একটা কবিতা লেখার জন্য মনটা কেমন বিদীর্ণ হয়ে ওঠে!
অ-কবির কি কবিতা লিখতে আছে?
মাঠভরা ধানক্ষেত, বালুচর, বাঁশি, মেঘমল্লার রাশি রাশি পড়ে থাকে জসীমউদদীনের ‘নক্সী কাঁথার মাঠ’ এর মতো
অবেলায়, অবহেলায়- কবিতা হয়ে ওঠে না ওরা।
অ-কবির হাতে শব্দ আছে বিস্তর, অর্থের বড় টানাটানি!
দোয়েল, ফণীমনসার ঝোঁপে ঝোঁপে চারপাশের পেঁচারা উৎ পেতে থাকে। জীবনানন্দ তবু সুদূরে মিলায়- পঞ্চমীর চাঁদ ডুবে গেলে এপারের জীবন বিস্তীর্ণ ধর্মের ষাঁড়কে আলিঙ্গন করে টিকে থাকে। কার্তিকের কাক আসে বারোমাস্যা হয়ে। সগীর কিংবা আলাওলের উট হয়ে আসে নাটোরের বনলতা সেনরা। সেনরা অবশ্য আজকাল সৈয়দ সাজে!
রবিঠাকুরের ছায়াসুনিবিড় শান্তির নীড়ে নজরুল আসে ভড়ং সেজে! সুধীন, বিষ্ণু, বুদ্ধদেবের কবিতাকেও খৎনা দেওয়ার জন্য দৌঁড়ে আসে বারো দরিয়া পেরিয়ে আত্মনিমগ্ন নগ্ন মজিদরা, আসে হুজুর কেবলারা।
আমার আর কবিতা লেখা হবে না কস্মিনকালেও।
(২৪/৪/২৩, শেরপুর)