্ন হওয়া চাই। ভালো কথা, তোমাদের দলের খেলোয়াড়রা কেউ জাতীয় সংগীতের সময় ঠোঁটও নাড়ায়নি। আমার মনে হয় তারা এটি প্রত্যাখ্যান করে থাকবে। মনের বিরুদ্ধে সংগীত হয় না। দেশপ্রেমও নয়। আরেকটা কথা, ক্রিকেট জিনিসটা আমার কাছে দুর্বোধ্য মনে হয়েছে। দেখলাম তুমি খুব এনজয় করছো। ক্রিকেট শব্দের অর্থ ঝিঁ ঝিঁ পোকা। পোকার সাথে ক্রিকেটের সম্পর্ক কী একটু জানিয়ো তো। জন্মদিনে আশীর্বাদসহ
তোমাদেরই রবি”

খেলা থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

Sujon Hamid
সুজন হামিদ
জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯৮৭ খ্রি., শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম তাওয়াকুচায়। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পারিবারিক জীবনে তিন পুত্র আরিয়ান হামিদ বর্ণ, আদনান হামিদ বর্ষ এবং আহনাফ হামিদ পূর্ণকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। একসময় থিয়েটারে যুক্ত থেকেছেন। রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় করেছেন অনেক পথনাটকে। মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শকে লালন করেন হৃদয়ে। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের। গ্রন্থ: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞানগ্রন্থ 'বাংলাকোষ'(২০২১)।

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *