প্রথম পাতা » জীবনযাপন » প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ – জেগে উঠছে ঘুমন্ত দৈত্যরা

প্রকৃতি থেকে দূরে সরে যাচ্ছে মানুষ – জেগে উঠছে ঘুমন্ত দৈত্যরা

Climate Change

এডিবির যৌথ প্রকাশনা
বাংলাদেশের ১৩ শতাংশ ভূখণ্ড সমুদ্রে বিলীন হতে পারে

পরিবেশ দূষণের সামষ্টিক প্রভাবে এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের দেশগুলো বিধ্বংসী পরিণতির সম্মুখীন হতে পারে বলে মনে করে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। সংস্থার পক্ষ থেকে বলা হয়েছে— আগামীতে আবহাওয়া, কৃষি, স্বাস্থ্য, জীববৈচিত্র্য, নিরাপত্তা, বাণিজ্য, নগরায়ণ ও অভিবাসনে মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলবে জলবায়ু পরিবর্তন। এর প্রভাবে দক্ষিণ এশিয়ায় ম্যালেরিয়া, ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রাদুর্ভাব বাড়বে। অপুষ্টির শিকার মানুষের সংখ্যাও বাড়বে। এর ধারাবাহিকতায় বাংলাদেশের প্রায় ১৩ শতাংশ ভূখণ্ড সমুদ্রে বিলীন হয়ে যেতে পারে। আগামীতে বাংলাদেশে বন্যার প্রভাব ২০ শতাংশ বাড়তে পারে বলে পটসডাম ইন্সটিটিউট ফর ক্লাইমেট ইমপ্যাক্ট রিচার্স (পিআইকে) ও এডিবির যৌথ প্রকাশনায় উঠে এসেছে।

‘এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগর অঞ্চলে মানব জীবনে জলবায়ুর প্রভাব’— শীর্ষক প্রতিবেদনটি শুক্রবার ফিলিপাইনের রাজধানী ম্যানিলা থেকে প্রকাশ করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে— পরিবেশ দূষণের কারণে এ অঞ্চলের দেশগুলোর সম্ভাব্য প্রবৃদ্ধি বাধাগ্রস্ত হবে। বর্তমানে উন্নয়নের অর্জনও উল্টোপথে হাঁটছে। খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ কমে আসার পাশাপাশি ব্যয় বাড়ছে। খাদ্য ঘাটতির পরিমাণ বাড়ছে। এর ফলে মানুষের জীবনযাত্রার মানও কমে আসছে।

প্রতিবেদনটিতে বলা হয়েছে, আয়তনে তুলনামূলক কম হলেও বাংলাদেশে ১৬ কোটি মানুষের বসবাস। গড় তাপমাত্রা ৪ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়লে ২০৮০ সালে সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা বাড়বে ৬২ সেন্টিমিটার। এ ফলে সমুদ্র উপকূলের থাকা দেশটির প্রায় ১৩ শতাংশ ভূখণ্ড বিলীন হয়ে যেতে পারে। বন্যার শিকার হতে পারে অতিরিক্ত ২০ শতাংশ ভূমি। ২০৩০ সালের মধ্যে ৩ শতাংশ ভূমি সমুদ্রে বিলীন হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে প্রতিবেদনে। এ সময়ের মধ্যে বন্যার শিকার হবে বাড়তি ৬ শতাংশ জমি।

