হৃদয়ের একূল থেকে ওকূলের দূরত্ব কতো?হাজার মাইলের চেয়েও বেশি?একূলের গর্জে ওঠা ঘূর্ণি কেন ওকূলে পৌঁছে না?ওকূলের শোক কেন একূলে শক্তি হয়ে জাগে না?হৃদয়, তুমি কি কবি হবা?একটু সত্যের জোরে দু চারটি পঙক্তি আছড়ে পড়তো দুকূল বেয়ে! উপচে উঠতো শব্দতরঙ্গ, প্রচণ্ড দ্রোহ কিংবা ঘৃণা।হৃদয়, তুমি কি এনাটমির কন্ট্রাক্টর হবা?একটা মেরুদণ্ডের বড়ো
পুরোটা পড়ুনসুজন হামিদ এর ব্লগ
কতো কারণেই মন খারাপ হয় মানুষের---ছোটো বেলায় একটা লাঠি লজেন্সের জন্য কী ভীষণ মন খারাপ হতো!একটা আইসক্রিমের অভাব রাজ্যের মেঘ জড়ো করতো মনের ওপর!একটা হাওয়াই মিঠাইয়ের দ্রুত ফুরিয়ে যাওয়া মনকে কতো রকম বিষণ্ণ করেছে!কৈশোরে মন খারাপ হতো একটা ফুটবলের জন্যমন খারাপ হতো হারকিউলিস হেরে গেলেমন খারাপ হতো সিন্দাবাদের দুঃসময়েমন খারাপ
পুরোটা পড়ুনএকটা কবিতা লেখার জন্য মনটা কেমন বিদীর্ণ হয়ে ওঠে!অ-কবির কি কবিতা লিখতে আছে?মাঠভরা ধানক্ষেত, বালুচর, বাঁশি, মেঘমল্লার রাশি রাশি পড়ে থাকে জসীমউদদীনের 'নক্সী কাঁথার মাঠ' এর মতোঅবেলায়, অবহেলায়- কবিতা হয়ে ওঠে না ওরা।অ-কবির হাতে শব্দ আছে বিস্তর, অর্থের বড় টানাটানি!দোয়েল, ফণীমনসার ঝোঁপে ঝোঁপে চারপাশের পেঁচারা উৎ পেতে থাকে। জীবনানন্দ তবু
পুরোটা পড়ুন(বীরমুক্তিযোদ্ধা মরহুম মহসিন রেজার স্মৃতির উদ্দেশে)আমার তুলিগুলো শুকিয়ে কেমন কাঠ হয়ে গেছেবর্ণিল রঙের সব ছিপি উল্টে পড়েলাল-সবুজের প্লটটা হয়ে গেছে কুচকুচে কালোকেমন নিস্পৃহ,কেমন বিবর্ণ!মর্সিয়া গীতও বিবাগী রাতে রাজসিকের মুখটা মনে করে বিব্রত হয় :'সেদিনও সন্ধ্যা গেছে ফুরিয়েপ্রতিদিনের আমি ছুটছিসামনে রাজসিক।'অপ্রতুল হাসি আর কথার খলখলানি আমিসেদিন মাড়িয়ে এসেছি নিপুণ অভিনেতার মতো।আমার
পুরোটা পড়ুনএকদিন বাবাকে ভয় পেতামবাবার হাতে লাঠি ছিলবুকে তার স্নেহ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আনতেন লজেন্স আর বাদামটানা,সিদ্ধ জলপাই আনতেনখাতা কলম আনতেনবিগলিত স্নেহে কাছে টানতেন।বাবার কাছে অর্থ ছিলসংসার চালাতেন বাবা।আমরা বড় হলামবাবা হাল ছাড়লেনলাঠি পড়ে গেলহাত রিক্ত হলোবেদনায় সিক্ত হলেন বাবা।এখন ছেলের পাঠানো টাকারদিকে বাবার দৃষ্টিমোটা ফ্রেমের পুরু গ্লাসেবাবার চোখ যেন শীতার্ত নদী।হাত
