কতো কারণেই মন খারাপ হয় মানুষের—
ছোটো বেলায় একটা লাঠি লজেন্সের জন্য কী ভীষণ মন খারাপ হতো!
একটা আইসক্রিমের অভাব রাজ্যের মেঘ জড়ো করতো মনের ওপর!
একটা হাওয়াই মিঠাইয়ের দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া মনকে কতো রকম বিষণ্ণ করেছে!
কৈশোরে মন খারাপ হতো একটা ফুটবলের জন্য
মন খারাপ হতো হারকিউলিস হেরে গেলে
মন খারাপ হতো সিন্দাবাদের দুঃসময়ে
মন খারাপ হতো আলাদিনের বিপদে
মন খারাপ হতো সন্ধ্যায় তাড়াতাড়ি কারেন্ট এলে
কী ভীষণ মন খারাপ হতো আলিফ লায়লা ফুরিয়ে গেলে!
মন খারাপ হতো একটি গোলাপ শুকিয়ে গেলে!
একটি কদম ঝরে গেলে কী নিদারুণ কষ্ট হতো সেকালে!
যৌবনের মন খারাপ অতলান্তিকে বসতির মতো!
দুঃসহ বেদনাময় মনখারাপ!
মন খারাপ হতো রূপসীর ঘ্রাণে,
মন খারাপ হতো বিষাক্ত প্রত্যাখ্যানে,
মন খারাপ হতো খোলাচুলে,
মন খারাপ হতো বাঁকা হাসিতে,
মন খারাপ হতো বিপন্ন প্রেমে, বিষাক্ত কামে…!
আজকাল মন খারাপের কোনো কারণ লাগে না।
লাঠি লজেন্স, আইসক্রিম, হাওয়াই মিঠাই কিংবা
হাজার ফুটবল, গোলাপ, কদম, পৌরাণিক বিজয়ে মন আর হাসে না। রূপসীর এলোচুল, সুঘ্রাণ, বাঁকা হাসির কামুক প্রেম মনে আর প্রভাব ফেলে না।
সব ছেড়ে সেই মন খারাপের দিনেই চলে যেতে চায় মন!
মন কেমন যেন—
‘মিলনে মলিন, বিরহে উজ্জ্বল’!!