পরাজিত শকুনের দুর্গন্ধ ডানায় লুকানো সারমেয় শাবকেরা
তোমার ভাস্কর্য ভেঙেছে পিতা; তোমারই বাংলায়।
ওরা ভীত, সন্ত্রস্ত; তবুও ওদের ভয়
দোজখের অনন্ত প্রজ্বলন্ত লেলিহান শিখায় নয়,
অন্তিমশয্যায় প্রাণসংহারক যমদূতকে নয়,
নিগূঢ় গাঢ় অন্ধকারাবৃত কবরখানার সওয়ালে নয়,
কিংবা ফয়সালা ময়দানে মহামহিম ঈশ্বরের মুখোমুখি
লজ্জিত অবনতমস্তকে দাড়ানো অপরাধীর তকমায় নয়;
ওদের ভয় তোমাকে। তোমার উদ্ধত অঙ্গুলিকে।
যার এক ইশারায় তুমি দীর্ণ-বিদীর্ণ করেছো
ধর্মের অসংখ্য ঘূনপোকায় খাওয়া অলীক আশ্বাসে মোড়ানো পাকিস্তান।
যার স্ফোটনে কানে বাঁজে- জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র,
সমাজতন্ত্র ও ধর্মনিরপেক্ষতার নির্মল সুবাতাস।
যার এক নির্দেশে মুখরিত সশব্দে ঐক্যবদ্ধ
ছাপ্পানো হাজার বর্গমাইলের প্রতিটা মানুষ,
ধূলিকণা, সবুজ ঘাস, নদী ও প্রকৃতি
এমনকি আগামীর স্বপ্নমাখা রঙিন কুসুম।
বঙ্গবন্ধু, হে প্রাণময় জনক আমার
তোমার প্রজ্বলিত আদর্শের দ্যুতিময়তায়
বিষাক্ত বাঙলাস্তানের নষ্টস্বপ্ন বড় ম্লাণ-ম্রিয়মান।
তাই রাতের নিকষকৃষ্ণ আঁধারে ওরা ভাঙতে চেয়েছে
তোমার সূর্যদীপ্ত মুখায়ব ও সতেজ সাহসী আঙুল।
ওরা হত্যা করতে চেয়েছে তোমার তোমার আদর্শ, তোমার স্বপ্ন;
তোমারি রক্তস্নাত সুবর্ণভূমি: বাংলাদেশ।
হে পিতা, অফুরান স্বপ্নের অনন্ত উৎস আমার
ধর্ম, পরকাল, দোজখের অসহনীয় উত্তাপ নয়;
তুমি এবং তোমার আদর্শেই ওদের অস্তিত্ববিনাশী ভয়।