রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের 'তোতাকাহিনি' গল্পে তোতার লাফ-ঝাঁপ, চলন-বলন যখন বন্ধ হলো, তোতা যখন হয়ে পড়লো নিশ্চল তখনই তার শিক্ষা পুরা হলো। বৃটিশ উপনিবেশিক শাসনে প্রণীত শিক্ষানীতির 'গুড বয়' বানানোর প্রচেষ্টাই আজো আমাদের শিক্ষার মূল। আমাদের শিক্ষায় বিপ্লব-বিদ্রোহ যেমন উপেক্ষিত তেমনি উপেক্ষিত প্রণয়। এখানে বিপ্লব মানে বিরুদ্ধশক্তি, প্রণয় মানে ফষ্টিনষ্টি! ফলে আমাদের
পুরোটা পড়ুনসুজন হামিদ এর ব্লগ
নামটা ধার করা। আব্দুল্লাহ আবু সাঈদ স্যারের একটা বইয়ের নাম থেকে শিরোনামটা নেওয়া। এরচেয়ে ভালো নাম এ লেখাটার জন্য আর হয় না। কয়েকদিন থেকেই মনস্থির করছি ফেসবুক থেকে সাময়িক বিদায় নেব। ফেসবুকের ভবিষ্যত আমি বুঝে গেছি। এখানে পড়ে থাকার কোনো মানে নেই। যেকোনো সময়- বিদায়।ফেসবুকে লিখব না। এটাও ঠিক করেছি।
পুরোটা পড়ুন‘শিক্ষাগুরুর মর্যাদা’ কবিতার ভুল পাঠ (!)
এদেশে শিক্ষকরা বেশি কথা বলে! হুমায়ূন আহমেদের নাটক 'হাবলঙ্গের বাজার' নাটকটি যারা দেখেছেন তারা এর মর্ম উপলব্ধি করতে পারবেন। একজন শিক্ষককে উদ্দেশ্য করে জাহিদ হাসান 'আপনি বেশি কথা বলেন' উক্তিটি করেন। অভিনেতা ফারুক মুক্তিযোদ্ধার ভূমিকায় বন্দুক হাতে তাড়া করেন মাহফুজকে। এক পর্যায়ে মাহফুজের সঙ্গী হন শিক্ষক মহোদয়! একটা চমৎকার দাবুড়ের
পুরোটা পড়ুন২০০৫ সালের ঘটনা। আমি তখন আদমজী ক্যান্ট. কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র। আমাদের ক্লাস একেবারে শেষের দিকে। একদিন বাংলার পারভীন আপা এলেন ক্লাসে। আমাদের একটি ভাবসসম্প্রসারণ লিখতে দিলেন : দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা...সবার আগে আমি লেখা জমা দিলাম। আপা পড়লেন এবং আমাকে দাঁড় করিয়ে বললেন : 'ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে তোমার জন্য
পুরোটা পড়ুনপ্রথম জীবনে প্রেমে আমার তেমন আস্থা ছিল না। তাই ক্লাস থ্রিতে পড়ার সময় একদিন টিফিনের সময় সরাসরি আমার ক্লাসের এক অতি রূপবতী মেয়েকে বিয়ের প্রস্তাব দেই। মেয়েটি আমার কথা শুনে ঠোঁট বাঁকিয়ে হাসল। বলল টিফিনের পর এই বিষয়ে বিস্তারিত কথা হবে। প্রবল উত্তেজনায় টিফিন না খেয়েই আমি ক্লাসে বসে আছি।
পুরোটা পড়ুনএকটা ভুয়া শিরোনাম দিয়ে লেখাটি শুরু করলাম। বাংলাদেশে শিক্ষক সম্প্রদায়কে যাবতীয় নিপীড়নের ও বঞ্চনার মোক্ষম অস্ত্র হচ্ছে এই বাক্য। এই সমাজ, রাষ্ট্র কোনোকালে শিক্ষক চায়নি, এখনো চায় না। এদেশ শিক্ষকতা পেশাকে আকর্ষণীয় ও মোহনীয় করতে পারেনি কোনোকালে। দু চারটি ব্যতিক্রম বাদে এদেশে বাধ্য হয়ে শিক্ষকতার পেশাকে বেছে নেয় অনেকে। অতি
পুরোটা পড়ুন‘আব্বু, এখানে আসা আমাদের বিরাট ভুল হয়েছে!’
বাংলাদেশের শিক্ষক-সমাজ কাজী কাদের নেওয়াজ সাহেবের 'শিক্ষাগুরুর মর্যাদা' কবিতাটার সাক্ষাৎ না পেলে এতোদিনে দমবন্ধ হয়ে পগারপার হয়ে যেতো সেই কবে! আমার ধারণা, কবিতাটা এঁরা প্রায়ই নীরবে নিভৃতে পাঠ করে এবং মোটা ফ্রেমের চশমার নিচে জমা জলবিন্দু পরিষ্কার করে আর মনে মনে আওড়ায় : 'শিক্ষক আমি সবার সেরা!' এই একটি বাক্যের
পুরোটা পড়ুনবিশ্বে শিক্ষকদিবস আছে, বাংলায় নেই। বাঙালি শিক্ষক চায় না। ফলে এতদ্বিষয়ক দিবস নিয়েও তাদের মাথাব্যথা নেই। আমজনতার কাছে শিক্ষকতা কোনো পেশা না। যারা চাকরি পায় না তারাই এদেশে মাস্টারি করে জীবনের গুরুভার বহন করে। গ্রামবাংলায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি আর থানার দারোগা একসাথে চা খেতে বসলে দারোগার চা আগে আসবে। দারোগার কাপ
পুরোটা পড়ুন