বালিকা, আমার সঙ্গে ফুল কুড়োবি? আঁচল ধরবি মেলে
তোর আঁচলা ঝোলা ভরিয়ে দেবো অযুত নিযুত ফুলে।
ঘ্রাণ-গন্ধ নিবি শুখে শুখে গালে মাখবি ফুলের রঙ
তোর বুকের মন্দিরেতে প্রেমের ঘণ্টা বাঁজবে ঢং ঢং।
বালিকা, আমার সঙ্গে হাঁটতে যাবি? তেপান্তরের মাঠে
নদীঘেঁষা আল বিছানো পথটি জুড়ে দুর্বা ঘাসের হাটে।
জল জুড়ানো শীতল হাওয়া, কাশফুলেদের নরম ছোঁয়া,
নিশীথ রাতের জোনাকিপোকা, হাওয়ায় হাওয়ায় দোলে
ফুটবে আমার প্রেমের মুকুল তোর হৃদয় বৃক্ষ’র ডালে।
বালিকা, আমার সঙ্গে অরণ্যে যাবি? গহন বনের ধারে
সমাজ-ধর্ম, বিধির-বর্ম তুচ্ছ করে শুদ্ধ প্রেমের জোরে।
দেখবো তোকে মুগ্ধচোখে, চেয়ে আমায় দেখিস তুই
আমরা দু’জন একই একক, নেই তো রে আর দুই।
আমার পাশে বসে ভালোবেসে হাতে রাখিস হাত
কাটিয়ে দেবো অসংখ্য দিন, অনন্ত অনেক রাত।
বালিকা, আমার সঙ্গে স্নানে যাবি? দূর সাগরের পাড়
তটে কাটিয়ে দেবো ক্লান্ত বিকেল, পিছ করে পাহাড়।
উতল উথল ঢেউয়ের তানে, ডুবতে বসা বেলার গানে
ঋদ্ধ হবো আমরা দু’জন, করে প্রেমের জলে স্নান।
ঝাউবনেরা উঠবে হেসে, জোনাকিরাও ভালোবেসে
বলবে ডেকে সব পাখিদের, গাও ভালোবাসার গান।
বালিকা, আমার সঙ্গে বৃদ্ধ হবি? থুরত্থুরে এক বুড়ো
বসন্ত দিনের শেষে ঝরা শিমুল ভালোবেসে
কুড়িয়ে নিয়ে বলবো তোকে, ‘দ্যাখো কী এনেছি! ধরো।’
১২ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। জাদুনগর।