সমুদ্রে নয়; ডুবেছি আমি তোমার জলে।
ঢেউয়ে নয়; ভিজিয়েছি গা তোমার প্রেমে।
যতটুকু জল বয়েছে নদী, বহতা হৃদয়
ততটুকু প্রেম, সবটুকু পলি তোমার নামে।
যখন তুমি পরশ দিলে ছড়াও গভীর দীর্ঘশ্বাস
তেমন করেই থেকে থেকে সাগরপাড়ে বয় বাতাস।
বাতাসজুড়ে জলকণা শীতল করে মুখ ও বুক
তোমার শ্বাসে মদনবয়, বিলোতে চায় মিলনসুখ।
যতটুকু নোনা তোমার ঠোঁটে লালায় ভেজা
সুধার স্বাদে, ওষ্ঠজুড়ে মগ্নহলো আমার অধর।
যতটুকু তৃষ্ণা ক্ষণে ক্ষণে উথলে ওঠায় গহীন হৃদয়
ততটুকু মধু পান করে নেয় কৃষ্ণ ভ্রমর।
সমতলের কিনার ঘেষা পাহাড়টা ততটা খাড়া,
যতটা গভীর দুইপাহাড়ে মধ্যবর্তী গিরির খাঁজ।
কাঁপন জাগায়, শিহরণের প্রজাপতি, ফড়িংয়েরা
শিরায় শিরায় নেচে নেচে বৃন্ত-চূড়া জুড়ে আজ।
আমি ডুবদিয়েছি একটা নদী, তোমার নদী
যতটুকু গভীর হওয়ার কথা ঠিক অবিকল।
দিয়েছি সাঁতার, ভেসেছি স্রোতে মনের সুখে
মেখেছি গা’য় এক জোয়ারের সব নোনা জল।
এখন আমি শুদ্ধ মানুষ, পরিশুদ্ধ সাগর স্নানে
যেমন করে বোধিপ্রাপ্ত ধ্যানীবুদ্ধ, গভীর ধ্যানে।
এখন আমি প্রেমিক কবি, আমার প্রেমের কর্মফলে
সমুদ্রে নয়; শুদ্ধ হতে ডুব দিয়েছি তোমার জলে।
শিমুল, আমি শুদ্ধ হতে ডুব দিয়েছি তোমার জলে।
১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। জাদুনগর।