প্রথম পাতা » কবিতা » অ-কবির পঙক্তিমালা

অ-কবির পঙক্তিমালা

poet

একটা কবিতা লেখার জন্য মনটা কেমন বিদীর্ণ হয়ে ওঠে!
অ-কবির কি কবিতা লিখতে আছে?
মাঠভরা ধানক্ষেত, বালুচর, বাঁশি, মেঘমল্লার রাশি রাশি পড়ে থাকে জসীমউদদীনের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ এর মতো
অবেলায়, অবহেলায়- কবিতা হয়ে ওঠে না ওরা।
অ-কবির হাতে শব্দ আছে বিস্তর, অর্থের বড় টানাটানি!

দোয়েল, ফণীমনসার ঝোঁপে ঝোঁপে চারপাশের পেঁচারা উৎ পেতে থাকে। জীবনানন্দ তবু সুদূরে মিলায়- পঞ্চমীর চাঁদ ডুবে গেলে এপারের জীবন বিস্তীর্ণ ধর্মের ষাঁড়কে আলিঙ্গন করে টিকে থাকে। কার্তিকের কাক আসে বারোমাস্যা হয়ে। সগীর কিংবা আলাওলের উট হয়ে আসে নাটোরের বনলতা সেনরা। সেনরা অবশ্য আজকাল সৈয়দ সাজে!

রবিঠাকুরের ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড়ে নজরুল আসে ভড়ং সেজে! সুধীন, বিষ্ণু, বুদ্ধদেবের কবিতাকেও খৎনা দেওয়ার জন্য দৌঁড়ে আসে বারো দরিয়া পেরিয়ে আত্মনিমগ্ন নগ্ন মজিদরা, আসে হুজুর কেবলারা।

আমার আর কবিতা লেখা হবে না কস্মিনকালেও।

(২৪/৪/২৩, শেরপুর)

কবিতা থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

Sujon Hamid
সুজন হামিদ
জন্ম: ২৯ মার্চ, ১৯৮৭ খ্রি., শেরপুর জেলার সীমান্তবর্তী গ্রাম তাওয়াকুচায়। বাংলা সাহিত্যে স্নাতকোত্তর করেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে। পারিবারিক জীবনে তিন পুত্র আরিয়ান হামিদ বর্ণ, আদনান হামিদ বর্ষ এবং আহনাফ হামিদ পূর্ণকে নিয়ে তাঁর সুখের সংসার। একসময় থিয়েটারে যুক্ত থেকেছেন। রচনা, নির্দেশনা ও অভিনয় করেছেন অনেক পথনাটকে। মুক্তিযুদ্ধের মহান আদর্শকে লালন করেন হৃদয়ে। স্বপ্ন দেখেন বৈষম্যহীন সমাজ বিনির্মাণের। গ্রন্থ: বাংলা ভাষা ও সাহিত্যের জ্ঞানগ্রন্থ 'বাংলাকোষ'(২০২১)।

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *