অনেকদিন পর, দীর্ঘদিন দীর্ঘ রজনী কেটে গেছে তুমিহীন,চলন্ত ট্রেন, একটি বগি, মোচড় দিয়ে বেজে উঠল হৃদয়বীণ।আজকে হঠাৎ মুখোমুখি, অযুত নিযুত চাপাপড়া কষ্টশ্রাবণ মেঘের মতো দীর্ঘশ্বাস ভেসে উঠল স্পষ্ট।আমাকে পরিবারে শিখিয়েছিল বেঁচে থাকতে, আর সমাজ শিখিয়েছে কিভাবে মরতে হয়,মুখোমুখি বসে আছি অথোচ কোন কথা নেই। কি চমৎকার নিদারুণ ভয়!চোখ-কান-জিব্বা-নাসিক- ত্বক পঞ্চ
পুরোটা পড়ুনভালোবাসা
কিছু স্মৃতি জমা হোক এলোমেলো চলায়, বাকি স্মৃতি ঝরে যাক, না বলা বেলায়। এভাবে হয়ে উঠুক আলপথের প্রেম- কেউ প্রেমিকা হলে ছেলেটা হবে শ্যাম। ক্রিং ক্রিং শব্দে হোক বেলকনির পাশে- দুজনে কথা হোক ইশারা আর শ্বাসে। মিশে যাক মায়াটুকু কবিতা আর গানে প্রেমিকারা বেঁচে থাক প্রেমিকের মনে। যতটুকু ভালোবাসা রয়ে যায় বাকিসেটুকু ভালোবাসা নয়, নিঘাত ফাঁকি।১২ জুন
পুরোটা পড়ুনতুই এখানে থাক,আমি চলে গেলাম-- ডাক শুনবি তুই।বুদ্ধ শ্মশানে মাঝ রাতে ফিনিক্স পাখির মতো আমি তোর নাম ধরে ডাকবো।ভালো থাকিস্ তবে।আমার প্রস্থান মানে শুধু শারীরিক বিদায়,আমার অস্থিত্ব অর্পিত থাকবে তোর সর্বাঙ্গে, ঠাসা দেহে।এইটুকু বুঝে থাকলে তুই আমায় ফিরাবি।নতুবা তোর কাম ছিলো আমাতে, প্রেম নয়।এটাকে বিদায় বলিস নাহ, বল্- "তোর অজ্ঞতা,
পুরোটা পড়ুনশিমুল, পূর্ববসন্তেই তুমি ফুটেছো মনের জমিনে,হৃদয় বৃক্ষের শাখায় শাখায়। এই বসন্তে।তোমাকে ডেকেছে হাতছানিতে উদাসী আকাশ,অনন্তনীল শাড়ির বুকে গোল্লাছুটের প্রাণান্ত দৌড়েদুরন্ত বালিকার মতো ছোটা মেঘফুলেরা।উড়ে উড়ে ওড়ার পরীস্বপ্ন মেখে।তোমাকে ডেকেছে রাঙা বুলবুল, কাঠশালিক ও শালিকেরাচুমুতে ও চিৎকার ডাকে, গানে গানে লেজ নাড়িয়ে।তোমাকে ডেকেছে পরপুষ্ট, কুহুমন্দ্র, কলকণ্ঠ কোকিলদমকা হাওয়ায় ছড়িয়ে ছিটিয়ে মধুমাখা
পুরোটা পড়ুনআগুনে পুড়ে পুড়ে কাঁদামাটিও শিল্প হয়ে ওঠে।বিরহের আগুনে পুড়ে মানুষ হয় শুদ্ধ প্রেমিক।অবহেলা ও অনাহুত বিচ্ছেদের আগুন উত্তাপেআমার কাঁদামাটি ভালোবাসা পাক প্রেমিকের অবয়ব;তোমার হৃদয়ের শিল্পিত মণীষায়। অপেক্ষায় পুড়েআমিও টেকসইত্ব পাবো পোড়ামাটি ফলকের।সহস্র প্রেমবর্ষ শেষে তুমি মোহিত হবে আবারপ্রত্নহৃদয়ফুলের পুরাতন ঘ্রাণে। কোন এক নব্যতাত্ত্বিকেরপ্রত্নউৎক্ষণনে তোমার হৃদয়ের অলিগলি জুড়ে।তারপর গায়ে মাখা শিরীনের
