রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তোতাকাহিনি’ গল্পে তোতার লাফ-ঝাঁপ, চলন-বলন যখন বন্ধ হলো, তোতা যখন হয়ে পড়লো নিশ্চল তখনই তার শিক্ষা পুরা হলো। বৃটিশ উপনিবেশিক শাসনে প্রণীত শিক্ষানীতির ‘গুড বয়’ বানানোর প্রচেষ্টাই আজো আমাদের শিক্ষার মূল। আমাদের শিক্ষায় বিপ্লব-বিদ্রোহ যেমন উপেক্ষিত তেমনি উপেক্ষিত প্রণয়। এখানে বিপ্লব মানে বিরুদ্ধশক্তি, প্রণয় মানে ফষ্টিনষ্টি! ফলে আমাদের বিদ্রোহী নেই, বিরহীও নেই। বহুবছর পর নজরুলের ‘বিদ্রোহী’ কবিতা ইন্টারে পাঠ্য। কিন্তু আমাদের পরিবারে নজরুল যেমন খণ্ডিত তেমনি ‘বিদ্রোহী’কেও করা হয়েছে অবনত!
বর্তমান শিক্ষা পদ্ধতির একটি ভয়াবহ রূপ হলো সৃজনশীল। একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে এ পদ্ধতির প্রচলন হলেও আমাদের জন্য হয়েছে সাপেবর। এ পদ্ধতি কেন, কীভাবে প্রয়োগ করতে হবে তা জানেনা অগণিত শিক্ষক। শিক্ষার্থীরা সৃজনশীলের মানে করেছে ‘উদ্দীপক’। উদ্দীপকটি একবার শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত তুলে দাও। আবার শেষ থেকে উপরের দিকে যাও। খাতায় লেখা থাকা হলো কথা! কী লেখা সেটা থাক অজানা। এসব কারিগরি করেই আমাদের পোলাপান এগিয়ে যাচ্ছে। ভালো রেজাল্ট হচ্ছে। নির্বাচনি ফলাফলে আমরা এগিয়ে যাচ্ছি। মাধ্যমিকে সৃজনশীলের ভয়াবহতা সবচেয়ে বেশি। অনেক আগে, একদিন গ্রামের স্কুলে গিয়েছি। কয়েকটি বিজ্ঞানখাতা দেখার পরম সৌভাগ্য হলো। একটি উদ্দীপক এমন :
“গতরাতে ফয়সাল ঘরের বাইরের কোণে একটি বিশাল সাপ দেখতে পেলো। তার বড় ভাই সাপটি মারতে উদ্যত হলে দাদু সাপটি মারতে নিষেধ করলেন!’
এই উদ্দীপকের ঘ নং প্রশ্নে জানতে চাওয়া হলো- দাদু সাপটি মারতে নিষেধ করলেন কেন? বিচিত্র ধরনের উত্তর পেলাম। সবচেয়ে ভয়ঙ্কর উত্তর হলো- ‘সাপটি যদি কাউকে কামড়ায় বিষ নামাবে কে? বিষ নামানোর জন্যই দাদু সাপটি মারতে নিষেধ করলেন। আমি অবাক বিস্ময়ে লক্ষ করলাম যিনি বিজ্ঞান বিষয়টি পড়িয়েছেন সেই শিক্ষক লখিন্দরের মনোভাবও ঐ শিক্ষার্থীর মতো। কানা হরিদত্তের ‘মনসামঙ্গল’ আমাদের মগজ ভালো করেই গিলেছে বটে।
সৃজনশীল নিয়ে পোলাপানের প্রতিভা আকাশচুম্বী। রাজউক কলেজের এক মেয়েকে একসময় পড়াতাম। তখন ‘আমার সন্তান’ কবিতাটি পাঠ্য। আমি একটি উদ্দীপক দিয়ে বর্তমান সমাজে মায়েদের ভূমিকা ও ঈশ্বরী পাটনির মনোভাবের বৈসাদৃশ্য নির্ণয় করতে বলেছিলাম। মেয়েটি কয়েকটি লাইনে উত্তর দিয়েছে :
” প্রণমিয়া পাটনি কহিছে জোড় হাতে
আমার সন্তান যেন থাকে দুধেভাতে,
কিঞ্চিত হাসিয়া দেবী দিলা বরদান
ফাস্ট ফুডে থাকিবেক তোমার সন্তান!”
