বাবা

চিলঘুড্ডি

- বাজান,পাঁচটা টেকা দেও- কানের কাছে ভেজর ভেজর করবি না- দেও- বজ্জাতপোলা দূর হ কইলাম। টেকা কি গাছে ধরে?- একটা চিল ঘুড্ডি কিনমু, দেও বাজান!- আসমানে বহুত চিল উড়ে। হা কইরা থাক । ঘুড্ডি মুহো পড়ব- ' হা কইরা থাক ঘুড্ডি মুহো পড়ব ' অবিকল বাপের মতো বলতে বলতে চলে

বাবা আমার বাবা

আমি আর বাবা একই সঙ্গে স্কুলে যেতাম। উত্তরবঙ্গের এক অজ পাড়া গাঁয়ের মেঠো পথ ধরে বাবার চাইনা ফনিক্স বাই সাইকেলের পেছনের ক্যারিয়ারে বসে প্রকৃতির অপরূপ শোভায় বিভোর হয়ে কখন যে স্কুলে পৌঁছে যেতাম তা কখনও টেরই পেতাম না। প্রকৃতি কী অকৃপণভাবে তার রূপ, রস, শব্দ, গন্ধ সেই পথটায় ছড়িয়ে দিয়েছিল;

সোনার কুড়াল, রূপার কুড়াল আর লোহার কুড়ালের গল্প

আমার ফুপুরা আমাদের বাড়ির পাশ দিয়েই দাদা বাড়িতে যেতো।আমাদের বাড়িতে পা-ও দিত না । হাতির পা গরিবের বাড়িতে পড়ে মাটিতে ডেবে পা আটকে যাওয়ার ভয়ে আর কি! আমাদের বাড়ি আর দাদার বাড়ি আলাদা কেন সেটা আরেক গল্প। বলার মতো তাই পরে বলা যাবে।আমার আব্বার অর্থনৈতিক অবস্থা এক সময় খুব খারাপ

বাবা

দিনগুলো কেমন খটখটে যাচ্ছে শফিকের। সময় মানুষকে কেমন বদলে দেয়। চিরপরিচিত মানুষগুলোও সময়ে সময়ে এমন অচেনা হয়ে যায় যে ভাবলে বিষম লাগে। অসুস্থ সময় মানুষকে করে তোলে বিকারগ্রস্ত। চারদিকে কেবলই নাই নাই ধ্বনি। তবু মানুষ আঁকড়ে থাকে জীবনকেই। এতো অতৃপ্তির মধ্যেও বেঁচে থাকতে কেউই মৃত্যুর আয়োজন করতে চায় না। না,