হাই স্কুলে আমার একজন হিরো ছিলেন। আমার গাজী স্যার। আমাদের গাজী হুমায়ুন কবির স্যার। প্রচণ্ড জনপ্রিয় ছিলেন তিনি। শিক্ষার্থীবান্ধব, রাগী, গণিতের আইনস্টাইন খ্যাত আমাদের গাজী স্যারের থাপ্পর ছিল ভুবনবিখ্যাত। তাঁকে দেখলেই সিক্স সেভেনের পোলাপান প্যান্টে হিসু করে দিতো। স্যারের সাস্থ্য ভালো ছিল। গায়ের রঙ ছিল কালো। জটিল জটিল অঙ্কগুলো কতো
পুরোটা পড়ুনসুজন হামিদ এর ব্লগ
আমার হাই স্কুলের সভাপতি ছিলেন সরকার দলীয় এক নেতা। তখন কী তার দাপট! ঐ সময়ে গায়েবি নানা কারণে কয়েকজন শিক্ষকের বেতন বন্ধ হয়ে যায়। আমার শিক্ষকদের দুরবস্থা ছিল ভয়াবহ। একজন স্যার একদিন কাউকে কিছু না বলে কোথায় হারিয়ে গেলেন! তিনি আর ফিরে আসেননি। আরেকজন ঋণের দায়ে, কন্যাদায়গ্রস্ত হয়ে পুরোপুরি পাগল
পুরোটা পড়ুনশিক্ষকদের মেরুদণ্ড সোজা হবে কবে…
প্রিয় শিক্ষার্থীরা, বিপ্লবী শুভেচ্ছা রইল। এদেশটা নতুনভাবে গড়ার একটা সময় এসেছে। আশা করি, তোমরাই গড়বে আগামীর বাংলাদেশ। গত দু একদিনের অনেক বিষয়ই আমাকে আশাহত করেছে। তবু বিশ্বাস করি, সব ঠিক হয়ে যাবে। ঘুরে দাঁড়াবে বাংলাদেশ। এবং এটি করতে হবে তোমাদেরকেই। সেজন্য প্রয়োজন একটি গুণগত ও টেকসই শিক্ষাব্যবস্থা। শিক্ষাব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানোর
পুরোটা পড়ুন২০১৬ থেকে ২০২৪ ! মাঝে কেটে গেছে আটটি বছর ! আট বছর পেরিয়ে নবম বর্ষে পদার্পণ হলো সরকারি চাকরিতে ! বাংলাদেশ সিভিল সার্ভিসে আটটি বছর পার করার পর এই শিরোনামে একটা লেখা লিখতে হবে চাকরিতে প্রবেশের আগে মনে হয়নি। তবে আজ লিখতে হচ্ছে।বাংলাদেশে শিক্ষকতা পেশা একটি অভিশপ্ত পেশার নাম। এ
পুরোটা পড়ুনবিশ্ববিদ্যালয়গুলোর পিছিয়ে পড়ার কারণ-অনুসন্ধান
প্রতি বছরই পৃথিবীব্যাপী অবস্থিত বিশ্ববিদ্যাগুলোর 'মান নির্ণয়-সূচক' তালিকা প্রকাশ হয় এবং তাতে বাংলাদেশের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় কাঙ্ক্ষিত জায়গায় স্থান না পাওয়ায় পুরো জাতির মধ্যে যে হাপিত্যেশ এবং মুচকি হাসির রেখা দেখা দেয় তাতে বিচলিত হওয়ার যথেষ্ট কারণ আছে।বিশ্ববিদ্যালয় জাতির মননের প্রতীক। বাংলাদেশে বর্তমানে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা পঞ্চাশের কাছাকাছি। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সঠিক
পুরোটা পড়ুনবিগত জীবনে দুইবার মাত্র জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে গিয়েছি। প্রথমবার ২০০৫ সালে ভর্তি পরীক্ষার জন্য। কিন্তু সম্ভবত পরীক্ষার আগেই ঢাবির রেজাল্ট হয়ে গিয়েছিল। যেহেতু চান্স পেয়েছি তাই পরীক্ষা দিতে যাওয়ার কারণ হলো বিশ্ববিদ্যালয়টি দেখে আসা। আমার গ্রামে পাহাড় আছে। তাই বন-জঙ্গল নিয়ে আমার তেমন আদিখ্যেতা নেই। আমার কাছে ক্যাম্পাসটি ভালো লাগলো না।
পুরোটা পড়ুনগৌড়ের সুলতান ছিলেন গিয়াসউদ্দীন আজম শাহ। তিনি সাহিত্য অনুরাগী মানুষ ছিলেন। পারস্যের কবি হাফিজের সাথে আজম শাহের পত্রালাপ হতো। তিনি বাংলা অঞ্চলে কবি হাফিজকে আমন্ত্রণ জানান।২০০৫ সালে আমি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগে ভর্তি হই। প্রথম বর্ষের অর্ধেক সময় কাটলো আমার বুঝতে পারা না-পারার দ্বন্দ্বে। বাকি অর্ধেক কাটলো আবু জাফর স্যারের
পুরোটা পড়ুনমনীষী ঈশ্বরচন্দ্র শর্মা তাঁর প্রগাঢ় পাণ্ডিত্যের জন্য অল্পবয়সে পেয়েছিলেন 'বিদ্যাসাগর' উপাধি। উপমহাদেশে তিনি ছিলেন ঋষিতুল্য মহামনীষী। বিশেষ করে বিধবা হিন্দু নারীদের পিতৃত্বের দায় নিয়ে তিনি হয়ে উঠেছিলেন তাদের মুক্তিদাতা, ত্রাতা। বিধবা বিবাহ নিয়ে বিস্তর আন্দোলন করে কট্টর হিন্দুদের কাছে তিনি ব্যাপক সমালোচিত হন। অনেক জায়গায় তিনি বাক-আক্রমণের শিকার হয়েছিলেন। অনেকে
পুরোটা পড়ুনদেশে কয়েকদিন আগে অনাড়ম্বরে 'শিক্ষক দিবস' পালিত হলো। জাতীয়ভাবেও দিবসটি পালন করা হয়েছে। অনেকের ভাষণ শুনলাম। তাঁদের বক্তব্যে শিক্ষকদের পুলকিত হওয়ার কোনো বিষয় ছিল না। বরং যাঁরা বেতনের টাকায় সংসার চালাতে হিমশিম খান তারা দু-চারটি পোলাপান পড়িয়ে, বাইরে একটা দুইটা ক্লাস নিয়ে অর্থের যোগান দেন তাদের জন্য দুঃসংবাদই বটে! তাঁরা
পুরোটা পড়ুনআমাদের সময় ২০০৫-০৬ সেশনে ডিপার্টমেন্টের এক বন্ধু হলমেসের ম্যানেজারি করে একটা কেইস খেলো। মাসের শেষে হিসাব মিলাতে গিয়ে দেখল ১৮০০ টাকা গরমিল! আমার বন্ধু গ্রাম থেকে উঠে আসা সহজ সরল মানুষ। বাড়ি থেকে যে টাকা তার নামে আসতো তা নেহায়েতই অপ্রতুল। এই টাকা থেকে কিছু বাঁচিয়ে ১৮০০ টাকা শোধ করতে
পুরোটা পড়ুন