কলেজে অর্ধবার্ষিক পরীক্ষা চলছে। একজনকে জিজ্ঞেস করলাম বাংলা পরীক্ষা কেমন হয়েছে? সে জানালো- স্যার, প্রশ্ন হাতে নিয়ে একবার পড়লাম। বুঝলাম, কাগজ আসলেই বাঁশ দিয়া বানায়!
আমাদের বিজ্ঞান শিক্ষা অণুবীক্ষণ যন্ত্র আঁকা, ব্যাঙের ছবি আঁকা, বিভিন্ন বিক্রিয়ার সারণি তৈরিতেই শেষ। জীবনে একদিনের জন্য বিজ্ঞানাগারে না গিয়েও ফুল মার্ক নিয়ে আমরা সেমিফাইনালে। আমাদের বিজ্ঞান স্যার (পদার্থ পড়াতেন) ক্লাসে এসেই বলতেন- ‘আমি চাই তোমরা প্রাকটিকালে ফুল নম্বর পাও’! বলেই তিনি চলে যেতেন ফুটবল দুনিয়ায়। বাতিস্তুতা, ম্যারেডোনা, পেলে, রোনালদো কেমনে খেলে এসব বলতেন। পদার্থের গণিতগুলো আর্তনাদ করতো বইয়ের পাতায়। সূত্রগুলো বেরিয়ে যেতো মূত্রপথে, পানি হয়ে। অনেকদিন পর এক বন্ধুর সাথে দেখা। ‘কীরে কেমন আছস? কী করছিস দোস্ত?’ সে এখন ট্রাফিকে আছে। বললো, ‘দোস্ত, আমার জীবনটা নষ্ট করছে ভুঁইয়া স্যার! ফিজিক্সের একটা গণিতও করাইল না জীবনে।’ অথচ সায়েন্সে ওর বিরাট দখল ছিল। ইচ্ছে ছিল সায়েন্স নিয়ে পড়বে। আর হয়নি। বন্ধু আমার কথাটা হাস্যচ্ছলে বললেও কথাটা শতভাগ সত্য। আমরা পদার্থ ভয় পেতাম বলে বিজ্ঞান ছেড়ে দিলাম। মাধ্যমিকে এভাবেই এখনো চলছে বহু স্কুল। স্কুলের বিকল্প তাই লোকজন কোচিং কে বেছে নিয়েছে। কিন্তু সেখানকার ভয়াবহতা আরো ভয়ঙ্কর।
উচ্চশিক্ষার ব্যাপারে আমি কিছু বলব না। ঢাবির লাইব্রেরির সামনে এক কিলোমিটার দীর্ঘ ব্যাগের লাইন দেখে আমরা অনেক কিছুই বুঝে যাই। স্বামী বিদেশ থাকলে কিছুই করার থাকে না। কৃতবিদ্য যুবকদের আর কিছুই করার নেই। তারা রীতিমতো যুদ্ধ করছে জীবনের সাথে। ভয়ঙ্কর সে যুদ্ধ!
