মিতা, তোমাকে দেখেছি যেদিন কুয়াশার চাদরে মোড়ানো
হলুদ ফুলের আলোয়; পড়ন্ত বৈকালে সর্ষে ক্ষেতের আলে
গাঢ় নীলাম্বরী নীল শাড়িতে। নীল ময়ূরীর মতো
তোমার শরীরের ছন্দোবদ্ধ দোলা ও দোদুল্যতায়
শিহরণ তুলে শস্যের পাতা ও পুষ্প চুলের বাতাসে।
সেদিন আমার বুকে উপ্ত হয়েছিলো পুষ্প ও বৃক্ষের একটি সবল চারা।
যেদিন তোমার হাসি মুখের মুখর বানী কল্লোল তুলেছিলো ইথারে
তোমার হাতের পরশ, স্পর্শ করেছিলো এই শরীর
প্রেমের মতো গোপন নিবীরতায় মুহূর্ত মুহূর্তে।
সেদিন আমার বুকের বাড়ন্ত বৃক্ষ বেড়ে ওঠেছিলো অনেক।
ছড়িয়েছিলো শাখা পত্র-পল্লব প্রস্ফুটিত হওয়ার আনন্দে।
মিতা, সেদিনও পড়ন্ত বিকালে ছোট্ট কামরার নির্জনতায়
নির্জন হয়েছিলো আমাদের পৃথিবী। কিংবা
পৃথিবীকে অস্বীকার করার দুরন্ত সাহসে বিচ্ছিন্ন হয়েছিলাম দু’জন।
তুমি, আমি, আমরা আমাদের হয়েছিলাম প্রথম; প্রেমে ও চুম্বনে।
তোমার প্রতিটি চুম্বনে ফুটেছিলো সাতকোটি ফুল, তেরশত গোলাপ, গাঢ় লাল।
ভালোবাসার দুর্নিবার প্রতীক হয়ে আমার বুকের বৃক্ষে।
তারপর থেকে আমার হৃদযন্ত্র, শিরা উপশিরা কেবল
তোমার চুম্বনে প্রস্ফুটিত গোলাপের রঙে রাঙা লাল রক্ত
প্রবাহিত করে তোমারই নামে।
মিতা, প্রিয়তমা আমার, আমার প্রেম এখনো বেঁচে আছে
তোমার নামে, তোমারই প্রেমে।
১৫ ডিসেম্বর ২০২১। জাদুনগর।