প্রথম পাতা » মতামত » হীনমন্যতার কোটা থেকে মুক্তি এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার জরুরি

হীনমন্যতার কোটা থেকে মুক্তি এবং সরকারি নিয়োগ প্রক্রিয়ার সংস্কার জরুরি

Quota movement

২০০৪ সাল থেকে জানি বিভাগের আতাউর রহমান খান স্যারের কথা যিনি মাস্টার্স এ পড়াকালীন শিক্ষার্থীদেরও তাঁর কাছে গেলে বলতেন তোমরা কোন বর্ষে পড় বা প্রথম বর্ষে নাকি? এর কারণও আছে তিনি ক্লাস করার সময়ে ক্লাসের শিক্ষার্থীদের মুখের দিকে তাকাতেননা। আমার ধারণা তিনি নিজেকে স্বজনপ্রীতি থেকে বাচিয়ে রাখতে এমনটি করতেন। আমার জানামতে তিনি বাংলাদেশে এবার্ডিন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তজার্তিক সম্পর্কের উপর প্রথম পিএইচডি। স্যার আবার বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নজরুল-রবীন্দ্র পুষ্প উদ্যান করেছেন। তথ্যমতে যেখানে শুধু এমন ফুলগাছ পাওয়া যাবে বা লাগানো যাবে যেটি উক্ত কবিদ্বয় তাদের কোন না কোন লেখায় উল্লেখ করেছেন।

যতদূর মনে পড়ে স্যার প্রায় বলতেন বিশ্ববিদ্যালয় এখানে আবার কিসের খেলোয়াড় কোটা, গানবাজনা কোটা, আবিযাবি কোটা? এখানে গবেষণার জায়গা যার মেধা আছে সেই ভর্তি হবে। মেধার বাইরে বিভাগে শিক্ষার্থী ভর্তির প্রতিবন্ধকতা ছিলেন তিনি। একবারের কথা বলছি, তিনজনকে বিভিন্ন কোটায় ভর্তি করা হয় বিভাগে। কোটায় ভর্তি করতে বাধ্য হয়েছিলেন তিনি অথবা সংশ্লিষ্ট দায়িত্বে ছিলেন না। তবে যাদের ভর্তি করা হয়েছিল তারা নিজেদের কে সবসময় দূরত্ব বজায় রেখে চলত মেধায় ভর্তি হওয়া অন্যান্য শিক্ষার্থীদের থেকে। তারা হীনমন্যতায় ভুগত এটা বোঝা যেত।এমনকি মেধায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের আবাসিক হলেও তাদের এলটমেন্ট হলোনা। ফলে কোটায় ভর্তিকৃত এবং মেধায় ভর্তিকৃত শিক্ষার্থীদের মধ্যে দূরত্ব ঘোচানো আরো জটিল হয়ে গেল। এখন এই তিন জনের মধ্যে একজন সরকারি উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। এই আতাউর রহমান খাঁন বিভিন্ন কারণে বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচিত তার মধ্যে আরেকটি উল্লেখযোগ্য কারণ হলো একবার রাতে হলের ডাইনিং এ খাওয়ার সময় আমরা আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের কয়েকজন শিক্ষার্থী ছিলাম এমন সময় বোটানির রানা বলছিল তোদের ডিপার্টমেন্টে কি আতাউর রহমান নামে কোন স্যার আছেন আমরা হ্যাঁ বলতেই সে অবাক হয়ে বললো আমাদের চেয়ারপার্সন স্যার তোদের ঐ স্যার কে ফোন করে বলছিলেন স্যার আপনার বিভাগের ভর্তি পরীক্ষার ইংরেজি অংশের উত্তর তো আমরাই পারিনা এত জটিল। তার উত্তরে আতাউর রহমান খান স্যার যা বলছিলেন তার জন্য বোটানির চেয়ারপার্সোন মোটেও প্রস্তুত ছিলেন না। তিনি বলেছিলেন এই প্রশ্নের উত্তর যারা পারবে আমরা ঐ সকল শিক্ষার্থীদের খুঁজছি আপনার মতো চেয়ারপার্সন খুঁজছি না।