চলতি শতকের শেষ দিকে এশিয়ার গড় তাপমাত্রা ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত বাড়তে পারে বলে ধারণা দেয়া হয়েছে প্রতিবেদনে। এর ফলে কয়েকটি দেশের তাপমাত্রা অস্বাভাবিক হারে বাড়বে। তাজিকিস্তান, আফগানিস্তান, পাকিস্তান ও চীনের উত্তর—পশ্চিম প্রান্তের তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি পর্যন্ত বাড়বে বলে এতে আশঙ্কা করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়েছে, অস্বাভাবিক তাপমাত্রায় এ অঞ্চলের আবহাওয়া, কৃষি, মৎস্য, ভূমি ও সমুদ্রের জীববৈচিত্র্য, অভ্যন্তরীণ ও আন্তর্জাতিক নিরাপত্তা, বাণিজ্য, নগর উন্নয়ন, অভিবাসন ও স্বাস্থ্য ব্যবস্থাপনায় মারাত্মক নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে। এর ফলে কয়েকটি দেশ অস্তিত্ব সংকটে পড়তে পারে। টেকসই ও অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন লক্ষ্য অর্জনের সম্ভাবনাও চূর্ণ হয়ে যেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হয়েছে প্রতিবেদনটিতে।
এডিবির জ্ঞান ব্যবস্থাপনা ও টেকসই উন্নয়ন বিভাগের ভাইস প্রেসিডেন্ট বামবাং সুশান্তনু এক বিবৃতিতে বলেন, ২১ শতকের শেষে বিশ্ব সভ্যতার সামনে সম্ভবত পরিবেশ বিপর্যয়ই বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দেখা দেবে। এখানে বিশ্বের দুই—তৃতীয়াংশ দরিদ্র মানুষের বসবাস রয়েছে। এশিয়া ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলো পরিবেশ বিপর্যয়ের কারণে সবচেয়ে বেশি ক্ষতির ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের মানুষ আরও তীব্র দারিদ্র্যের সম্মুখীন হতে পারে বলেও তিনি আশঙ্কা করেন।

Natural Disaster

পিআইকে পরিচালক এইচজে স্কিলনহুর বলেন, এশিয়ার মানুষের হাতেই এ বিশ্বের ভাগ্য। পরিবেশের দূষণ থেকে নিজেদের বাঁচাতে পারলে তারা এ গ্রহকেও বাঁচাতে পারবেন। তিনি বলেন, এখন এশিয়ার পরিবেশ নিয়ে দুই প্রান্ত থেকেই চ্যালেঞ্জ রয়েছে। উন্নত দেশগুলো দূষণ কমালে এশিয়ায় গ্রিন হাউস গ্যাসের নির্গমণ কমে আসবে। অন্যদিকে জলবায়ু পরিবর্তনের বিষয়টি সামনে রেখে উন্নতি ও নিরাপত্তা অব্যাহত রাখতে এশিয়ার দেশগুলোকে উপায় খুঁজতে হবে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে এশিয়ার দেশগুলোতে টাইফুন ও সামুদ্রিক ঘূর্ণিঝড়ের আঘাতের হার আরও বাড়বে বলে প্রতিবেদনটিতে আশঙ্কা করা হয়েছে। এর ধারাবাহিকতায় এ অঞ্চলের দেশগুলোতে বৃষ্টিপাতের পরিমাণে তারতম্য হবে। দেশগুলোতে বার্ষিক গড় বৃষ্টিপাত প্রায় ৫০ শতাংশ বাড়বে। যদিও পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মতো দেশগুলোতে বৃষ্টির পরিমাণ ২০ থেকে ৫০ শতাংশ পর্যন্ত কমতে পারে।

প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের কারণে উপকূলীয় ও নিন্মভূমির মানুষের ঝুঁকি বেড়ে যাবে বলে মনে করে এডিবি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, সমৃদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা ১ মিটার বাড়লে এ অঞ্চলের ২৫ শহরের মধ্যে ১৯টিতেই জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হবে। এর মধ্যে ফিলিপাইনের শহর রয়েছে ৭টি। তবে বন্যর কারণে সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে ইন্দোনেশিয়া। ২০২১ সালের মধ্যে দেশটির ৫৯ লাখ মানুষ প্রতিবছর বন্যার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে জানিয়েছে এডিবি।

