মহিষ চুরি করতে নাকি ৩ জন লাগে।
১ম চোর মহিষের গলার ঘন্টা খুলে বাজাতে বাজাতে গ্রামের উত্তর দিকে রওনা হয়। ২য় চোর মহিষ নিয়ে গ্রামের দক্ষিণ দিকে হাঁটতে থাকে, আর তৃতীয় চোর ভাল মানুষ সেজে গ্রামের মানুষের সাথে মিশে যায়।
ভাল মানুষ সাজা ৩য় চোর গ্রামের মানুষ কে পরামর্শ দেয়, ঘন্টার শব্দ যেদিক থেকে আসছে মহিষ সেই দিকেই গেছে। বাজনা প্রিয় গ্রামবাসী ঘন্টার শব্দের দিকেই হাঁটতে থাকে। ঘন্টা নিয়ে যাওয়া ১ম চোর নিরাপদ দুরত্বে গিয়ে ঘন্টা ফেলে দিয়ে অন্ধকারে মিশে যায়।
গ্রামবাসী ঘন্টা খোঁজে পেয়ে, ঘন্টা নিয়েই মশগুল থাকে। ২য় চোর মহিষ নিয়ে নিরাপদে চলে যায়, আর ভদ্র মানুষরুপী ৩য় চোরকে কিছুক্ষণ পর খোঁজে পাওয়া যায় না।
দেশের যে কোন ইস্যুতে আমাদের মিডিয়া প্রথমে ঘন্টা বাজিয়ে বাজিয়ে একদিকে যেতে যেতে হঠাৎ মিলিয়ে যায়। আর সুশীল সমাজের পরামর্শে দেশবাসী ঘন্টার শব্দের দিকেই হাঁটতে থাকে। আর এদিকে ঘটনার মূল নায়ক ঘটনা ঘটিয়ে নিরাপদে প্রস্থান করে। মিডিয়া এক সময় থেমে যায়, তখন দেশবাসী কুড়িয়ে পাওয়া ঘন্টা বাজাতে থাকে।
এভাবেই চলছে, চলবে!
ছবি: সংগৃহীত। মহিষ চুরির সাথে ওনাদের কোন সম্পর্ক নেই।