পুরোটা পড়ুনএই তো সেদিন, তবু মনে হয় কতোদিন!তোমার কি মনে আছে অহমিকা? সরি, অনামিকা? জানো তো সেদিন সন্ধ্যাবেলা, কী করে মাথায় ভূত চাপলো! ক্যান্টনমেন্ট পেরোনোর নেশায় পেয়ে বসলো! রাত্রি তখন কতো?তুমি নাকি ছোটটার পড়া করে দিচ্ছিলে! আমিতো আসমানের স্বচ্ছ পূর্ণিমায় তোমাকে ডাক দিলাম, ফোনে! তুমি নাকি সচরাচর রাতে কখনো ছাদেই যাও
পুরোটা পড়ুনচতুর্দিকে নর্দমার খোলা ড্রেইনগিজগিজ করছে সুঁইপোকাময়লার ভাগাড়ে উৎকট গন্ধ মেখেদেবালয়ে যায় পাড়ার নটিরাএকটা পা তার খসে গেছেঘাখানায় ধরেছে পঁচন কোনকালেপায়ের পঁচা ঘায়ের কশে মন রাঙিয়েখোলা মঞ্চে ওঠে কথাবেচা বেশ্যারাএক হাতের পাঁচটা নখেলেগে আছে আঁঠালো মলমলমাখা হাতে দারিদ্র্যের ফিরিস্তিফাইলআপ করে অদম্য ষাঁড়েরাপাঠাকে খাসি করে কানু নাপিতনিপুণহাতে বিচিদুটো ফেলে দেয়অতিগোপনে তুলে নিয়ে
পুরোটা পড়ুনশুদ্ধতম কবি জীবনানন্দআপনি কোথায়?পতঙ্গ পিঞ্জরে পুনর্জন্মেরসাধ ছিল আপনার!করেছে কি বিধিকার্তিকের কাক,সন্ধ্যার সুদর্শন,কিংবা ভোরের দোয়েল?কখনো কি গিয়েছেনঢাকার রেডিসনেকন্টিনেন্টালেসংসদপ্লাজার সান্ধ্য আড্ডায়???এলিটভবনের করিডোরেকাক নিষিদ্ধসুদর্শন নিষিদ্ধদোয়েল নিষিদ্ধ!!!সেখানে অবিরল শিকারির আনাগোনাআপনার কথা কেউ বলে না!সেখানে হিশেব হয়নগদ নোটেরসফটওয়্যারেরভাংগারি দোকানের, কয়লা কাঠের আরট্রাম্পভর্তি হরিণের!!আপনি পড়ে থাকেন পৃথিবীর দীর্ঘশ্বাসরূপীমধ্যবিত্তের ভাঙা শেলফেবিপণ্ন জীবনেবিবর্ণ হৃদয়ে!!পৃথিবী 'ধূসর পাণ্ডুলিপি' চায় নাচকচকে
পুরোটা পড়ুনআমাদের শৈশব ছিল বৃষ্টিমাখা রোদ্দুরআমরা বলতাম খেকশিয়ালের বিয়ে হচ্ছে!আমরা পড়তাম- 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুরনদেয় এলো বান'! আহ! কী বিষণ্ন মেদুর!আমাদের তারুণ্যে বৃষ্টি ছিল অবিরাম,আমরা দেখতাম বকের সারির পলায়ন!আমরা জসীমউদদীনের মন খারাপ করা'পল্লীবর্ষা' কবিতা পড়তাম। কেয়াবনের বৃষ্টিদেখে আমরা গাইতাম- 'এমন দিনে তারেবলা যায়...'! আমাদের আকাশজুড়ে বৃষ্টিনামতো- 'বৃষ্টি, বহু প্রতীক্ষিত বৃষ্টি...'!এরপর আমাদের
পুরোটা পড়ুনএকজন পেটি বুর্জোয়ার ‘মে দিনের কবিতা’
আজ আমি কোনো ফুলের ছবি দেব নাআমার চারপাশ পাথরসমান ক্ষোভআজ আমি ভাতঘুমে যাব নাআমার চারপাশে অগণিত ক্ষুধার্ত মুখআজ আমি কোনো লিরিক লিখব নাআমার চারপাশে শ্রমজীবীর ট্রাজিক শোকআজ আমি বসন্তের গান করব নাআমার চারপাশ কালবোশেখীর স্রোতআজ আমি রাজরাজরার গল্প লিখব নাআমার চারপাশে মেহনতির মর্সিয়া চোখআজ আমি ভোরের দোয়েলের ছবি আঁকব নাআমার
পুরোটা পড়ুন