এতে বলা হয়েছে, বন্যার কারণে বর্তমানে প্রতিবছর কৃষি খাতে ৬০০ কোটি ডলারের ক্ষতি হলেও ২০৫০ সাল নাগাদ এর পরিমাণ বেড়ে দাঁড়াবে ৫ হাজার ২০০ কোটি ডলারে। আগামীতে বন্যার প্রকোপ বাড়তে পারে এমন ২০ মহানগরীর ১৩টির অবস্থান এশিয়া প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলে।

জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ কমে আসার পাশাপাশি এ খাতে ব্যয় বেড়ে যাবে বলে আশঙ্কা রয়েছে এডিবির। সংস্থার প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, চলতি শতকের শেষের দিকে দক্ষিণ এশিয়ার কিছু দেশে খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ অর্ধেকে নেমে আসবে। উজবেকিস্থানে ২০৫০ সালের মধ্যেই খাদ্য উৎপাদনের পরিমাণ ২০ থেকে ৫০ শতাংশ কমবে বলেও ধারণা দেয়া হয়েছে। এর ফলে দক্ষিণ এশিয়ায় অপুষ্ট শিশুর সংখ্যা ৭০ লাখ বাড়বে। এর ধারাবাহিকতায় খাদ্য আমদানি বাবদ ব্যয় বাড়বে ১ হাজার ৫০০ কোটি ডলার।

ভয়ানক খবর! মানব জাতির জন্য ভয়ানক খবর!! আগামী ১০০ বছরের মধ্যে পৃথিবী থেকে মানবজাতি বিলুপ্ত হয়ে যেতে পারে! মানবজাতি বিলুপ্ত হবার জন্য দায়ী থাকবে কিন্তু মানুষই। তার মানে কি? তার মানে আমরাই আমাদের ধ্বংস ডেকে আনছি! অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি কথা। বেলজিয়ামে প্রকাশিত পৃথিবীর জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের খসড়া প্রতিবেদনে এখবর জানানো হয়। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে গ্রিণহাউস প্রতিক্রিয়ার ফলে পৃথিবীর উষ্ণতা দিন দিন বাড়ছে। তাপমাত্রা বৃদ্ধির সাথে সাথে বাড়ছে প্রাকৃতিক দুর্যোগ। প্রতিবছর আরো বেশি বন্যা, খড়া, প্লাবন, সুনামি, ভুমিকম্পের মুখোমুখি হচ্ছে মানবজাতি। দেখা দিচ্ছে খাদ্যাভাব। বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে অনেক প্রজাতি। খুবই ভাবনার বিষয়। কারণ পৃথিবীর তাপমাত্রা বৃদ্ধি পাচ্ছে উদ্বেগজনকভাবে। কার্বন ডাই—অক্সাইডের পরিমাণ বিপুল হারে বাড়ছে। এর ফলে পৃথিবী এবং পৃথিবীর মানুষের যে ভয়াবহ ক্ষতি হবে তা পূরণ করতে লাগবে আরো শত শত বছর।

বিজ্ঞানীরা আশঙ্কা করছেন, পুরো মানব জাতি যদি ধ্বংস নাও হয় তবে শত শত কোটি মানুষের মৃত্যু ঠেকানোর উপায় নেই। বিশ্বের গড় তাপমাত্রা যদি আর ১ দশমিক ৮ ডিগ্রি ফারেন হাইট বাড়ে, তবে সারাবিশ্বে ৪০—১৭০ কোটি মানুষ পরিবেশের বৈরী অবস্থায় পড়বে। ২০০ কোটি মানুষ খড়ার শিকার হবে। ২০—৩০ শতাংশ প্রাণী পৃথিবী থেকে বিলুপ্ত হতে পারে। গড় তাপমাত্রা ৭ থেকে ৯ ডিগ্রি বাড়লে পৃথিবীর প্রায় বেশিরভাগ প্রাণীই বিলুপ্ত হয়ে যাবে। সুতরাং বিশ্বের পরিবেশ পরিস্থিতি ভয়াবহ। আর এর জন্য আমরা— মানুষই দায়ী।