আমার ব্যাচের বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের এক শিক্ষার্থী প্রথম বর্ষেই বলছিল তোমার আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগে ভর্তি হওয়া আমার খুব ইচ্ছা ছিল কিন্তু ভর্তি পরীক্ষার ইংরেজি অংশ এত জটিল ছিল যে ঐ অংশে আমার জন্য উত্তীর্ণ হওয়াই জটিল ছিল। উল্লেখ্য তখন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রত্যেক বিষয়ের জন্য ভিন্ন ভিন্ন লিখিত পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হতো। যে যে বিষয়ে ভর্তি পরীক্ষা দিত তাকে সংশ্লিষ্ট বিষয়ে এবং বাংলা, ইংরেজিতে পৃথকভাবে উত্তীর্ণ হতে হতো। আরেকজন শিক্ষা জীবন শেষ করে প্রথমে বিসিএস শিক্ষা ক্যাডার পরবর্তীতে প্রশাসন ক্যাডারে যোগদান করেছে। সেও হলে থাকত না হলের আশে পাশে ভাড়া বাসায় থাকত এবং বেশিরভাগ সময়ই তাকে একা একা থাকতে দেখতাম। হয়ত সেও হীনমন্যতায় ভুগত। এগুলো আমার নিকট কোন গবেষণার বিষয় ছিলনা ততক্ষণ পর্যন্ত যতক্ষণ না জানছিলাম তার বাবার একটি কোটা আছে।পরিচিত আরেকটি পরিবারের দুইভাই গ্রাম হোক বা ক্যাম্পাস হোক তাদেরকেও জনসমাগম এড়িয়ে চলতে দেখে মানুষ। তারা দুজনই একাধিক পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির চান্সও পেয়েছিল। এই দুই জনের মধ্যে একজন সরকারের বেশ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা। কিন্তু নিজেকে সবসময়প গুটিয়ে রাখেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রকল্পে কৌশলগত প্রশিক্ষক, কর্মসূচি কর্মকর্তা হিসাবে কাজ করার সময় বিভিন্ন জেলায় গিয়ে ডাকবাংলোয় থাকতাম। একবার কথিমধ্যে জানলাম ঐ উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা এমন ক্ষেত্রে ডাকবাংলোয় না থেকে আবাসিক হোটেলে থাকেন।ডাকবাংলোয় না থাকার কারন জানতে চাইলে বললেন আমার নিজেকে ইন্ট্রোডিউস করতে ভালো লাগেনা। অথচ ডাকবাংলোয় অগ্রাধিকার ভিত্তিতে আসন বরাদ্দ পান রাজস্ব খাতের কর্মকর্তারা তারপর বাকি থাকলে প্রকল্প খাতের কর্মকর্তারা পান।

এসব স্বাভাবিক বিষয় মনে হতো যতক্ষণ না জানতে পেরেছি তাদের বাবারও একটা বিশেষ কোটা আছে।প্রকল্পের দায়িত্ব পালন করার সময় আশুগঞ্জ ইউএনও অফিসে গিয়ে দেখলাম ইউএনও সাহেব আমাদের বাংলায় কথা বলতে সমস্যা ফেস করছেন। তাকে দেখে বোঝা যাচ্ছিল যে তিনি এদেশের একটি ক্ষুদ্র নৃগোষ্ঠীর সদস্য সুতরাং কোটায় নিয়োগ প্রাপ্ত হওয়াটাই স্বাভাবিক। ইদানিং প্রায় ভাইরাল হয় বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের লিখিত নোটিশ অসংখ্য ভুলে ভরা। একবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তার একটি সাধারণ বিষয়ে অজ্ঞতার কারণে চিনের সাথে বাংলাদেশের একটি সমঝোতা চুক্তি ক্যান্সেল হয় যার ফলে বাংলাদেশ মারাত্মক ভাবে ক্ষতিগ্রস্ত গ্রস্থ হয়। সাউদি আরাবিয়ার বাদশা ফাহাদ বিন আব্দুল আজিজ মৃত্যুবরণ করলে বাংলাদেশ সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল কারন বাংলাদেশ মধ্যপ্রাচ্যের এই দেশটির ওপর মারাত্মকভাবে অর্থনৈতিক, দান-সদাকা ইত্যাদির জন্য নির্ভরশীল।