কবি বলেছেন, ‘বিশ্বজোড়া পাঠশালা মোর, সবার আমি ছাত্র।’ কিন্তু বাংলাদেশে এ জিনিসটি আপনি পাবেন না। এখানে আপনার শেখার কিছু নেই৷ বরং আপনি শিখবেন দায়িত্বশীল পদে থেকে কী করে বেকুবের মতো কথা বলা যায়। একজন গতকাল জানালেন- ঢাকার গাছগুলো জঙ্গল। এগুলো বাতাস আসতে দেয় না। ফলে সব গাছ কেটে ভোতানগর বানানো হচ্ছে। এখন সুন্দরবনের বাতাস হু হু করে আপনার খুপরিতে ঢুকবে। বাতাসকে আপনি খুঁইজেন না, বাতাসই আপনাকে খুঁজে নেবে। দেশের খবর মানে এখন পরীমণি-ভণ্ডরাজ-সুরাহ-সানা হাবিজাবি। প্রতি ওয়াক্তে প্রতিটি নড়াচড়ার খবর নিয়ে আপনার সামনে প্রথম আলো হাজির। ওদিকে আরেক লেডিনায়ক জায়েদ আছে মাগীকুল যন্ত্রণায়। তার মেসেঞ্জারে গেলে নাকি আপনার মাথা নষ্ট হবে! মাথাঘুরে পড়ে যাবেন আপনি! রাজনীতির কথা কী বলব? সেটা তো এখন সিদ্দিক-আলমদের দখলে। রাজনীতির মাঠ এখন রঙ্গশালা। সবশালা সাংসদ হতে চায়!
মাদ্রাসা শিক্ষার তো এখন টইটুম্বুর অবস্থা। মাঝে করোনার কারণে স্কুল কলেজ বন্ধ ছিল। মাদ্রাসায় করোনা যায় নাই বলে হুজুরদের পোয়াবারো। কয়েকদিন থেকে একটি ছেলেকে দিয়ে কিছু ভিডিও বানিয়ে করে খাচ্ছে এক হুজুর। এটা ভালো লক্ষণ। নব্বই দশকে ছবি তোলাই হারাম ছিল। এখনতো মেকাপ ছাড়া অনেকে ওয়াজের প্যান্ডেলেই ওঠে না। ছেলেটিকে দিয়ে জোরে কথা বলানো তার ফুসফুসে অত্যধিক চাপ তৈরি করছে। এতে সে নানামুখী জটিলতায় পড়তে পারে অদূর ভবিষ্যতে। কণ্ঠেরও একটা মাত্রা আছে। প্রচণ্ড জোরে কথা বললে এক সময় কণ্ঠনালাীও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। তার হুজুর কি এসব বিষয় জানে? তাকে জিজ্ঞেস করা হলো জাতীয় মাছ কী? সে বলল- পাঙ্গাস। বাঙালি এবার নড়েচড়ে বসল। দেশের গো@ মারার জন্য এবার জুতসই এক পোলা পাওয়া গেছে। জাতীয় মাছ পাঙ্গাসই হওয়া উচিত। ইলিশতো ঐ পোলা খায় নাই কোনোদিন। প্রথম আলো দেশের আর্থ সামাজিক অবস্থা নিয়ে টান দিলো। বাপরে বিশ্লেষণ! যে জিনিস চোখে দেখি না তারে জাতীয় মাছ কেন বলা হবে? ছেলেটির সরলতা ও ইলিশ বন্টনের জটিল হিসাবে মনে হচ্ছে ইলিশ মাছকে জাতীয় মাছ করা বিরাট বোকামি হয়েছে!