আতঙ্কের খবর— জলবায়ুর ব্যাপক পরিবর্তনে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে যাচ্ছে। গবেষকরা মনে করেন, আসল কাজ হচ্ছে পৃথিবীর তাপমাত্রা কমানো বা শিল্পায়নের আগের তাপমাত্রায় (অর্থাৎ দুই সেলসিয়াসের বেশি নয়) নিয়ে আসা। যুক্তরাজ্যের গবেষণাকেন্দ্র টিনডাল সেন্টারের পরিচালক জন শেলন হাবার—এর মতে, “আমরা যদি দুই ডিগ্রির বেশিতে চলে যাই তাহলে তা হবে নরকে বসবাস।” পূর্ব ও পশ্চিম উভয় এন্টার্কটিক এলাকার বরফ ধ্বসে যাচ্ছে। পূর্ব এন্টার্কটিক এর বরফ ভুমির উপর এবং পশ্চিম এন্টার্কটিকের বরফ গলে সাগরে চলে যাচ্ছে। পাইন দ্বীপের উপসাগরে পশ্চিম এন্টার্কটিকের বরফ পড়ছে এবং ২০০ বছরের মধ্যে সম্পূর্ণ বরফ গলে যাবে এভাবে। মানবজাতির বিভিন্ন কাজকর্মের জন্য যে কার্বন ডাই অক্সাইড ছাড়ে তার এক—তৃতীয়াংশেরও বেশি মহাসাগর শুষে নেয় এবং কার্বনিক অ্যাসিড তৈরি করে। কার্বন ডাই অক্সাইড গ্রহণ করে গাছ। আমরা তো নির্বিচারে গাছ কেটে সাবার করে ফেলছি। বন—জঞ্জল বলতে এখন আর কিছু নেই। বৃক্ষ ও বনে পশুপাখি আর কীট—পতঙ্গের বসবাস। তাদের বসবাসের স্থান না থাকায় বিলুপ্ত হয়ে যাচ্ছে পশুপাখি আর কীট—পতঙ্গ। এই পশুপাখি কীট পতঙ্গরা ক্ষতিকর পোকা—মাকড় আর মৃত পশু—পাখির দেহাবশেষ খেয়ে পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষা করে। আমরা জেনে শুনে সেই উপকারি বন্ধুদের আবাসস্থল গাছ—গাছরা কেটে শেষ করছি! ইশ্, কত স্বার্থপর আমরা! কত যে বোকা!!

তোমরা সবাই জানো যে— বাংলাদেশ ষড়ঋতুর দেশ। একথাটি এখন শুধু পাঠ্য বইতেই খাটে। গ্রীষ্ম, বর্ষা, শরৎ, হেমন্ত, শীত, বসন্ত। চিরচেনা বাংলাদেশের এই ছয়টি রূপই বাংলাদেশকে দিয়েছিলো রূপসী বাংলার খেতাব। সময়ের বিবর্তনে এসে সবকিছুই পাল্টে যাচ্ছে। এখন আর ঋতুভিত্তিক বাংলাদেশকে চেনা যায়না। বদলে যাচ্ছে বাংলাদেশের আবহাওয়ার প্রকৃতি। এখন আর ছয় ঋতুর কোনো ঋতুকেই আলাদা করে চেনা যায় না। এক ঋতুতে আরেক ঋতুর বৈশিষ্ট্য দেখা দিচ্ছে। দেশে গড় তাপমাত্রা বেড়ে গেছে। কমে গেছে বৃষ্টিপাতের পরিমাণ। কার্বন ডাই অক্সাইড বেশি ছাড়ার ফলে মহাসাগরের পিএইচ স্তর কমে যাচ্ছে। আশংকা করা হচ্ছে ২০৮৫ সাল নাগাদ পৃথিবীর এক—তৃতীয়াংশ প্রবাল হারিয়ে যাবে। এশিয়ার মনসুন বা বর্ষাকাল, যার উপর পৃথিবীর অর্ধেক মানুষ নির্ভরশীল তা বিভিন্নভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে। প্রাকৃতিক দুর্যোগ বৃদ্ধি পাবে।

