জাল ফেলেছে নীল আকাশ সাদা রঙের মেঘ ভাসিয়ে
শূণ্যে অসীম রঙ মাখিয়ে, ধরার পানে মুখ বিছিয়ে।
জাল ফেলেছে বাতাস নিজে ফুল ফসলের গন্ধ মেখে
বৃক্ষলতায় কাঁপন জাগায় পরশ দিয়ে থেকে থেকে।
জাল ফেলেছে সূর্যদেবও সকাল সকাল আলোয় ফুটে
জাল ফেলেছে ভালোবাসার আলিঙ্গনে আঁধার লুটে।
জাল ফেলেছে চাঁদের আলো শান্ত-সৌম্য মৃদু হেসে
মেঘের ফাঁকে আঁধার রাতে চলার পথকে ভালোবেসে।
জাল ফেলেছে নদীর জলে উথাল পাতাল ঢেউ তুলে
চুমোয় চুমোয় ভালোবাসা প্রেমিকরূপী পাড়ের গালে।
জাল ফেলেছে গাছের ছায়া, জাল ফেলেছে পাখির গান
আলের পাশে ফসল খেলে, মধ্য মাঠে সোনালি ধান।
জাল ফেলেছে নদীর নাওয়ে, জাল ফেলেছে শাপলা ফুল
নীলচে ফুলের কচুরিপানা, ডালিম শাখায় নাচা বুলবুল।
জাল ফেলেছে ঘাসের বুকে আঁকাবাঁকা গাঁয়ের পথ
তন্বী নারী, গ্রামের বধু, হাসির ঠোঁটে, নাড়িয়ে নথ।
জাল ফেলেছে ঘরের চাল, তালের শাখে পাখির ছায়া
জাল ফেলেছে, মন কেড়েছে; ছড়ানো ছিটানো মায়া।
জাল ফেলেছো তেমনি তুমি অযুত অরূপ রূপে।
জাল ফেলেছো তেমনি তুমি আমার মনে, নিশ্চুপে।
জাল ফেলেছো তেমনি তুমি বুনিয়ে ভালোবাসায়।
ওই জালেতে বন্দি আমি, হৃদয় বন্দি প্রেম-মায়ায়।
শিমুল,জাল ফেলেছো ভালোবাসার এড়িয়ে যাওয়া সাধ্য কার!
ওই জালেরই ফাঁস পড়েছি গলায়, পড়বো আবার, বারংবার।
১৬ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। ফরিদপুর।