তাই বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেছিল সাউদি আরাবিয়া সরকারের শোকে শোক প্রকাশ করে তার দেশটির সাথে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরো উন্নত করতে। কিন্তু বুমেরাং রয়েছে উল্টো সম্পর্কের আরো অবনতি হয়েছে। স্বয়ং সাউদি আরাবিয়াই কোন রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করেনি। কারন মৃত্যু কে ইসলাম একটি স্বাভাবিক বিষয় মনে করে। বাংলাদেশ সরকারের অতিমাত্রায় বাড়াবাড়ির কারণে দেশটি বাংলাদেশ কে অমুসলিম দেশ চিহ্নিত করে পরবর্তী সম্পর্ক নির্ধারণ করে।একটা কথোপকথন প্রায় অনলাইনে বিভিন্ন জায়গায় দেখি সেটি এরকম যে একবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের একটি বিভাগে মার্কিন নাগরিক গিয়ে বলছিলেন আমাকে নিয়োগ দিন এই বিভাগে। তখন আগন্তুক কে জিজ্ঞেস করা হলো তোমার যোগ্যতা কি? সে প্রতি উত্তরে বলল আমার পরিবার দেশ স্বাধীন করেছে এইজন্য আমাকে নিয়োগ দিতে হবে। তখন তাকে বলা হলো এটি আপনার যোগ্যতা নয় বরং আপনার পরিবারের ঐ সদস্যের যোগ্যতা। আর আপনার পরিবার তখন সুযোগ পেয়েছে রাষ্ট্রের জন্য কাজ করার এবার আমাদের একটু করতে দিন। একসময় কুয়েত এবং সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনৈতিক অবস্থা খুব খারাপ ছিল। তখন সরকারি চাকরি করার জন্য সকলে উন্মুখ হয়ে থাকত আর জনগণ সরকারি চাকরির জন্য অন্য কাজে যোগদান করতো না ফলে অর্থনৈতিক অবস্থার সহজে পরিবর্তন হচ্ছিলনা। অবশেষে কুয়েতে তেল উৎপাদন আর আমিরাতে রিয়েল এস্টেট বিজনেস শুরু হলে জনগণ উদ্যোক্তা হতে শুরু করে সরকারের জন্য তার আইনশৃঙ্খলা রক্ষাবাহিনী, প্রতিরক্ষা বাহিনীসহ অন্যান্য কাজের জন্য লোক পাওয়া দুষ্কর হয়ে গেল। এমতাবস্থায় সরকার কে ফরমান জারি করতে হয়েছিল প্রত্যেক নাগরিককে কমপক্ষে দুই বছর সরকারি চাকরি করতে হবে।

আমাদের দেশে একসময় সরকারি চাকরির কথা শুনলে মানুষ নাক শিটকাতো। কারন তখন সরকারি চাকরির সুযোগ সুবিধা কম ছিল। সুতরাং সরকারি চাকরির প্রতি মানুষের এত আগ্রহ কমাতে সরকারি চাকরির সুযোগ সুবিধা কমাতে হবে আর দেশের সার্বিক উন্নয়নের জন্য যে কোটা হীনমন্যতায় ভুগায় সে কোটা চিরতরে বন্ধ করতে হবে এবং বিষয় ভিত্তিক নিয়োগ দিতে হবে। প্রতিবন্ধীদেরও কোটায় নিয়োগ না দিয়ে তাদের ক্যাটাগরি করে ভাতার ব্যবস্থা করতে হবে তবুও মেধাবীদের বাদ দিয়ে কোটায় অযোগ্য দের স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বা চাকরিতে নিয়োগ দেওয়া যাবেনা।

এদেশের শিক্ষার্থীরা সাধারণত ২২/২৩ বছরে স্নাতক হয় এর পর শুরু হয় সরকারি চাকরি নামক সোনার হরিণের জন্য দৌড় প্রতিযোগিতা। এই দৌড় প্রতিযোগিতা কারো কারো বয়স ৩২/৩৫ বা থেকেও বেশি বছর পর্যন্ত চলতে থাকে ফলে পরিবার বা জাতি তার থেকে ফিডব্যাক তো দূরের কথা আরো তার জন্য খরচ করতে হয়। 

৩২/৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত বা তার থেকেও বেশি এই কারণে যে বয়স ৩০ বছর পূর্ণ হতে একদিন বাকি থাকলেও বিভিন্ন সরকারি চাকরির জন্য আবেদন করা যায় আর সেই চাকরির নিয়োগ প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে ২/৩ বছর লেগে যায়। আবার যদি প্রার্থী কোটা ভুক্ত হয় তার আবেদন করার সুযোগ থাকে ৩২ বছর পর্যন্ত সে নিয়োগ প্রক্রিয়া শেষ হতে ৩৫ বছর বয়স পর্যন্ত সময় লেগে যায় কোন কোন ক্ষেত্রে তারও বেশি।

উল্লেখ্য বাপেক্সের সহ ব্যবস্থাপক পদের নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি ২০১৫ সালের দিকে হয় সেই নিয়োগ পরীক্ষার প্রবেশপত্র ২০২২ সালের জুন থেকে প্রার্থীর ঠিকানায় পাঠানো হয় এবং যারা না পেয়েছে তাদের কে ১৪ জুলাই ২০২২ তারিখের মধ্যে বাপেক্সের এর প্রধান কার্যালয়ে যোগাযোগ করা হয়। সমসাময়িক সময়ে ন্যাশনাল টি কোম্পানির একটি সার্কুলার পরবর্তীতে ২০১৮ সালের শেষের দিকে ভাইভা হয় তার নিয়োগ প্রক্রিয়া এখনো শেষ হয়েছে বলে মনে হয়না। যেটির এডমিট কার্ড এখানো আমার নিকট সংরক্ষিত।

