‘লালসালু’ উপন্যাস সম্পর্কে মোটামুটি সবারই একটা ধারণা আছে। বিস্তারিত না বলি। একজন মজিদ পেটের জন্য একটি কবরকে আশ্রয় করে ভিনদেশে শক্তির যে শেকড় গড়ে তুলেছিল তাকেই উপজীব্য করেন লেখক। মজিদ ভণ্ড, মজিদ প্রতারক, সে জীবনবিরোধী শোষক। ঐ উপন্যাসের বিখ্যাত সংলাপ : ‘তোমার দাড়ি কই মিয়া?’
দরবেশ কাকার দাড়ির প্রতি আমার কখনই আস্থা ছিল না। করোনাকালে নাপা নিয়ে যে বদমায়েশি সে করেছে তাতে চরম বিরক্ত হয়েছিলাম। আওয়ামিলিগের এই লোকটাকে দ্বিতীয়তম অপছন্দের তালিকায় রাখতাম। শেয়ার কেলেঙ্কারিতে সে ছিল প্রধানতম বদমাশ। কিন্তু তাকে শাস্তি না দিয়ে বরং উপদেষ্টা হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়েছে! বিগত সরকারের অর্থ কেলেঙ্কারির প্রধানতম হারামি বলা যায় একে। একদিন শুনলাম তার বৈধ ইনকাম অর্থাৎ যে টাকার ট্যাক্স দেয় সে তা হলো দৈনিক পঁচিশ লক্ষ !! অর্থাৎ ঘণ্টায় এক লক্ষ সামথিং!!! সেদিন ভেবেছিলাম- আলাদিনের চেরাগ পেতে কি আর ‘চিচিং ফাক’ বলা লাগে? জায়গামতো ‘জয় বাংলা’ বললেই হয়!
দরবেশ গত রমজানের শেষ দশ দিন মদিনায় ইমামের পাশাপাশি থেকে এসেছে! আজ যে বেশে ধরা পড়েছে বাংলার রাজনীতির ইতিহাসে লক্ষ্মণসেনের পলায়নকেও হার মানিয়েছে। উপন্যাসের মজিদ তার কাছে শিশু! ধর্মকে মানুষ নিজের প্রয়োজনে কীভাবে ব্যবহার করে তা আবারো দেখলাম! এসব বদমাশ আপাদমস্তক আলখাল্লায় ঢাকা থাকলেও আসলে ন্যাংটা।
আমি অবশ্য এখনো টাকার উপর বিশ্বাস করি। সত্যি সত্যি যদি এই লোকটার উচিত বিচার এদেশে হয় সেদিন আমি বলবো : জীবনে টাকাই সব নয়! দেখা যাক, কী হয়??