অর্পিতা, কতদিন হয় না’ক দেখা আমাদের।
দু’জনার হয়নি’ক দেখা কতদিন।
কতদিন দাওনি’ক খবর তোমার গার্হস্থ্য সংসারের।
আমি জানি, পৃথিবীর অসুখে গৃহবন্দিত্বের দিনে
অসহায় মানুষের ভীড়ে তুমি এক বড় অসহায়।
চাল, নুন, আটা, তেলহীন নিরন্ন সংসারের
ক্ষুধার্ত শিশুর কান্না; রোগ-শোকে কাতর কেঁশো বুড়ো’র
বিমর্ষ বিলাপে নিদ্রা ভাঙে না তোমার। তবুও
চৈত্রের নিরস টবে বিবর্ণ ঘাস লতার মতো তোমার হাসি
দ্যুতি ছড়ায় না আর ভরা ভাদরে যমুনা জলের;
এক প্রেম, ভালোবাসা, মায়াহীন সংসারে।
নিপুণা গৃহিনী তুমি, গলদঘর্মে টানো বন্দিত্বের সংসার।
স্বামী-পুত্র, পরিজনে মুখর। তবুও
প্রাত্যহিকতার পর শ্রান্তিমাখা ঘুমে চুম্বন শিহরণ ভেঁজা
ঠোঁট হাতরে দাম্পত্য সঙ্গম, শ্বেত শোণিত মাখা
কাপড়ে কামের গন্ধ কেবল; বিবর্ণ, ভালোবাসাহীন।
কেবলি নিয়ম: সমাজ, সংসার; শরীর-শরীরের।
চোখের নিচে কালো দাগে গভীর দীর্ঘশ্বাসের সাথে
উবে গেছে অবশিষ্ট ঘুম; কর্পূর দুঃখ গাঁ’য়ে মেখে।
স্বপ্নের ডালিমকুমার ভালোবাসার পথ ভুলে ফিরেছে মনে
কষ্টের বাঁশি হাতে চোখের জল শুকানো পথ বেয়ে।
অর্পিতা, পৃথিবীর অসুখ সারবে একদিন;
পৃথিবীতেই একদিন দেখা হবে আমাদের ফের।
পৃথিবীর সবটুকু ভালোবাসা বুকে এক প্রেমময় হৃদয় তোমাকে রাঙাবে একবার; একটি মুহূর্ত ভালোবাসায়।
অর্পিতা, পৃথিবী আরো একটি সোনালি দিনের অপেক্ষায়
একটি সোনালি দিনে আমরা মথিত হব আবার;
আমাদের ভালোবাসায়।
১৩ এপ্রিল ২০২০, ফরিদপুর।