ব্রিটিশ বাঙ্গালী আনোয়ার চৌধুরীর বাংলদেশে তার রাষ্ট্রদূত হিসাবে দায়িত্ব পালন শেষের দিকে এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন আমার চাকরি এখন শেষ আমাকে দেশে গিয়ে আবার চাকরি খুঁজতে হবে। কারন ব্রিটেনে সরকারি বিভিন্ন পদে চুক্তি ভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। এভাবে কর্মি তার দায়িত্বের প্রতি সর্বদা সচেতন থাকেন, কুয়ালিটি ইম্প্রুভ করার চেষ্টা করেন, অনিয়ম দুর্নীতি থেকে বেঁচে থাকেন আল্টিমেটলি জাতি লাভবান হয়। 

যে কোটার সুবিধা গ্রহণ করে নিজেই হীনমন্যতায় ভুগে আত্মমর্যাদার জন্য এমন কর্মচারী রাষ্ট্রের কল‌্যান বয়ে আনবে কি করে? সুতরাং সময় এখন সকল পর্যায়ের কোটা সম্পূর্ণ রূপে বিলুপ্ত করতঃ সরকারি চাকরি নিয়ে এত মাতামাতি বন্ধ করতে সুযোগ সুবিধা কমানো, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দিয়ে নির্দিষ্ট মেয়াদ পর মূল্যায়নে উত্তীর্ণ না হলে বাতিল, এমসিকিউ নয় বিষয় ভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে নিয়োগ, সরকারি চাকরিতে প্রবেশের বয়সসীমা বিলুপ্ত করে অবসরে যাওয়ার বয়সের পূর্বে যে কোন বয়সে যোগ্যতার ভিত্তিতে প্রবেশ করার ব্যবস্থা রাখা।

প্রাসঙ্গিক কারণে বিশ্ববিদ্যালয়, বিভাগ, ব্যক্তির নাম উল্লেখ করতে হলো। দীর্ঘ দিনের কথা হওয়ায় সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গের স্মৃতিভ্রমের আশংকা উড়িয়ে দেওয়া যায় না।

এমফিল গবেষক (এবিডি)
আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগ 
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
০১৯১১৯৮১১৪৪
alhelaljudu@gmail.com

মতামত থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

মুহাম্মদ আল্-হেলাল
মুহাম্মদ আল্-হেলাল
এমফিল গবেষক (এবিডি), ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়মুহাম্মদ আল্-হেলাল ১৯৮৬ সালের ১লা মার্চ তারিখে নড়াইল জেলার লোহাগড়া উপজেলাধীন রসুলপুর গ্রামে মুহাম্মদ কাঞ্চন সরদার এবং আনোয়ারা বেগমের ঘরে জন্মগ্রহন করেন। তিনি তার পিতা-মাতার ১৪ সন্তানের মধ্যে দ্বাদশ। তিনি জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিষয়ের উপর স্নাতক সম্মান, স্নাতকোত্তর এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে একই বিষয়ে এমফিল(এবিডি)। পারিবারিক জীবনে তিনি ২ কন্যা সন্তানের গর্বিত জনক। কর্মজীবনে তিনি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানে জনসংযোগ, প্রশাসন এবং মানবসম্পদ বিভাগ, গনপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের শিক্ষামন্ত্রনালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তরাধীন সেকেন্ডারি এডুকেশন কুয়ালিটি এন্ড অ্যাক্সেস এনহান্সমেন্ট প্রজেক্ট(সেকায়েপ) এর রিসোর্স টিচার(কৌশলগত প্রশিক্ষক) এবং প্রোগ্রাম অফিসার হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। বাল্যকাল থেকেই তিনি সামাজিক বিভিন্ন কর্মসূচির সাথে সম্পৃক্ত। সমাজের বিভিন্ন বিষয়ে বিভিন্ন জাতীয় দৈনিক, সাপ্তাহিক এবং মাসিকে তার অসংখ্য কলাম প্রকাশিত হয়েছে। তিনি পেশাগত কাজে এবং আন্তর্জাতিক সম্মেলন অংশগ্রহনের জন্য আফঘানিস্তান, থাইল্যান্ড, সংযুক্ত আরব আমিরাত এবং ভারত ভ্রমন করেছেন। ২০১৯ সালে স্ত্রী বিয়োগের পর থেকে তিনি নিজ গ্রাম থেকে ওভারসিজ এ্যাসাইনমেন্ট, ইন্ডিয়া, থাইল্যান্ডে ট্যুরিজম বিজনেস পরিচালনা করেন। তিনি বৈষম্যহীন সমাজ ও বিশ্বব্যবস্থার স্বপ্ন দেখেন।

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *