সৃষ্টির পর সবাইকে বলা হলো তোমরা মানব কল্যাণে তোমাদের ভূমিকা উপস্থাপন করো। অন্যের কাছ থেকে কিছু ধার করাও যাবে। তবে শর্ত হলো, সবই হতে হবে মানব কল্যাণে।
সূর্য কিরণ দিল। মানুষ খুশি হলো। এবার চাঁদের পালা। চাঁদের মন খারাপ। তার তো আলো নেই। সে ভাবলো মানব কল্যাণে সূর্যের আলোই ধার করে দেই।
কী অবাক! সবাই চাঁদকেই পছন্দ করলো। বাঙ্গালীরাতো চাঁদকে মামা বলেই ডাকতে শুরু করল। কী আজব কাণ্ড! মা ও ডাকে মামা, ছেলে মেয়েরাও ডাকে মামা! কতজন কত কবিতা লিখে ফেললো চাঁদকে নিয়ে। প্রেমিক প্রেমিকাদের বলতে শুরু করলো, তোমাকে চাঁদের মতো লাগছে। প্রেমিকা নিমিষেই খুশি!
সূর্য গেলো jealous হয়ে। পরের দিন রেগে মেগে সর্বোচ্চ কিরণ দিতে থাকলো। তার রাগ অতিবেগুনি রশ্মি হয়ে ঝরতে থাকলো। ওজোন স্তর ছিল বলে রক্ষা।
মানব কল্যাণের শর্ত ভঙ্গ হলো। সূর্যকে শাস্তি দেওয়া হলো। সর্বোচ্চ কিরণই তাকে দিতে হবে। অতিেবগুনি রশ্মিও ছড়াতে পারবে। শাস্তি এটাই যে, দিন দিন তার শক্তি ফুরাতে থাকবে ( হাইড্রোজেন to হিলিয়াম)।
Moral: হিংসা করলে শক্তিক্ষয় হতে থাকে। Be zealous, not jealous.
বি.দ্র.: অর্ক, তপন চৌধুরিগণ বা সূর্য প্রেমিক সকলের জ্ঞাতার্থে জানাচ্ছি, গল্পটি কাল্পনিক। কেউ অন্তরে ব্যাথা পেলে তা কাউয়াতালিয়।
আসল কথাইতো বলা হলো না। জোৎস্নাকে বড়ই উপভোগ করছি। এই জোৎস্না (কোন মেয়ে নয়) বড্ড ভাবিয়ে তুলছে ! মানুষগুলো কেমন! বড্ড আজব ক্যারেক্টার! প্রাপ্তির ঝুলি কারো তিল, কারো তাল আকারের। দুঃখ দেওয়া এবং দুঃখ পাওয়ার শতকরা হিসাব একেক জনের একেক রকম। তবু মানুষ হাসে, ভালোবাসে, চাঁদ দেখে, জোৎস্না স্নান করে।