আমার মনে হয় জাতির জন্য একটি আহাম্মকি কাজ হয়ে গেছে! ৩২০০০ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি পদ্মাসেতুর চেয়ে বেশি দরকার ছিল এ জাতির নাট-বল্টুর উন্নয়নে কাজ করা। মস্তিষ্কে গোবর রেখে আপনি যে উন্নয়নই করেন না কেন তা জাতির কোনো কাজে আসবে না। এই নাট বল্টু ঢিলা লোকজন কয়েকদিন থেকেই দেখছি। একজন উচ্চশিক্ষিত সরকারি লোককেও ‘পদমা সেতু’ বলে উপহাস করতে শুনেছি। এরা আসলে পাকিস্তানি প্রেতাত্মা! বাংলাদেশের উন্নয়নে এরা কখনোই উৎসব করতে পারে না। এদের ভিতরটা পুড়ে যায়! জ্বলে যায়! তাই এরা কখনো জাতীয় উদযাপনে অংশগ্রহণ করে না। বাধ্যবাধকতা থাকলেও তা পরিকল্পনামাফিক এড়িয়ে চলে! এরা বঙ্গবন্ধুকে বিশ্বাস করে না, বাংলাদেশকে মানতে চায় না! জাতির কুলাঙ্গার এরা।
ছবি দুটো দেখুন। একজন ছাগল টিকটক বানাচ্ছে। সেতুর দুটি নাট সে খুলেছে। অথচ জাতীয় ছাগলরা তার সাফাই গাইছে! হাত দিয়ে খোলা যায় এটা কেমন নাট! কী সেতু বানাইল! হা হা হা!!!
অথচ এই ছাগলরা কি জানে না হাত দিয়ে জগতের অনেক কিছুই খোলা যায়, স্পর্শ করা যায়! তাই বলে কি সব করতে হবে। আমার যদিও বিশ্বাস ভিডিয়ো করার আগে সে যন্ত্র দিয়েই এটা খুলেছে। পরে দেখিয়েছে যে হাত দিয়ে খোলা যায়! হাত দিয়ে ওর প্যান্ট খোলা যায়, সার্ট খোলা যায়, চেইনও খোলা যায়! ওসব খোলেও তো একটা হিট টিকটক হতে পারত!
আচ্ছা, পদ্মাসেতুর নাটবল্টু হাত দিয়ে খোলা যায় বলে একটা দোষ না হয় কর্তৃপক্ষের হলো কিন্তু দ্বিতীয় ছবিতে কী হলো? এই বদের লাইনার পিস্টন টাইট দিয়েছে কে যে এভাবে হাত দেওয়া ছাড়াই খোলে গেলো!
এসবে কোনো কারণ খুঁজতে যাবেন না। মূলত এটাই বাঙালির মূল স্রোত। অসভ্যতা, বর্বরতা, ধর্মান্ধতা, নোংরামি এ জাতির রন্ধ্রে রন্ধ্রে প্রবেশ করেছে। একটি জাতির ছাত্র জনতা কতটা অবলীলায় একজন অধ্যক্ষকে জুতার মালা পরায় ভাবতে পারেন! শিক্ষককে অসম্মান করা একটি জাতি তিলে তিলে এভাবেই ক্ষয়ে যায়!
ভবিষ্যতে বড় কোনো প্রকল্পমুখী না হয়ে রুগ্ন এ জাতির মানসিক চিকিৎসায় অর্থ ব্যয় করুন। জাতির নাট-বল্টু টাইট করুন।