একটি পোস্ট ফেইসবুকে ঘুরাঘুরি করছেঃ
যে শিক্ষা ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে:
১। আমেরিকা তার শ্রেষ্ঠত্ব হারিয়েছে।
২। চীন একটা মিসাইল ও খরচ না করে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ জিতে গেলো।
৩। ইউরোপীয়রা অতোটা মেধাবী নয়, যতোটা মনে হয়।
৪। ইউরোপ -ম্যারিকা টূর না দিয়েও অবকাশ যাপন করা যায়।
৫। ধনীর চেয়ে গরিবের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বেশি।
৬। মূল্যবৃদ্ধিতে মানুষ সর্বদাই সুযোগ সন্ধানী, সে ধনী-গরিব যাই ই হোক।
৭। এই গ্রহে, মানুষ ই প্রকৃত ভাইরাস।
৮। দরিদ্র মানুষের সহায়তায় কোটি টাকা খরচ করতে লাল-ফিতার দৌরাত্ম্য কাজে আসে না।
৯। একজন ফুটবলারের চেয়ে একজন স্বাস্থ্যকর্মী বেশি দরকারী।
১০। ব্যবহৃত না হলে, তেলের কোন মুল্য নেই।
১১। চিড়িয়াখানায় পশু পাখি অনুভূতি কেমন হয়।
১২। প্রকৃতি খুব দ্রুত নিজকে সাজিয়ে-গুছিয়ে নিতে পারে, মানুষের সাহায্য ছাড়াই।
১৩। অধিকাংশ চাকুরী ঘরে বসে করা সম্ভব।
১৪। ছোট-বড় সবাই জাংক খাবার ছাড়া বাঁচতে পারে।
১৫। ছোট ছোট দোষীদের জেলে রাখার দরকার নাই।
১৬। স্বাস্থ্য সচেতন বা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নভাবে বাঁচা কঠিন কাজ নয়।
১৭। রান্নাঘর শুধু মেয়েদের জন্যে না।
১৮। পৃথিবীতে এখনও ভালো মানুষেরা আছেন।
নতুন পৃথিবীতে আপনাকে স্বাগত……..
কে লিখেছেন জানি না। তবে পোস্টটি দেখে কিছু কথা মাথায় বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।
মানুষ ঘরে আটকে আছে। এই সুযোগে পৃথিবী মানবসৃষ্ট ক্ষতগুলোকে যেন সাড়িয়ে নিচ্ছে।
রাস্তার মতো আকাশও পরিষ্কার হয়ে গেছে। যানবাহন, কলকারখানা বন্ধ হওয়ায় বায়ুদূষণ কমেছে, কার্বন নিঃসরণ কমেছে, শব্দদূষণ কমেছে, পানিদূষণ কমেছে।
নাসার স্যাটেলাইট ছবি থেকে দেখা যাচ্ছে চীনের বাতাসে NO2 কতটা কমেছে।
Source: https://earthobservatory.nasa.gov/images/146362/airborne-nitrogen-dioxide-plummets-over-china
মান্না কণা দেব লিখেছেনঃ
পৃথিবীর ফুসফুসকে আক্রান্ত করা হয়েছিলো
এবার মানবজাতির ফুসফুস
তিনি আরও লিখেনঃ
তথাকথিত Firstworld আর ব্যস্ততার অজুহাতে পৃথিবী ভাইরাস সভ্যতায় দ্রুত গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে। প্রকৃতি বুঝি প্রতিশোধের আগুনে বড়ো চোখে তাকিয়ে আছে আর বলছে – “আমি সেইদিন হবো শান্ত,,,,”।
বিলাসিতা, আর্থিক উন্নতি, গরিবের প্রাপ্যতার হিসাব, আত্মীয়ের সাথে বিরাগতা বা অহমিকা, বড়দের সাথে সম্মান, শ্রদ্ধার অভাব, আমিই great, উচ্চ মন মানসিকতা, ব্যভিচার, যেনা, হত্যা, অসুস্থতা, উচ্চ রক্তচাপ, ডায়াবেটিস, হার্টএর সমস্যা গ্যাসট্রোসাইটোকেল সমস্যা, ক্যানসার, সব কিছুকে বুড়ি আংগুল দেখিয়ে আজ করোনা, করুনা করে সবাইকে বিশ্রাম দিচ্ছে।
পরিবারের জন্য যাদের সময় নেই,বাচ্চাদের সময় দিতে কষ্ট হওয়া, পিতামাতাকে অসহ্য মনে করা আজ সারা পৃথিবী ঘরে বসে বাসি মুখগুলো দেখে দিন পার করছে। তাতেও কষ্ট কারন পা দরজায় দেয়া পূর্বের মতো চলার জন্য কিন্তু সেটা কী হতে পারে,,,,মৃত্যু নাকি নতুন সৃষ্টি।
আজ আমাদের ছুটিগুলো প্রকৃতিই দিয়েছে আর সব balance করে নিচ্ছে। গাছপালা, প্রানীকূল, নদী, বায়ুমন্ডল আজ পরিশোধিত হচ্ছে। দূষণ কমাচ্ছে। তবে জৈবিক প্রয়োজনে আবার জনসংখ্যা যদি বৃদ্ধি পায় তাহলে?
ওজন সে ও বাড়বে, ঘুম পর্যাপ্ত( ৮) হবে, টিভি আর নিউজে সময় যাচ্ছে। তবুও সবাই জাগবে, হাসবে, কোটি লাশের ভিড়ে যারা টিকে যাবে তারা যেন সভ্যতাকে আবার ভাইরাসময় না করে।
বেচেঁ যাওয়া মানবসভ্যতার কাছে আকুল আবেদন
“আবার তোরা মানুষ হ”।