পুরোটা পড়ুনআমার হৃদয় মন্দিরে হয় তোমার নামের প্রার্থনাদেবীস্থলে তোমায় তুলে করি দিবানিশি অর্চনা।সকল সুরে ও সব ভাষাতে লিখে তোমার বন্দনাসকাল সন্ধ্যা গাইছে হৃদয় তোমার প্রেম মাগনা।বহু ঈশ্বরী রূপেও তুমি, তুমিই আবার একেশ্বরতুমিই করো ছিন্নায়িত বিদ্ধ করে বিরহ শর।হৃদমসজিদে হয় দোয়া, দরুদ, কান্নাকরে মোনাজাতগীর্জা ভেবে হৃদপাঁজরে দুঃখের ঘণ্টা বাঁজে সারারাত।জিকির চলে তোমার
পুরোটা পড়ুনজাল ফেলেছে নীল আকাশ সাদা রঙের মেঘ ভাসিয়েশূণ্যে অসীম রঙ মাখিয়ে, ধরার পানে মুখ বিছিয়ে।জাল ফেলেছে বাতাস নিজে ফুল ফসলের গন্ধ মেখেবৃক্ষলতায় কাঁপন জাগায় পরশ দিয়ে থেকে থেকে।জাল ফেলেছে সূর্যদেবও সকাল সকাল আলোয় ফুটেজাল ফেলেছে ভালোবাসার আলিঙ্গনে আঁধার লুটে।জাল ফেলেছে চাঁদের আলো শান্ত-সৌম্য মৃদু হেসেমেঘের ফাঁকে আঁধার রাতে চলার পথকে
পুরোটা পড়ুনতোমার ইনবক্স ছিলআমার ব্যক্তিগত ডায়েরিযেখানে জমা রাখতাম সুখ-দুঃখ নির্ভয়ে।ভাবিনি কভু বাজেয়াপ্ত হবে তাশুধু আমার তরে নিষিদ্ধ।একবুক বিশ্বাসের চুক্তিতেপ্রকাশ করেছিলামসবই হলো ব্যর্থ!এখন সিক্ত নয়নে পাণ্ডুলিপির পানেচেয়ে থাকি।বুকে আশার জাল বুনিআমার নির্দোষ ডায়েরিটা কিমুক্তি পাবে?
পুরোটা পড়ুনবালিকা, আমার সঙ্গে ফুল কুড়োবি? আঁচল ধরবি মেলেতোর আঁচলা ঝোলা ভরিয়ে দেবো অযুত নিযুত ফুলে।ঘ্রাণ-গন্ধ নিবি শুখে শুখে গালে মাখবি ফুলের রঙতোর বুকের মন্দিরেতে প্রেমের ঘণ্টা বাঁজবে ঢং ঢং।বালিকা, আমার সঙ্গে হাঁটতে যাবি? তেপান্তরের মাঠেনদীঘেঁষা আল বিছানো পথটি জুড়ে দুর্বা ঘাসের হাটে।জল জুড়ানো শীতল হাওয়া, কাশফুলেদের নরম ছোঁয়া,নিশীথ রাতের জোনাকিপোকা,
পুরোটা পড়ুনসমুদ্রে নয়; ডুবেছি আমি তোমার জলে।ঢেউয়ে নয়; ভিজিয়েছি গা তোমার প্রেমে।যতটুকু জল বয়েছে নদী, বহতা হৃদয়ততটুকু প্রেম, সবটুকু পলি তোমার নামে।যখন তুমি পরশ দিলে ছড়াও গভীর দীর্ঘশ্বাসতেমন করেই থেকে থেকে সাগরপাড়ে বয় বাতাস।বাতাসজুড়ে জলকণা শীতল করে মুখ ও বুকতোমার শ্বাসে মদনবয়, বিলোতে চায় মিলনসুখ।যতটুকু নোনা তোমার ঠোঁটে লালায় ভেজাসুধার স্বাদে,
পুরোটা পড়ুন