এক দেশে ছিল এক রাজা। রাজ দরবারে তিনি তার জ্যোতিষকে জিজ্ঞেস করলেন, বলো জ্যোতিষ রাজ্যের ভবিষ্যত কি?
জ্যোতিষ গণনা করতে শুরু করলেন। তার চোখে মুখে চিন্তার ছাপ। রাজা জিজ্ঞেস করলেন কী হয়েছে জ্যোতিষ? তোমাকে এতো চিন্তিত লাগছে কেন?
জ্যোতিষ বললেন, হুজুর আগামী কয়েক মাস পর রাজ্যে ভয়াবহ বন্যা হবে। বন্যার পানিতে তলিয়ে যাবে সবকিছু। সবচেয়ে বিপদের কথা হলো, বন্যার পানি যার গায়ে লাগবে, সেই ব্যাক্তিই পাগল হয়ে যাবে।
রাজা চিন্তা করে দেখলেন, সময় অল্প আর মানুষ এতো বেশি! সকল প্রজার জন্য ব্যবস্থা করা সম্ভব নয়। তাই তিনি নিজের জন্য উঁচু একটি টাওয়ার বানালেন।
বন্যা শুরু হলো। সত্যি সত্যি বন্যার পানি যার গায়ে লাগছে, সে পাগল হয়ে যাচ্ছে।
বন্যার পানি যত বাড়তে থাকলো, রাজা টাওয়ারের তত উঁচুতে উঠতে লাগলেন। বন্যা শেষে রাজা টাওয়ার থেকে নামলেন। এদিকে বন্যার পানি গায়ে লেগে রাজ্যের সকল প্রজা পাগল হয়ে গেলো। তারা রাজাকে দেখে দৌড়ে আসলো। তারা রাজাকে জেরা করতে থাকলো। কোত্থেকে এসেছে, কী উদ্দেশ্য। রাজা বললো, খামোশ, আমি তোমাদের রাজা।
প্রজারা হাসতে শুরু করলো। বলতে লাগলো- শালা পাগল কোথাকার, বলে কিনা সে আমাদের রাজা! এই পাগলটাকে বেঁধে ফেল জলদি। তারা রাজাকে পাগল হিসেবে বেধে ফেললো।
রাজা বলতে লাগলেন, আমার বাধন খুলে দাও। আমি পাগল নই, বন্যার পানি লেগে তোমরা সবাই পাগল হয়ে গেছো। প্রজারা অট্টহাসি দিয়ে ওঠে। বলে, পাগলে কয় কী! হা হা হা…
Moral: সব পাগলের মাঝে সুস্থ মানুষই পাগল হিসেবে বিবেচিত হয়।