আমার মতে, গোরু অতি নিরীহ প্রাণি। গোরুর গলা ধরে শুয়ে থাকা যায়। তাই গোরুকে জাতীয় পশু ঘোষণা করা হোক। রয়েল বেঙ্গল টাইগার আপনি পাবেন কই? জীবনে তো অনেকে দেখিও নাই! এবার প্রস্তাব করেন জাতীয় পশু হোক গোরু। ছাগল হলে আরো ভালো হয়। বাংলাদেশের ঘরে ঘরে এতো ছাগল যে আলাদা করে ছাগল কেনার দরকার নেই। কাঁঠাল আমাদের জাতীয় ফল। লোকজনের কথা শুনে মনে হয় বাংলার মানুষ কাঁঠাল গো@য় দিয়া পুরা গ্রীষ্মকাল বইসা থাকে! ইতরের দল। এরা আসলে বাংলা ও বাঙালির জাতীয়তাবাদকে অস্বীকার করতে চায় নানা ছলনায়। ছেলেটাকে দিয়ে সাত দিনের নাম ইংরেজিতে বলাচ্ছে তার আহাম্মক হুজুর। সে স্যাটারডে, সানডে, মানডের পরিবর্তে বলছে ভাতদে, তরকারি দে, মাছদে…! কতবড় অমানুষ আর ছাগল হলে এসব বলায় একটা ছোট্ট বাচ্চাকে দিয়ে। ১৮৩৭ সালে ইংরেজিকে অবহেলা করার মধ্য দিয়েই বাংলার তথা উপমহাদেশের মুসলমানদের পতন শুরু। এই পতন কোনোকালেই আর ঠেকানো সম্ভব নয়। এসব ছেবলামিমার্কা ভিডিও দিয়ে মাদ্রাসা শিক্ষার ভয়াবহতাকেই প্রকাশ করছে তারা। এগুলো কঠোর নজরদারিতে আনা উচিত বলে মনে করি। কোমলমতি শিশুদের এসব ভুল জিনিস কেন শেখানো হচ্ছে এ ব্যাপারে জড়িতদের শাস্তির আওতায় আনা প্রয়োজন।
কোথাও আলো নেই। আলো কেবল খেতার নিচে! এন্ড্রয়েড শিক্ষার্থীদের বারোটা বাজিয়ে দিয়েছে। এই প্রজন্ম আগামি আট দশ বছর পর বিয়ের উপযোগী হবে। বিশ্বাস করেন, বিয়ের কথা বললে এরা দলে দলে বুড়িগঙ্গায় ডুবে মরবে। দশ বছর পর এর সত্যতা পাবেন।
ধর্মের প্রতি কুসংস্কারাচ্ছন্ন বিশ্বাস কোনদিকে চলে গেছে একটু অনুধাবন করুন। দুটি ঘটনা বলছি। ধরেন ক কলেজের ফার্স্ট গার্ল যাকে আপনি স্বপ্ন দেখালেন বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ার। কারণ তার সেই ফুয়েল আছে। আপনি যখন এসব বলবেন তার একার জন্য বলবেন না এটা ঠিক। সবার উদ্দেশ্যেই বলবেন। কিন্তু আপনার মনে গেঁথে থাকবে ঐ মেয়েটি। দেখা গেলো সে জিপিও ফাইভ পেলো। হঠাৎ একদিন শুনলেন সে আর জেনারেলে পড়তে চায় না। ক্লাস ফাইভে মাদ্রাসায় ভর্তি হবে। এতোদিন এ লাইনে পড়ে সে পাপ করেছে। এখন পাপমোচনের চেষ্টা করছে। আপনার মাথা পুরো আইলাইয়া যাওয়ার কথা। একজন হুজুরের কাছে আপনি গেলেন। তাকে সব বুঝিয়ে বললেন। কিন্তু তার ভাবসাব আপনার পছন্দ হচ্ছে না। হুজুর ঐ দিকেই টানে। আপনি বললেন, হুজুর নবি স. তো জ্ঞান অর্জনের জন্য চিনদেশে যেতে বলেছেন। একজন মেয়ে তাহলে বিশ্ববিদ্যালয়ে যেতে পারবে না কেন? হুজুর বিজ্ঞের মতো বললেন- সেটা কোন জ্ঞান? কোন জ্ঞান হুজুর? তিনি বললেন, সেটা ইলমের জ্ঞান! ও! নবি স. তাহলে কি তখন বুঝেন নাই আমার উম্মতরা জ্ঞান আর ইলমের