বৃহস্পতিবারের রোদেলা দিনে তোমাকে দিয়েছি বাসে তুলে
তারপর দেখা হয়নি আমাদের কতো দিন!
আরো একটি বৃহস্পতিবারের শেষে শুক্রও হয়েছে পার,
এই দীর্ঘ বিরহ বিচ্ছেদে, অপেক্ষার যন্ত্রনাক্লীষ্ট সময়ে
আমাদের ভৌগোলিক দূরত্ব বেড়েছে আরো।
এই শৃঙ্খলিত সময়ে পৃথিবীতে নেমেছে আটটি রাত,
নেমেছে আটটি মিষ্টি রোদের বিকেলের সাথে
একটি বিরক্তিময় তন্দ্রাচ্ছন্ন বৃষ্টিভেঁজা বিবর্ণ বিকেল।
আটটি কুঁয়াশাচ্ছন্ন সকালে ঘাসের বুকে জমা নিশীথশিশির
তাড়ানো নয়টি সোনারঙা রোদঝরা শান্ত দুপুর।
কখনো বইছে দমকা বাতাস আমার দীর্ঘশ্বাসের সমান জোরে।
তোমার সাক্ষাতের মতো আরো একটি বসন্তের প্রতীক্ষায়।
তারপর একটি বর্ষণমুখর সন্ধ্যা শেষে
চা’য়ের কাপে মনচাঙ্গা হওয়ার চাইতে চাঙ্গাময় উষ্ণতা ছড়িয়ে
তোমার আমার মাঝে পদ্মা, যমুনা, মেঘনার সমান দীর্ঘ দূরত্ব ঘুচিয়ে
তুমি এলে, ইথারে ভেসে এন্ড্রয়েড ফোনের পর্দায়।
তোমার সেই মায়াবী মুখ, চকিত চাহনি, সূচালো থুতনির
উপরে সুবঙ্কিম ওষ্ঠপুটে প্রথম চুম্বনের চিহ্ন আঁকা;
আমার ঠোঁটের, ওষ্ঠের, লালাসিক্ত জিহ্বার।
গলায় রুজ, মেকাপের নিচে দাঁতের ম্লানায়মান চিহ্নদাগে
হৃদয়ে জাগালে প্রণয় কাঁপন, শীতের কাঁপন সরিয়ে দূরে।
এক, দুই, তিন করে হয়তো একশো সেকেন্ড!
হৃদয়ের সবটুকু ধুকপুক থামিয়ে, থামিয়ে পৃথিবী আহ্নিকগতি।
দেখো, আমাদের দেখা হবে, শিমুল ফোটার দিনে আবার; বারবার
০৪ ফেব্রুয়ারি, ২০২২। নিকুঞ্জভবন।