ইতিহাস-ঐতিহ্য সমৃদ্ধ ও রাজধানী ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এটি পুরাণ ঢাকার বুড়িগঙ্গা নদীর কোল ঘেঁষে অবস্থিত। ১৮৫৮ সালে ঢাকা ব্রাহ্ম স্কুল নামে প্রতিষ্ঠিত এ স্কুলটি ১৮৭২ সালে জগন্নাথ স্কুল নাম লাভ করে। বালিয়াটির জমিদার কিশোরীলাল রায় চৌধুরী তার বাবার নামে স্কুলটির নাম জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় নামকরণ করেন।
ইতিহাস:
শিক্ষা, ঈমান ও শৃঙ্খলা মূলমন্ত্র নিয়ে২০০৫ সালে মহান জাতীয় সংসদে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় আইন-২০০৫ এর মাধ্যমে একটি পূর্ণাঙ্গ স্বায়ত্বশাসিত সরকারী (পাবলিক) বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে যাত্রা শুরু হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের। বিশ্ববিদ্যালয়টির প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্য ছিলেন অধ্যাপক ড. এ.কে.এম.সিরাজুল ইসলাম খান। বিশ্ববিদ্যলয়টির বর্তমান (২০১৮-২০১৯) উপাচার্য অধ্যাপক ড: মিজানুর রহমান। বর্তমানে প্রায় ১০০০ শিক্ষক ও প্রায় ২৩ হাজার ছাত্র -ছাত্রীর সমন্বয়ে প্রতিষ্ঠানটির পাঠদান কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে। বর্তমানে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট ছয়টি অনুষদে ৩৬ টি বিভাগ ও ০২ টি ইনস্টিটিউট রয়েছে। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই বেশ সুনামের সাথেই শিক্ষা কার্যক্রম চলছে এ বিশ্ববিদ্যালয়টির। গবেষণা ও অন্যান্য খাতে বিশ্ববিদ্যালয়টির ছাত্র ও শিক্ষক মর্যাদার স্বাক্ষর রেখে চলেছেন।
আবাসিক হল:
ছাত্রদের থাকার সুবিধার্থে ডিসেম্বর, ২০১১ইং তারিখ পর্যন্ত সর্বমোট ১০টি হল বা ছাত্রাবাস রয়েছে; তন্মধ্যে ১টি ছাত্রীদের হল। উল্লেখ্য এই সবগুলো হলই বেদখল হয়ে রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার পূর্ব থেকেই। হলগুলো হলোঃ
- বেগম ফজিলাতুন্নেসা মুজিব হল(নতুন ছাত্রী হল)
- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান হল (প্রস্তাবিত)
- ড.হাবিবুর রহমান হল,
- বাণী ভবন হল,
- আব্দুর রহমান হল,
- শহীদ আনোয়ার শফিক হল,
- সাইদুর রহমান হল,
- রউফ মজুমদার হল,
- শহীদ আজমল হোসেন হল,
- বজলুর রহমান হল,
- **নজরুল ইসলাম খাঁন হল ও
- **শহীদ শাহাবুদ্দিন হল।
কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ ও শরীরচর্চা কেন্দ্র:
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় খেলার মাঠ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছেই ধুপখোলায় অবস্থিত। খেলার মাঠটি ১০ একর জায়গা নিয়ে অবস্থিত। খেলার মাঠের পাশেই শরীরচর্চা কেন্দ্র প্রতিষ্ঠা করা হবে।
কেরানীগঞ্জে জবির নতুন ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনের পাশাপাশি একটি হল নির্মাণ করা হবে।