ওয়েবসাইট কী সেটা তো আমরা প্রায় সবাই জানি। ওয়েবসাইট হল কোন ওয়েব সার্ভারে রাখা ওয়েব পৃষ্ঠা, ছবি, অডিও, ভিডিও ও অন্যান্য ডিজিটাল তথ্যের সমষ্টিকে বোঝায়, যা ইন্টারনেট বা ল্যানের মাধ্যমে অ্যাক্সেস করা যায়।
যেমন, ইতল বিতল একটি ওয়েবসাইট। আপনি এই যে লেখাটি পড়ছেন, এটি ইতল বিতল ওয়েবসাইটের একটি ওয়েব পেইজ।
আপনি কি জানেন বিশ্বে মোট কতগুলো ওয়েবসাইট আছে?
এই লেখাটি লেখার সময় বিশ্বে ১৯২ কোটিরও বেশি ওয়েবসাইট আছে।
অবশ্য এর বেশিরভাগই নিষ্ক্রিয়। সক্রিয় ওয়েবসাইট আছে ২০ কোটির মত।
মজার তথ্য
১. প্রথম ওয়েবসাইট (info.cern.ch) ১৯৯১ সালের ৬ আগস্ট প্রকাশ করেন ব্রিটিশ পদার্থবিদ টিম বার্নার্স-লি। তিনি তখন সুইজারল্যান্ডের “ইউরোপিয়ান অর্গানাইজেশন ফর নিউক্লিয়ার রিসার্চ” এ কর্মরত ছিলেন।
২. ওয়েবসাইটের সংখ্যা সবচেয়ে বেশি বেড়েছে ২০১৬ সালে। ৯০ কোটি থেকে ১৭০ কোটিতে পৌঁছে।
৩. প্রতি সেকেন্ডে গড়ে প্রায় ৩টি ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে।
৪. যখন প্রথম ফেইসবুক চালু হয় তখন তার নাম ছিল The Facebook. তখন তার চেহারা কেমন ছিল দেখুন:

৫. ইউটিউব চালুর বছরে তার চেহারা ছিল নিম্নরূপ:

৬. যখন গুগল চালু হয় তখন তার চেহারা-ছবি যেমন ছিল:

৭. বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয়, বহুল ব্যবহৃত ৫টি ওয়েবসাইট হচ্ছে:
- গুগল: বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং সর্বাধিক ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইট তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গুগল। ১৯৯৮ সালে বিশ্ববিদ্যালয় পড়ুয়া দুই বন্ধু ল্যারি পেজ ও সের্গেই ব্রিন মিলে গুগল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এখন বৈশ্বিক সার্চ সেবা খাতে একচ্ছত্র আধিপত্য বিস্তার করে আছে অ্যালফাবেট নিয়ন্ত্রিত গুগল। আজকের অবস্থানে উঠে আসতে গুগলের কয়েক বছর সময় লেগেছে। বলা হয় গুগল কাউকে ফেরায় না। বাস্তবিক অর্থেও তা-ই, যেকোনো বিষয়ে অনুসন্ধান করলে গুগল তার কার্যকর ফলাফল দিয়ে আসছে।
- ইউটিউব: গুগল নিয়ন্ত্রিত জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম ইউটিউব। ২০০৫ সালে সাবেক তিন পেপাল কর্মী ইউটিউব প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। ২০০৬ সালের নভেম্বরে ১৬৫ কোটি ডলারে ইউটিউব অধিগ্রহণ করে গুগল। এরপর প্লাটফর্মটির ব্যবহারকারী ক্রমে বাড়তে থাকে। ভিডিও শেয়ারিং প্লাটফর্ম হিসেবে বিশ্বের সবচেয়ে বেশি ভিজিট হয় ইউটিউব। এছাড়া সবচেয়ে জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তালিকায় দ্বিতীয় শীর্ষ অবস্থানে ইউটিউব। বিশ্বব্যাপী অসংখ্য মানুষ বিভিন্ন ভিডিও দেখতে ইউটিউব ব্যবহার করছে।
- ফেইসবুক: বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ সোস্যাল মিডিয়া প্লাটফর্ম ফেসবুক। ২০০৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আরো চার সহপাঠীকে নিয়ে কলেজ ডরমিটরিতে ফেসবুকের কার্যক্রম শুরু করেছিলেন মার্ক জাকারবার্গ। এখন বিশ্বের তৃতীয় শীর্ষ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটটি হলো ফেসবুক। বিশ্বব্যাপী সামাজিক যোগাযোগ রক্ষায় প্রায় ২৯০ কোটি মানুষ প্রতি মাসে সক্রিয়ভাবে প্লাটফর্মটি ব্যবহার করছে। শুরুর দিকে এর নাম ছিল দ্যফেসবুক ডটকম। ফেসবুকের কার্যক্রম এখন শুধু সামাজিক যোগাযোগের মধ্যেই সীমাবদ্ধ নেই। ডিজিটাল বিজ্ঞাপন প্রদর্শনেরও অন্যতম প্লাটফর্ম হয়ে উঠেছে এটি।
- বাইদু: চীনভিত্তিক ইন্টারনেট-সংশ্লিষ্ট বহুজাতিক প্রযুক্তি কোম্পানি বাইদু ইনকরপোরেশন। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার পাশাপাশি নানা ধরনের ইন্টারনেট-সংশ্লিষ্ট সেবা দিয়ে আসছে প্রতিষ্ঠানটি। ২০০০ সালের জানুয়ারিতে কার্যক্রম শুরু করে বাইদু। এরই মধ্যে বিশ্বের চতুর্থ শীর্ষ জনপ্রিয় ওয়েবসাইটের তকমা দখলে নিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। বাইদুর সেবা ব্যবহারকারী বেশির ভাগই চীনের। দেশটিতে গুগলের অনেক সেবা ব্লক থাকায় ক্রমান্বয়ে বাইদুর সেবাগ্রহীতা বাড়ছে।
- উইকিপিডিয়া: বিশ্বের পঞ্চম সর্বোচ্চ ভিজিট হওয়া ওয়েবসাইট হলো উইকিপিডিয়া। ২০০১ সালের ১৫ জানুয়ারি উইকিপিডিয়ার যাত্রা হয়। ইন্টারনেট মুক্ত বিশ্বকোষ উইকিপিডিয়া বিশ্বব্যাপী ৩২৫টি ভাষায় ব্যবহার করা যায়।
মজার ওয়েবসাইট
১. মুভি ডায়লগ: আপনি যদি কোন ডায়লগ লিখে দেন তাহলে বিভিন্ন মুভি থেকে সেই ফুটেজ বের করে দেখাবে এই ওয়েবসাইট।
উদাহরণ হিসেবে আমি এখানে বাংলাদেশ শব্দটি ব্যবহার করেছি। বিভিন্ন মুভি থেকে বাংলাদেশ শব্দটি আছে এমন ডায়লগগুলো বের করে দেখাচ্ছে।
২. দুশ্চিন্তাকে চিরবিদায়: যে দুশ্চিন্তা আপনাকে শান্তি দিচ্ছে না তাকে বিদায় জানাতে তা লিখে দিন এই ওয়েবসাইটে।
থাক! মজার ওয়েবসাইট নিয়ে আরেকদিন লিখব। হয়তো!