জ্ঞানে প্যাঁচ লাগাতে পারে! হায়! হায়! হুজুর কী বলে? আপনি মেয়েটির বাসায় গেলেন। ওর বাপের হাতটা ধরে ফেললেন। প্লিজ, মেয়েটিকে এভাবে অন্ধকারের দিকে ধাবিত করবেন না। সে যদি এখন ক্লাস ফাইভে পড়ে তাহলে বারোটা বছর নষ্ট করলো কেন? আগে দিলেন না কেন? ও এখন সেখানে কী পড়বে? প্রয়োজনীয় সুরা, কেরাত, হাদিসতো সে নিজেও পড়তে পারে। প্রয়োজনে বাসায় একজন রেখে দেন। তার মেধাটাকে বিনষ্ট করবেন না, প্লিজ। মেয়েটিকে আপনি ডাকলেন। তার মা বাবার সামনে তাকে বললেন, মা! তুমি আজ থেকে আমার মা। আমি তোমার ছেলে হয়ে একটি অনুরোধ করছি। তুমি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষাটা দাও। ঢাবিতে হলে পড়বে। না হলে আর এ বিষয়ে আমি কখনো তোমাকে বিরক্ত করব না। আপনার চোখের কোণে চিকচিক করা জল দেখে হয়তো মেয়েটি আপনাকে কথা দিল, হ্যাঁ, সে পরীক্ষা দিবে। সে পরীক্ষা দিল। চান্স পেলো। ভর্তি হলো। আমার সাথে তার সারাজীবনের বিচ্ছেদ হলো। আমি আর তার খোঁজ নিব না কোনোদিন।
দ্বিতীয় কিস্তিতে আরো একজনকে পেলেন। এবার এমন এক মেধাবীকে পেলেন যে ভর্তি পরীক্ষায় দশজনের মধ্যে থাকতে পারে। একদিন সকালে আপনি শুনলেন সে-ও এ লাইনে আর পড়তে চায় না। এবার আপনি ক্লান্ত। যা বাবা, সহস্র পথে জীবনের বিকাশ, অজস্র পথে তার পূর্ণতা। করে খা। গতকাল ঢাবির রেজাল্ট হলো। সে মেয়েটি হতে পারতো আমাদের গৌরবের সন্তান!
দেশে শিখা অনির্বাণ জ্বলছে। কিন্তু আলোর খুব অভাব। আজ সকালে একজন জানালো এক মেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েও ভর্তি না হয়ে মাদ্রাসায় হাফেজিতে ভর্তি হয়। তিনপারা পড়ার পর সে আর পড়বে না। এখন ‘সুগৃহিণী’ হতে পারলেই জীবনটা পূর্ণতা পায়। বিয়ের জন্য পাত্র দেখা হচ্ছে! মাঝে মাঝে নাকি অস্বাভাবিক আচরণ করে। কবিরাজ বলছে, বিয়ে দিলে ঠিক হবে। ওরে জিনে পাইছে! শুধু কাউন্সিলিং এর অভাবে কতো জন এভাবে ভুল দিকে পা বাড়াচ্ছে। আপনার সন্তানকে কোন দিকে পড়াবেন আগেই ঠিক করুন। মাঝবয়সে এমন উল্টাপাল্টা সিদ্ধান্ত ভয়াবহ পরিণতি ডেকে আনে। ইবাদত তো করবেনই। মানবসেবা করেও আল্লাহকে পাওয়া যায়। সন্তানকে এই শিক্ষাটাও দিবেন। একজন মেয়ে বা ছেলে ইন্টারে পড়ার পর একজন ডাক্তার হয়ে যদি মানুষের জন্য নিজেকে নিবেদিত করতে পারে তবে সে নিশ্চয়ই ক্লাস ফাইভে মাদ্রাসায় ভর্তি হওয়ার চেয়ে পুণ্যের কাজ হবে।
একদিন আমরা শিখা অনির্বাণ, শিখা চিরন্তনী নিভিয়ে দিয়ে প্রবেশ করবো কি অন্ধকার প্রকোষ্ঠে? সেদিন হয়তো আর দূরে নেই কিন্তু কঠিন এক মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বিজয়ী জাতি কি এতো সহজে বিনষ্টের পথে যেতে পারে?