মতিঝিলে একটা বিল্ডিং আছে। বিল্ডিংটার নাম, ”জাতীয় চা বোর্ড”। ঢাকা শহরে কোনো চা বাগান নেই, কিন্তু জাতীয় চা বোর্ড নামক সরকারি প্রতিষ্ঠানটি খোদ ঢাকার প্রাণকেন্দ্রে অবস্থিত।
ঢাকায় মাছের চাষ হয় না। কিন্তু ”মৎস্য ভবণ” দখল করে আছে রমনার একটি এলাকা।
ঢাকার কোথাও ধান, গম, মুলা চাষ হয় না। কিন্তু ”খামার বাড়ি” নামক বিশাল ভবণটি ফার্মগেটে বসে আছে।
একটা দেশে ৬৪ টি জেলা আছে।
সেই দেশের ৬৩ জেলাকে বাদ দিয়ে সকল গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান তৈরি করা হয়েছে মাত্র ১টি জেলায়। ঢাকাতে।
যে মৎস্য ভবণ থাকার কথা চাঁদপুরে, সেটি ঢাকায়।
যে খামার বাড়ি থাকার কথা ময়মনসিংহে, সেটিও ঢাকায়।
চা বাগানের শহর সিলেট বাদ দিয়ে, চা বোর্ডটিও আমরা বসিয়ে রেখেছি ঢাকায়।
অনেক দেশ তাদের রাজধানী পরিবর্তন করেছে।আমাদের সময় এসেছে বিকল্প কিছু ভাবার।
এরপরও যখন আপনারা যানজট নিয়ে বিরক্তি প্রকাশ করেন, তখন আমার খুব হাসি পায়। রিকশা, হকার মুক্ত ফুটপাথ চাই।
কেউ কেউ বলেন, ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেলের কথা। ভাই রে, এই ছোট্ট শহরে কয়টা মেট্রোরেল দেবেন? কয়টা ফ্লাইওভার বসাবেন? ফ্লাইওভার আর মেট্রোরেলের পাশাপাশি যদি হেলিকপ্টার সার্ভিসও দেন, ঢাকার আকাশে হেলিকপ্টারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হবে, তবু যানজটের খুব বেশি উন্নতি হবে না।
তার চেয়ে পুরো বাংলাদেশের ৬৪ টা জেলাকেই ঢাকার মতো গুরুত্বপূর্ণ ভাবতে শিখুন। দেশের প্রতিটি ইঞ্চিকে সমানভাবে ভালবাসুন। উন্নয়ণের জোয়ার ভাটার খেলা কেবল এই ছোট্ট শহরে মধ্যে না চালিয়ে, সারা বাংলাদেশে চালান।
তাহলে দুটো জিনিস হবে।
- পুরো বাংলাদেশে এগিয়ে যাবে।
- ঢাকায় কোনো যানজট থাকবে না।
এত ছোট শহরে এত মানুষ। এত দোকান অল্প জায়গায়। তাইতো বংগ বাজার পুড়ে গেল। গ্রামীণ অর্থনীতি শক্তিশালী করতে হবে। আসুন গ্রামে যাই।
ঢাকার যানজট নিরসনের এটাই একমাত্র পদ্ধতি।
নেট থেকে ডাউনলোড করা আইডিয়া বাদ দিয়ে, একটু মাথা ঘামান।
মাথা কেবল চুল আচড়ানোর জন্য নয়। মাঝে মাঝে মাথা খাটিয়ে বুদ্ধি বের করতে হয়। ওটাই কিন্তু মাথার আসল কাজ। বুদ্ধি বের করা।