বিশ্বজুড়ে সম্পদ বৈষম্যের চিত্র দেখতে চান? তাহলে উপর থেকে দেখতে হবে। উপরের ছবিটি ভারতের মুম্বাই শহরের, যেখানে একপাশে বহুতল ভবনের সমারোহ এবং অন্যদিকে জীবনযুদ্ধে টিকে থাকার জন্য অবিরাম লড়াই করে যাওয়া মানুষদের বসতি।
নচিকেতার গানের লাইনগুলো মনে আছে?
“ভিড় করে ইমারত,
আকাশটা ঢেকে দিয়ে,
চুরি করে নিয়ে যায় বিকেলের সোনা রোদ।”
শহরগুলোতে যেমন সুউচ্চ অট্টালিকা ঢেকে দিয়েছে সূর্যালোক, তেমনি তার পাশেই স্যাঁতস্যাঁতে পরিবেশে ময়লা, দুর্গন্ধ, নোংরা পানি আর মশার সাথে বসবাস বস্তিবাসীর। এমনই কিছু চিত্র আমাদের সামনে তুলে ধরেছেন ফটোগ্রাফার জনি মিলার।
ড্রোন ব্যবহার করে তিনি সভ্যতার অহংকার সুউচ্চ সিমেন্টের জঙ্গলের ছবি তুলেছেন এবং তার পাশেই প্রতীয়মান হয় জন্মই যাদের আজন্ম পাপ এমন কিছু মানুষের বসবাসের চিত্র।
চলুন তার তোলা কয়েকটি ছবি দেখে নেই।

মুম্বাইয়ের জাতীয় স্টক এক্সচেঞ্জের নিকটে মিঠি নদীর পাশের একটি বস্তি এবং সাজানো গোছানো বহুতল ভবনের আবাসিক এলাকা । শহরটিতে ২৭ তলা বিশিষ্ট ১ বিলিয়ন ডলারের বাড়ি আছে এবং একই সাথে এশিয়ার বৃহত্তম বস্তি এখানে অবস্থিত।

ব্রাজিলের সাও পাওলো শহরে দু্ই রেলপথের মাঝে আবদ্ধ মানুষের জীবনের ছবি এটি।

দক্ষিণ আফ্রিকার জোহানেসবার্গ শহরের একটি চিত্র।
দক্ষিণ আফ্রিকার আরেকটি শহরের ছবি নিচে দেখুন। এখানে দেখা যাচ্ছে পরিচ্ছন্ন, পরিকল্পিত, সবুজায়িত নগরের পাশে গাদাগাদি করে থাকা বস্তির মানুষগুলোর আবাসস্থল।

নিচের ছবিটি ডারবান শহরের। বামপাশে কয়টি পরিবার থাকে আর ডানপাশে কয়টি পরিবার থাকে চিন্তা করে দেখুন।

জনি মিলার এরকম আরো অনেক ছবি প্রকাশ করেছেন। উপরোক্ত ছবিগুলো দেখলে বোধগম্য হয় কতটা বৈষম্যের মাঝে আমরা বেঁচে আছি।
পৃথিবীটা সবার জন্য সমান নয়। বিশ্বের অর্ধেকেরও বেশি সম্পদ এখন ১% জনসংখ্যার হাতে। আরও পড়ুন:
ইলন মাস্কের কাছে হেরে গেলেন বিল গেটস
ধনী ১০% লোকের কাছে পৃথিবীর ৮৫% সম্পদ। নিচের দিক থেকে হিসেব করলে ৫০% মানুষের সম্পদের পরিমাণ ১% এরও কম। করোনা মহামারীর কারণে এই সম্পদ বৈষম্য আরো বাড়বে।