এই তো সেদিন, তবু মনে হয় কতোদিন!
তোমার কি মনে আছে অহমিকা? সরি, অনামিকা? জানো তো সেদিন সন্ধ্যাবেলা, কী করে মাথায় ভূত চাপলো! ক্যান্টনমেন্ট পেরোনোর নেশায় পেয়ে বসলো! রাত্রি তখন কতো?
তুমি নাকি ছোটটার পড়া করে দিচ্ছিলে! আমিতো আসমানের স্বচ্ছ পূর্ণিমায় তোমাকে ডাক দিলাম, ফোনে! তুমি নাকি সচরাচর রাতে কখনো ছাদেই যাও না! তবু বলা! কী আর করা! অগত্যা চলে গেলে চারতলার ওপরে! অপূর্ব জোছনা তাই না! কেমন মায়াবী নীল! চল না হারিয়ে যাই নীলাচলে !
তুমি তো বললে- পাগল! হারানোর টাইম আছে! ছাদে আসতে বললে কেন? জলদি বল! সামনে মিডটার্ম!
এর পরও আমাকে বলতে হবে? আকাশের চাঁদ কি রয়েছে নীরবে! জোছনা দেখোনা চোখে!
তুমি তো আবার হাসলে! চাঁদকেও তো জগতের কেউ কেউ উপেক্ষা করে! বললে- রাবীন্দ্রিক রস কি গলে গলে পড়ে! পাগল নাকি?
আর জোছনাটা?
তারপর তুমি যা বললে তাতে তোমাকে আর কী বলা যায়?
দিগন্ত প্লাবিত ফুটফুটে জোছনাকে যার কাছে ‘পাঁচশ পাওয়ারের লাইট’ মনে হয় তার নাম কী দেওয়া যায়?
অনামিকা না চন্দ্রভূক অমাবস্যা!