পিতা, অসংখ্য বসন্ত এসেছিলো বাংলায়;
ফুটেছে, ঝরেছে অগনিত ফুল নিয়ম-নীতিতে।
বৃক্ষও জন্মেছে কদাচিৎ ক্ষীণতনু, বিবর্ণ-ধূসর ছায়ার।
অস্তায়মান সূর্যের অযুত-নিযুত পরিক্রমায় হাজার বছর শেষে
বৃক্ষের আহ্বানে ক্লান্ত, তছনছ মাটির প্রাণান্ত প্রার্থনায়–
এক পূর্ণবসন্তে ফুটেছিলো একটি ফুল প্রাণপ্রদায়ী, মহীরূহের।
তোমার জন্মচিৎকারে, এই বাংলায়; শান্ত-সৌম্য-শ্যামলভূমিতে।
বসন্তে ফোটা অনেক অসংখ্য ফুলের মতো যৌবনের মতো দীপ্ত তেজে।
পিতা, টুঙ্গীপাড়ার উর্বর শ্যামলে আচ্ছন্ন তোমার হৃদয়
সারা বাংলার প্রতিচ্ছবি। মানচিত্রের সমান প্রসারতা।
তেঁতুলিয়া থেকে টেকনাফ পর্যন্ত দীর্ঘ তোমার ছায়ায়
নিবারণীয় কত গ্রীষ্ম, কত তাপদহন, কত দুঃখ জর্জর দিন।
তোমার প্রসস্ত ছাতির শক্ত বাঁধ,
অসংখ্য ঝঞ্জায় বাঁচিয়েছে বঙ্গোপসাগরের উপকূল।
মাথা তুলেছে তোমার সাহসে বলীয়ান অযুত-নিযুত
লতা, গুল্ম, গাছ ও বৃক্ষাচ্ছাদিত সুন্দরবন; বাংলাদেশ।
পিতা, সেই পূ্র্ণবসন্তের পর শতবসন্ত কেটেছে এই শ্যামলিমায়
অজস্র ফুল ফুটে জন্মেছে অসংখ্য পরাশ্রয়ী লতা।
বৃক্ষও জন্মেছে কদাচিৎ।
মহীরুহ জন্মেনি; জন্মাবে না আর তোমার সমান।
পুরুষোত্তম তুমি পিতা আমার, তোমায় সহস্র অভিবাদন।
১৭ মার্চ, ২০২১ । প্রেমধাম, মানিকগঞ্জ।