আমাদের নদীগুলো মরে গেছে। পুকুর নেই বললেই চলে। যা আছে তাও ভরাট করা হচ্ছে। নদী আর খাল খনন হচ্ছেনা। বনের গাছ কেটে আমরা সাবার করে ফেলছি। গাছ কাটার আগে গাছ লাগাচ্ছি না। বন না থাকায় আমাদের পশুপাখিরাও বিলুপ্ত হয়ে পড়েছে। মাত্রাতিরিক্ত কীটনাশক ও সার প্রয়োগ করে আমরা জমির প্রাকৃতিক উর্বরা শক্তি নষ্ট করে ফেলেছি। মাটির বিষ পানিতে মিশে আমাদের মাছের প্রজাতি বিলুপ্ত হয়েছে। কলকারখানা, যানবাহন ও ইটভাটার বিষাক্ত কালো ধেঁায়া, শব্দ দ–ষণ, ট্যানারির বর্জ্য, নগরীর সাধারণ ও শিল্প বর্জ্যের অব্যবস্থাপনা সবমিলিয়ে বিষিয়ে তুলেছে পরিবেশকে। ভারসাম্য হারিয়ে ফেলছে পরিবেশ। ফলে পরিবর্তন হচ্ছে আবহাওয়া ও জলবায়ু। একারণে ঘুমন্ত দৈত্যরা জেগে উঠছে। যার আলামত কিন্তু আমরা এখন দেখতে পাচ্ছি। ঘন ঘন ভু—কম্পন হচ্ছে। ভর বর্ষায় তেমন বৃষ্টি নেই। শীতকালে হাড় কাঁপানো শীত নেই। তারপরও আমরা বুঝতে পারছিনা যে— নিজেরা নিজের কতটা সর্বনাশ করছি। আবহাওয়াবিদদের মতে, চট্টগ্রাম ও সিলেট অঞ্চলের পাহাড় কাটার ফলে সেখানকার মেঘগুলো দেশের উত্তরাঞ্চলে সরে গিয়ে বৃষ্টিপাত ঘটাচ্ছে এবং একই সাথে রাজশাহী, রংপুর অঞ্চলে ব্যক্তিগত উদ্যোগে প্রচুর বনায়নের ফলে সেখানে বৃষ্টিপাত কিছুটা বাড়ছে। আবহাওয়ার এই পরিবর্তন আর এর ফলে প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের জন্য দায়ী কিন্তু আমরা নিজেরাই।

তাই সামনে ভয়ানক বিপদ। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় আমাদের এখনই উদ্যোগী হতে হবে। গাছ লাগিয়ে সবুজ বনায়ন সৃষ্টি করতে হবে। জনগনকেউ সচেতন হয়ে নিজ নিজ ক্ষেত্রে ভুমিকা রাখতে হবে। না হলে এর ভয়াল পরিণতির শিকার হবো আমরাই। বিজ্ঞানীরা অবশ্য বলেছেন, এখনো তীব্রভাবে বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ঠেকানো সম্ভব। বিজ্ঞানীদের প্রত্যাশা, মানুষ তাদের ভুল বুঝতে পারবে। এত বেশি পরিমাণ কার্বন ডাই—অক্সাইডসহ দ–ষিত গ্যাস পৃথিবীর বাতাসে ছড়াবেনা। সমুদ্রতত্ত্ববিদ জেমস ম্যাককারথি বলেছেন, এরকম ভয়ঙ্কর খারাপ পরিস্থিতি নিশ্চই তৈরি হবেনা। কারণ আমরা কখনোই এত বোকা হতে পারিনা। আমরা নিশ্চই এরকম বোকামি করব না। নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে মানুষ অবশ্যই সচেতন হবে। সত্যিই কি আমরা এত বোকা হবো?

জীবনযাপন থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

S M Mukul
এস এম মুকুল
লেখক-কলামিস্ট, হাওর ও কৃষি অর্থনীতি বিশ্লেষক

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *