প্রথম পাতা » গল্প » চোর

চোর

Thief

গ্রামের মানুষ যেন সদা তটস্থ। কখন কার কী খোয়া যায় তা সামলাতেই সবাই ব্যস্ত। কিন্তু এত সতর্কতা ও সাবধানতায়ও কাজ হয় না। কারো ঘরের মধু, রুটি, খাবারের পাতিল উধাও হয়ে যায় নিমিষেই। আবার কখনো বা কোনো রূপসি ললনার অনেক সাধের পোশাক এবং সাজুগুজুর প্রয়োজনীয় সামগ্রীও হারিয়ে যায়। সবাই কোনো এক অজানা, অচেনা চোরের উদ্দেশ্যে নিজেদের ঝুলিতে থাকা সব গালি উজাড় করে দিলেও বন্ধ হয় না এই কিংবদন্তি তুল্য চুরি যাওয়ার ঘটনাটি।

কলাবতি গ্রামের প্রত্যেকটি বাড়িতেই এহেন চুরির ঘটনা ঘটেছে এবং প্রত্যেকেই শাপ-শাপান্ত করেও চোরের কোনো অমঙ্গল ঘটাতে ব্যর্থ হয়েছে। অবশেষে হাল ছেড়ে স্রষ্টার কাছে ফরিয়াদ জানিয়েছে এবং স্রষ্টাকে এই ধরনের অপকর্মের বিচারের ভার ছেড়ে দিয়ে ক্ষান্ত হয়েছে।

কোনো এক কুয়াশা ঢাকা ভোরে কিংবা চৈত্র্যের দুপুরে যখন মানুষের মাথা সূর্যের প্রচণ্ড তাপে ঝিম ঝিম করে তখন ধরা পড়ে চোর। ধরা পড়ে, এমনটি বলা হয়তো পুরোপুরি সঙ্গত হবে না। তবে হ্যাঁ, চোরের সন্ধান মেলে। সে চোর এতটাই উদভ্রান্ত এবং গতিশীল ছিল যে তাকে পাকড়াও করা ছমির বা জামির বা গ্রামের অন্য কারো পক্ষেই সম্ভবপর হয়ে ওঠে না।

চোখের পলক পড়তে যতটা সময় ব্যয় হয় সেই চোরটি, চোরটি বলা হয়তো সঙ্গত হবে না বরং বলা ভালো চোরেরা গ্রামের দক্ষিণ পাশের ঘন-বনের মধ্যে ঢোকে পড়ে এবং এক নিমিষেই তাদের চিহ্ন হারিয়ে যায় যেন কলাবতি গ্রামে এদের অস্তিত্ব ছিল না কোনো কালে।

কলাবতি গ্রামের যুবকেরা এই নিয়মিত চুরি ঠেকানোর জন্য পর্যায়ক্রমে পাহারার ব্যবস্থা করে। এই পাহারায় খুব একটা কাজ হয়েছিল এমনটি কিন্তু নয়। বরং চোরদের ক্ষোভ এবং ঔদ্ধত্য বেড়ে গিয়েছিল শতগুণে। তাই গ্রামের যুবকদের সাথে যেসব যুবতীদের সুসম্পর্ক ছিল তারা তাদের প্রেমিকাদের কাছ থেকে এতদিন যে ভালোবাসার মিঠাই-মণ্ডাই লাভ করে আসছিল তা থেকে তারা বঞ্চিত হয়। এবং তাদের কপালে এমন একটি তীলক শোভা পেতে থাকে যাতে স্পষ্ট হয়ে ওঠে একটিমাত্র শব্দ ‘কাপুরুষ’। বিষয়টি চিন্তারই বটে। প্রেমিকার কাছ থেকে এ ধরনের শব্দ শোনা মোটেও আশার কথা নয়। যাদের ক্ষেত্রে কথাটির প্রয়োগ ঘটেছে তাদের আত্মসম্মানে বিরাট ঘা লাগে কিন্তু পৌরুষত্বের খুঁটিকে পাকাপোক্ত করার জন্য চোরকে পাকড়াও করার কোনো লক্ষণই তাদের মধ্যে দেখা যায় না।

কলাবতি একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম। গ্রামটি অনেকটা ছবির মতো। যেন কোনো চিত্রী একের পর এক তুলির আঁচড়ে একটি অসাধারণ দৃশ্য ফুটিয়ে তুলেছেন। গ্রামের বেশিরভাগ মানুষই কৃষক। তাদের মধ্যে আবার অনেক পরিবারের সদস্য থাকে মধ্যপ্রাচ্যে, ইউরোপে বা আফ্রিকার কোনো কোনো দেশে। তাই গ্রামটিতে অভাব নেই বললেই চলে।

গ্রামের ঘরবাড়িগুলোও চেয়ে দেখার মতো। বেশিরভাগই পাকাবাড়ি এবং নকশাগুলো যেন বিশ্বকর্মার কাছ থেকে ধার করে নেওয়া এরকম নিখুঁত এবং মনোরম। তাই গ্রামটিতে চোরের উপদ্রপ হবে এমনটি ভাবা হয়তো অমূলক নয়। কিন্তু চোরদের সাথে পেরে না ওঠার অক্ষমতা মানুষগুলোকে একগুঁয়ে করে তোলে। যেমন করেই হোক তাদের পাকড়াও করার চিন্তা তাই গ্রামবাসীর মস্তিষ্কে সবসময়ই খেলা করে।
যেদিন কয়েকজন যুবকের প্রচেষ্টায় চোরদের সম্পর্কে জানা সম্ভব হয় তখন সেই চোরদের কর্মকাণ্ডে অনেকেরই অবিশ্বাস জন্মে। তবে মন থেকে একেবারে ঝেড়ে ফেলতে পারে না বিষয়টি। কারণ ইতিহাস এটাই বলে যে তাদের চুরি করার সক্ষমতা আমরা যারা স্বাভাবিক মানুষ তাদের চেয়ে কোনো অংশেই কম নয়। তাই অবশেষে কলাবতি গ্রামের মানুষ চোরদের অস্তিত্ব মেনে নিতে বাধ্য হয়।

কয়েকদিন পর চোরেরা সাহস করে বের হয়ে আসে। এমন এক অপ্রতিরোধ্য মানসিকতার সাথে তারা সবার সামনে দিয়ে চলতে থাকে যে গ্রামের মানুষ ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে যায়। অনেকেরই কাছে বিষয়টি দৃষ্টিকটু ঠেকলেও কেউ সেই চোরদের ধরার জন্য এগিয়ে আসে না। তবে কয়েকজন ছ্যাঁকা খাওয়া প্রেমিক যখন তাদের পাকড়াও করতে যায় তখন তাদের যে নাজেহাল হতে হয়েছিল, তারপর থেকে গ্রামে তাদের অপ্রতিরোধ্য অবস্থান আর কেউ টলাতে পারে না।

কয়েক দিনের মধ্যে গ্রামের সর্বত্র তাদের উপস্থিতি লক্ষ্যণীয় হয়ে ওঠে। অবশ্য তারা গ্রামটিকে তাদের আদর্শগ্রাম হিসেবে হয়তো ঘোষণা করে ফেলে বলেই গ্রামটিতে তাদের অবাধ বিচরণ দেখা যায়। অবশ্য এটা ঠিক যে গ্রামে প্রকাশ্যে আসার পর থেকে কোনো যুবতীর ওড়না ধরে টান দেওয়া বা কারো ঘরে রাতের অন্ধকারে ঢুকে পড়ার নজিরও দেখা যায় না। তবে ক্ষুধা পেলে তারা খাবারের জন্য অনেকের কাছেই সাহায্য প্রত্যাশা করে যখন ব্যর্থ হয় তখনই কেবল তাদের চেহারার অপর পিঠ আমাদের সামনে স্পষ্ট হয়ে ওঠে। এছাড়া তারা কারো সাথে জোরাজুরি করে না অনেকটা ‘করে নাকো ফোঁসফাঁস মারে নাকো ঢুসঢাস’ এর মতো।

কলাবতি গ্রামের উত্তর পাশে কলাবতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবস্থিত। স্কুলটির অবস্থান ঠিক পদ্মা নদীর ওপরেই। স্কুলের ঘর থেকে পদ্মার অপরূপ দৃশ্য যে কারো চোখে তৈরি করবে মায়ার আবেশ। নদীতে ছোট ছোট ডিঙি নৌকার উপস্থিতি; মাঝিদের মাছ ধরার দৃশ্য; মাঝে মাঝে ট্রলার বা লঞ্চের যাতায়াত পদ্মা নদীর সৌন্দর্যকে যে কোনো প্রেমিকের কাছেই হৃদয়গ্রাহী এবং উপভোগ্য বিষয় বলে বিবেচ্য হবে। তাছাড়া শরৎকালে নদীর পাড় ধরে শত শত কাশফুলের ফুটে থাকা দৃশ্যটিকে আরও মনোরম করে তোলে।

কলাবতি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে নতুন শিক্ষক হিসেবে আগমন ঘটে একজন যুবক শিক্ষকের। তাঁর নাম জসিম উদ্দিন কিংবা তাহের উদ্দিন যেটাই হোক না কেন স্কুলে নিয়োগের পর থেকে সবার কাছে তিনি ‘যুবক শিক্ষক’ নামেই পরিচিতি পান। নামটি প্রথমে কে দিয়েছিল বা কোন প্রেক্ষিতে দিয়েছিল সেটা নিয়ে কারো মাথাব্যথা না থাকলেও স্কুলে আসার প্রথম দিন যখন তিনি মাথা ঘুরে পড়ে যান তখন কথাটি গ্রামবাসীর কাছে রসের একটা উপাদান হিসেবে ঝুলে থাকে বেশ কয়েক দিন ধরে।

ঘটনাটি তেমন কিছুই নয়। যেদিন যুবক শিক্ষক তাঁর কর্মস্থলে এলেন এবং যথারীতি যোগদানের সকল রীতিনীতি সম্পন্ন করে ক্লাস ফোরের কক্ষে গিয়ে ক্লাস নেওয়া শুরু করবেন ঠিক তখনই ঘটে ঘটনাটি। হঠাৎ করে কয়েকজন অদ্ভুতদর্শন চোরের আগমন ঘটে। তাদের কলা খাওয়ার দৃশ্য আর বিচিত্র অঙ্গভঙ্গি যুবক শিক্ষককে ভয় পাইয়ে দেয়। এমনিতেই তিনি ভীতু প্রকৃতির মানুষ তারপর যখন একজন তার কোলে লাফ দিয়ে গলা পেচিয়ে ধরলো তখন তিনি আর নিজেকে কন্ট্রোল করতে পারলেন না। তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়ে গেলেন মেঝেতে। সেই নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের মধ্যে ব্যাপক হাসাহাসির সৃষ্টি হয় এবং অনেকেই বাড়িতে গিয়ে রসিয়ে রসিয়ে যুবক শিক্ষককে বিশেষ কায়দায় অর্ভ্যত্থনা দেওয়ার ব্যাপারটি বর্ণনা করে।

যুবক শিক্ষক অন্য জেলার লোক। কলাবতি গ্রামে তাঁর পরিচিতজন কেউ নেই। হেড মাস্টারের সহযোগিতা আর সহানুভূতিতে তাঁর থাকার ব্যবস্থা হয় বিদ্যালয়েরই পরিত্যক্ত একটি টিনের ঘরে। যুবক শিক্ষক এতেই অনেক খুশি হয়ে ওঠলেন। কারণ তার মাথাগুঁজার জন্য জায়গাটি দরকার ছিল। স্কুলটি ছিল জনমানবহীন একটি জায়গায়। এখানে বিভিন্ন ধরনের ঝুঁকি থাকলেও প্রকৃতির শোভা তাঁকে অন্যকোনো দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তি দেয়। স্কুল ছুটির পর এলাকাটি জনমানবহীন হয়ে পড়ে। তাই এই নির্জনে মানুষের সঙ্গ ছাড়া থাকাটা বেশ কঠিন হয়ে ওঠলেও আস্তে আস্তে তা সয়ে যায়। পড়াশুনা আর রান্না-বান্নায় সময় ঠিকই বয়ে যায়।

সেদিন ছিল বৃহস্পতিবার। স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পর আগমন ঘটে সেই সব অদ্ভুতদর্শন চোরদের। প্রথমদিকে কিছুটা ভয় পেলেও আস্তে আস্তে দেখা যায় তাদের সম্পর্ক স্বাভাবিক হয়ে ওঠেছে। এবং তাদের মধ্যে যেন পরিচয় কত যুগ যুগান্তরের। তারা প্রতিদিন খাবার ভাগাভাগি করে খেত এবং একসাথে অনেকটা সময় কাটাতো।

যুবক শিক্ষক আস্তে আস্তে তাদের সাহচার্যে অভ্যস্ত হয়ে ওঠলেন। যুবক শিক্ষক জন্মগ্রহণ করেছিলেন এক দরিদ্র পরিবারে। লেখাপড়া করেছেন বরাবরই লজিং থেকে। সেই সব জায়গায় কখনো তিনি ভালোবাসার ছিটেফোঁটা পেয়েছেন বলে মনে করতে পারেন না। তাই আজ এই অযাচিত ভালোবাসা আর সাহচার্যে সে বিস্মিত না হয়ে পারে না। সমাজ ব্যবস্থায় তাদের স্বভাব-চরিত্র এবং সামজিক অবস্থান নিয়ে যতই দ্বিমত থাকুক না কেন এই কয়দিনের মেলামেশায় তিনি আবিষ্কার করেন ‘ভালোবাসার প্রতিদান ভালোবাসা ছাড়া আর কিছু হতে পারে না।’

কলাবতি গ্রামে যুবক শিক্ষক ছিলেন প্রায় এক বছর। এই এক বছরে মানুষ এবং প্রাণী সম্পর্কে অনেক চিন্তা ভাবনা করেছেন তিনি। তাঁর কাছে মনে হয়েছে প্রকৃতির স্বাভাবিক নিয়মেই এই সম্পর্কগুলো তৈরি হয়। তবে এই সম্পর্কগুলো তৈরি হওয়ার ক্ষেত্রে দুই পক্ষের সম মানসিকতার প্রয়োজন পড়ে। নইলে সম্পর্ক কখনো সৌহার্দ্যের মর্যাদা লাভ করে না। তারপর সরকারি একটি শিক্ষাবৃত্তি লাভ করেন তিনি। তিনি মিশরের আল আজহার নামক সুপ্রাচীন বিশ্বিবিদ্যালয়ে দর্শন বিষয়ে উচ্চতর গবেষণা করার জন্য কলাবতি গ্রাম ছাড়েন। যেদিন তিনি গ্রাম ছেড়ে চলে যান সেদিন বিদায়ের বেলা অন্য মানুষেরা তাঁকে বিদায় দিতে না আসলেও যাদেরকে দেখে তিনি ভয় পেয়েছিলেন তারাই তাকে বাসে উঠিয়ে দিয়ে আসে। বিদায়ের বেলা দুই পক্ষের মধ্যে যে এক বিষাদময় পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল তা সহজেই অনুমেয়। সেদিনকার সেই বিচ্ছেদ যুবক শিক্ষকের কাছে ছিল সবচেয়ে যন্ত্রণার এবং বিষাদের। তাঁর জীবনে হয়তো এরকম বিষাদ খুব কম এসেছে। অবশেষে চোখের পানিতে দুই দলেরই ছাড়াছাড়ি হয়। অবশ্য সেটা সাময়িক না চিরকালীন সেটা পাঠকের একান্তই বিবেচনার বিষয়।

দুই মাসের মধ্যেই যুবক শিক্ষক মিশরের মাটিতে পা রাখেন। ভর্তি হয়ে যান পৃথিবীর প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয় আজহারে। মিশরের উজ্জ্বল ইতিহাস তার মানস পটে একের পর এক ভেসে উঠতে থাকে। দর্শনে যুবক শিক্ষকের আগ্রহ থাকলেও ইতিহাসের প্রতিও ছিল এক দুর্নিবার আকর্ষণ। তাই তাঁর মানস পটে চার বা সাড়ে চার হাজার বছরের মিশরের ইতিহাস উঠে আসে এবং তিনি রোমাঞ্চিত হতে থাকেন ইতিহাসের প্রতিটি ঘটনাবহুল স্থান দেখে।

প্রথম কয়েক মাস তিনি দর্শনীয় স্থান আর ইতিহাসের সাক্ষর রেখে যাওয়া স্থানগুলো দেখেই কাটালেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্লাস শুরু হতে তখনো প্রায় দিন পনেরো বাকি। সময় যাতে বৃথা না যায় এজন্য তিনি একদিন যেখানে লোহিত সাগর আর ভূমধ্যসাগর মিলেছে সেই সঙ্গম স্থল দেখতে যান। সেই সাগর সৈকতে গিয়ে তিনি সমুদ্রস্নান করতে নামলেন। নামার আগে পোশাক খুলে রেখে সাগরে নামলেন। কিছুক্ষণ সমুদ্রস্নান করে তীরের কাছাকাছি এসে দেখলেন তার পোশাক নেই।

যুবক শিক্ষক পোশাক না দেখতে পেয়ে খুব চিন্তায় পড়ে গেলেন। কারণ তিনি যে অবস্থায় আছেন তাতে ভদ্র সমাজে মুখ দেখানো চলে না। এদিক ওদিক দেখে অবশেষে একটি গাছের দিকে নজর দিতেই দেখতে পেলেন তার সেই চিরপরিচিত এবং এক কালের সুহৃদ ডারউইনের দেওয়া বিশেষ সম্মানে ভূষিত বানর সম্প্রদায়। তখন তিনি ভাবলেন তারা হয়তো মজা করছে যেমন মজা করেছিলেন শ্রীকৃষ্ণ শ্রীরাধার সঙ্গে। কিন্তু তার ভুল ভাঙতে সময় লাগলো না।

যুবক শিক্ষকের মানসপটে ভেসে উঠল কলাবতি গ্রামের দৃশ্য। সেখানে এক অপার্থিব সম্পর্কের জাল যাদের সঙ্গে তৈরি হয়েছিল সেই সম্প্রদায়ই কিনা তাকে এমন একটি বেইজ্জুতির মধ্যে ফেলে তাঁর পোশাক নিয়ে চলে গেল। তাছাড়া তিনি ভাবলেন, যে সংস্কৃতিতে প্রাচীন মিশরের ফারাওদের একটি মমিও চোরদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সেখানে তাঁর সামান্য পোশাক রক্ষা পাবে এমনটা ভাবা হয়তো ঠিক নয়। কিন্তু সে সব চোরেরা ছিল মানুষ। বিদ্যা-বুদ্ধির জাহাজ ছিল এক একজন চোর। কিন্তু এরা! যুবক শিক্ষক চেয়ে চেয়ে দেখলেন তাদের চলে যাওয়া। ইতিহাস তাঁকে গ্রাস করে ফেললো। কোনো কথাই বের হলো না তাঁর মুখ থেকে।

গল্প থেকে আরও পড়ুন

লেখক পরিচিতি:

আওরঙ্গজেব জুয়েল
আওরঙ্গজেব জুয়েল
শব্দ বুনে যাই। মাথার ভেতরে ভীড় করা যত শব্দ আছে তা দিয়েই গড়ে তুলি শব্দসৌধ। ভালোবাসি মানুষকে; ভালোবাসি স্ত্রী পুত্রসহ সকল কর্ষিত মানুষকে। যাদের স্বপ্নে আগামী পৃথিবী পাবে তার ঈপ্সিত মুক্তি।

ইতল বিতলে আপনার লেখা আছে?আজই লিখুন



আপনার মন্তব্য লিখুন

Your email address will not be published. Required fields are marked *